1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন পথে হামাস

২ মে ২০১৭

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন যাচ্ছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল সফর করছেন৷ এই অবস্থায় ফিলিস্তিনি ‘জঙ্গি' সংগঠন হামাস ইসরায়েল সম্পর্কে সুর নরম করলো৷ ত্যাগ করলো মুসলিম ব্রাদারহুডকে৷

হামাস নেতা খালেন মেশাল
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Daoud

২০০৭ সালে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচনে গাজায় বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল হামাস৷ কিন্তু পশ্চিম তীরে ফাতাহ'র সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ফিলিস্তিনি ঐক্য ধাক্কা খায়৷ ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে গাজাকে কার্যত একঘরে করে রাখে৷ সশস্ত্র সংগ্রামের পথে গিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন পায়নি এই সংগঠন৷

তারপর গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ কট্টরপন্থি মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সরকারগুলি হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷ ইউরোপে তাদের ভাবমূর্তি নেতিবাচক৷ইসরায়েলের বর্তমান চরমপন্থি সরকার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছেন৷ কয়েক দিন পরই তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷ ট্রাম্পও সম্ভবত চলতি মাসে ইসরায়েল সফর করবেন৷ ফলে নতুন মার্কিন প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতির রূপরেখা স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে৷

এমনই এক প্রেক্ষাপটে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতা খালেদ মেশাল হামাসের নতুন নীতি তুলে ধরলেন৷ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার দীর্ঘ দিনের দাবি থেকে সরে এলো হামাস৷ তবে প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব এখনো মেনে নিতে নারাজ তিনি৷ এমনকি সে দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামেও সমর্থন দিয়ে যাবে হামাস৷ অন্যদিকে হামাস নেতা এই প্রথম ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে নেবার ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কার্যত ইসরায়েলের অস্তিত্ব মেনেই নিয়েছেন৷ মেশাল বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমার মধ্যে এক ‘অন্তর্বর্তীকালীন' ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র মেনে নিতে হামাস প্রস্তুত৷ অর্থাৎ ফাতাহ সংগঠনের অবস্থানের অনেক কাছাকাছি এসে ফিলিস্তিনি ঐক্যের উদ্যোগ নিল এই সংগঠন৷ তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যেতে এখনো নারাজ তারা৷

হামাসের নরমপন্থি মনোভাবের আরেকটি সংকেতও দিলেন মাশাল৷ বললেন, হামাস মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে৷ ফলে মিশর ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির পথ খুলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে৷

হামাসের এই ঘোষণার ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মনে করেন, হামাস দুনিয়াকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে৷ নরমপন্থি মনোভাবের মুখোশের আড়ালে তারা সন্ত্রাসের পথেই থাকছে৷ গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে তারা৷

ফাতাহ সংগঠনের মুখপাত্র বলেন, হামাসের এই অবস্থান ১৯৮৮ সালে ফাতাহর অবস্থানের হুবহু প্রতিচ্ছবি৷ প্রায় ৩০ বছর ধরে ফাতাহর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগের পর তাই হামাসের এবার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ