1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাজ্য

ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ চিন্তা

১৭ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-জিভির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য৷

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ইসরায়েলের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছেন৷
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারছবি: Simon Dawson/Avalon/Photoshot/picture alliance

গাজা এবং পশ্চিম তীরের সাধারণ মানুষদের নিয়ে তাদের মন্তব্যের কারণে এমন পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার৷

এর আগে গত জুলাইয়ের নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয়ের আগে সেসময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও স্মোট্রিচ এবং বেন-জিভির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন৷ স্টারমারও সংসদে জানিয়েছেন যে, তিনিও এ ধরনের কিছু করার উপায় খুঁজছেন৷

গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের অন্নহীন থাকার ব্যাপারটি ন্যায়সঙ্গত হতে পারে বলে স্মোট্রিচের মন্তব্য এবং ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতায় সম্পৃক্ত বসতি স্থাপনকারীদেরকে ‘নায়ক' বলে করা বেন-জিভির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্টারমার৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি দেখছি, কেননা, এগুলো স্পষ্টতই ঘৃণ্য মন্তব্য৷'' স্মোট্রিচ এবং বেন-জিভির অবশ্য জানিয়েছেন যে, নিষেধাজ্ঞার হুমকি তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনবে না৷

এক বিবৃতিতে বেন-জিভির বলেন, ‘‘এসব আমাকে ভীত করে তুলছে না এবং আমি শুধুমাত্র ইসরায়েলের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী কর্তব্য পালন করবো৷'' 

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ইসরায়েলে

02:41

This browser does not support the video element.

আর স্মোট্রিচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘কোনো হুমকিই আমাকে ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য সঠিক এবং নৈতিক কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না৷''

ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আলজেরিয়ার আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরী আলোচনার আগ নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করেন স্টারমার৷

তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইসরায়েলের বিষয়ে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যদিও সেটি দেশটির আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে৷

এটি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির কিছু লাইসেন্স সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে, কেননা, দেশটি মনে করছে কিছু সরঞ্জাম আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে৷

যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে৷

স্টারমার বুধবার আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছেন যে, ‘‘গাজায় মানবিক পরিস্থিতি মারাত্মক'' পর্যায়ে রয়েছে৷

‘‘ইসরায়েলের অবশ্যই বেসামরিক প্রাণহানি রোধে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নেয়া উচিত, যাতে গাজায় আরো অনেক বড় আকারে ত্রাণ পাঠানো যায় এবং জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিরা কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে,'' বলেন স্টারমার৷

চলতি মাসের শুরুর দিকে রয়টার্স জানিয়েছিল যে, ইসরায়েল নতুন এক শুল্ক নিয়ম চালুর পর গাজায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খাদ্য সরবরাহ বেশ কমে গেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, মানবিক পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নতি ঘটাতে হবে, নতুবা মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের মুখে পড়তে পারে ইসরায়েল৷

জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, দেশটি যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ