অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বাড়তে থাকা দখলদারির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য এ সপ্তাহে অনলাইনে বৈঠকে বসার ঘোষণা দিয়েছে আরব লিগ৷
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনি নেতাদের অনুরোধে আরব লিগের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে বসবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়৷ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে মুখোমুখি না বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
আরব লিগের উপ সচিব হোসাম জাকি বলেন, ‘‘ইসরায়েলের পরিকল্পনা মোকাবেলা করতে ফিলিস্তিনি নেতাদের কিভাবে রাজনৈতিক, আইনী ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া যায়, বৈঠকে সেটা নিয়েই আলোচনা হবে৷’’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দখল করা পশ্চিম তীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন৷ আগামী কয়েক মাসে ওই পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নে নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেনি গান্তাজের সঙ্গে যৌথ সরকার গঠনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷
প্রাণের শহর জেরুসালেম
মুসলমান, ইহুদি আর খ্রিস্টান; তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র এক নগরী জেরুসালেম৷ যা দখল করে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরায়েল৷ অন্যদিকে মুসলমানদের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নও এই জেরুসালেমকে ঘিরেই৷
ছবি: Reuters/A. Awad
হারাম আল শরীফ
মুসলিমদের কাছে হারাম আল শরীফ আর ইহুদিদের কাছে পরিচিত টেম্পল মাউন্ট হিসেবে৷ এখানেই রয়েছে আল আকসা মসজিদ, কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা, কুব্বাত আন নবীর মত মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনাগুলো৷ অন্যদিকে ইহুদিরা মনে করে তাদের বাইবেলে বর্ণিত সবচেয়ে পবিত্র দুইটি গির্জার ঠিকানা এটি৷
ছবি: picture alliance/CPA Media
আল-আকসা মসজিদ
রূপালি রঙের গম্বুজ এবং বিশাল হলঘর বিশিষ্ট আল-আকসা মসজিদ৷ সুন্নি মুসলমানদের কাছে যা মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান৷ ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মেরাজে যাওয়ার সময় হযরত মুহাম্মদ (সা.) মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসায় এসে নামাজ আদায় করেন৷
ছবি: Reuters/B. Ratner
কুব্বাত আস সাখরা
কুব্বাত আস সাখরা বা ডোম অব দ্যা রক৷ টেম্পল মাউন্টেনের উপর অবস্থিত গম্বুজটিতে সাখরা নামের একটি পাথর রয়েছে৷ ইসলাম ধর্মমতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজে যাওয়ার পূর্বে এই পাথরটি সেখানে স্থাপন করেন৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/D. Cupolo
জলপাই পাহাড়
দৃশ্যটি পুরাতন নগরের পূর্ব পাশে পাহাড়ের নীচের৷ এই পাহাড়ের পশ্চিম ও দক্ষিণ ঢালুতে আছে প্রাচীন ইহুদি সমাধি৷ এক সময় এলাকাটি ছিল জলপাই বাগানে ঘেরা৷ তাই নামও হয় জলপাই পাহাড়৷ এটি ইহুদিদের সবচেয়ে প্রাচীন সমাধি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
পশ্চিম দেয়াল
জেরুসালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত চুনাপাথরের এই প্রাচীন দেয়ালটি টেম্পল মাউন্টেন বা পশ্চিমের দেয়াল৷ ইহুদিদের নিকট এটি সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান৷ তারা এখানে প্রার্থনা করতে আসেন৷ এখানে পুরুষ-নারীর জন্য পৃথক বিভাগ রয়েছে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে৷ অবশ্য প্রবেশের পূর্বে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা তল্লাশী পার হতে হয়৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
যেখানে যিশু ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন
জেরুসালেমের ওল্ড সিটি বা পুরান নগরী গুরুত্বপূর্ণ খ্রিস্টানদের কাছেও৷ বেশিরভাগের ধারণা যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ ও সমাধিস্থ করা হয় এখানেই৷ সেই স্থানটিতে রয়েছে তাদের পবিত্র একটি গির্জাও৷ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানরা মনে করেন বাইবেলের বার্তা অনুযায়ী ইসরায়েলে ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় দায়িত্ব৷
ছবি: Reuters/A. Cohen
জেরুসালেম কার?
ইসরায়েলের দাবি তিন হাজার বছর আগে জেরুসালেমই ছিল ইহুদিদের রাজধানী৷ অন্যদিকে ফিলিস্তিনি আরবরাও এই ভূমিকে তাদের ঐতিহাসিক, পবিত্র নগরী হিসেবে বিবেচনা করে৷ ভবিষ্যৎ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নও জেরুসালেমকে কেন্দ্র করে৷
ছবি: Reuters/A. Awad
ইসরায়েলের দখলদারিত্ব
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর আর পূর্ব জেরুসালেম দখলে নেয় ইসরায়েল৷ আইন করে দাবি করে নিজেদের ভূমি হিসেবে৷ যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও মিলেনি৷ টেম্পল মাউন্ট বা হারাম আল শরীফের নিজ নিজ ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাতায়াত ও প্রার্থনায় অংশ নিতে পারেন মুসলিম ও ইহুদিরা৷
ছবি: Reuters/A. Awad
রাজধানীর দাবি
১৯৮০ সালে ইসরায়েলের সংসদ নেসেট অখন্ড জেরুসালেমকে তাদের রাজধানীর মর্যাদা দেয়৷ দেশটির সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট, সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোর অবস্থান এই শহরেই৷ জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে কিংবা পূর্ব জেরুসালেমে দেশটির দখলদারিত্ব, কোনটিরই স্বীকৃতি দেয়নি৷
ছবি: Reuters/A. Awad
যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি
২০১৭ সালে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই সঙ্গে তেল আভিভ থেকে দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেয়ারও নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন৷ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে দেখা হয়৷
ছবি: Getty Images/L. Mizrahi
জনসংখ্যায় পরিবর্তন
১৯৬৭ সালের আগেই পশ্চিম জেরুসালেমে ইহুদিদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তবে পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ যুদ্ধের পর অবৈধভাবে দুই লাখের বেশি ইহুদিকে সেখানে স্থানান্তর করে ইসরায়েল৷ ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেরুসালেমের জনসংখ্যা দাড়িয়েছে সাড়ে আট লাখে৷ যার ৬৩ ভাগ ইহুদী আর ৩৭ ভাগ ফিলিস্তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/N. Alon
জেরুসালেম বিক্রির জন্য নয়
সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের এক পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ সে অনুযায়ী জেরুসালেম শহর ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী থাকবে৷ আর অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেম হবে ফিলিস্তিনিদের রাজধান৷ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেছেন, ‘‘জেরুসালেম বিক্রির জন্য নয়’’৷
ছবি: Reuters/A. Awad
12 ছবি1 | 12
আরব লিগের প্রধান আহমেদ আহমেদ আবুল গেইত ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিষয়ে সর্তক করে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন৷ সেখানে তিনি ইসরায়েলের কারণে ওই অঞ্চলে ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত৷ ইসরায়েল এই সুযোগের ‘অপব্যবহার' করতে চাইছে৷’’
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল৷ তারপর থেকে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দেশটি ওই অঞ্চলে নিজেদের দখলদারি বাড়িয়ে চলেছে৷
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ বিষয়ে বলেছিলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দাখলদারি কেমন হবে তা নিয়ে দেশটির নতুন জোট সরকার সিদ্ধান্ত নেবে৷ এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে৷ বিতর্কিত ওই পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে সহজেই জেরুসালেমের পুরোটা নিজেদের দাবি করে সেটিকে রাজধানী ঘোষণা করার এবং পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷
আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনা মানবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে বলেছে, পুরো পরিকল্পনা ইসরায়েলের পক্ষে করা হয়েছে এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম অধিকারও রক্ষা করা হয়নি৷
আরব দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে, ওই পরিকল্পনা সংকট সামাধানে দ্বি-রাষ্ট্র নীতির কবর দিয়েছে৷
এসএনএল/এসিবি (এএফপি)
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ কিন্তু এসেছে কি শান্তি?
জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন ১৯৬৭
১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে বছরের ২২ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘রেজ্যুলেশন ২৪২’ নামে একটি প্রস্তাব পাস হয়৷ প্রস্তাবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়৷
ছবি: Getty Images/Keystone
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি ১৯৭৮
মিশর ও সিরিয়ার নেতৃত্বে আরব রাষ্ট্রগুলো ১৯৭৩ সালে আবারো ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ এ যুদ্ধের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে বিশ্ব নেতারা৷ তাদের চেষ্টায় ১৯৭৮ সালে ১২ দিন আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়৷ এ চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ভিত হিসিবে বিবেচনা করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Daugherty
মাদ্রিদ কনফারেন্স ১৯৯১
ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে স্পেনের মাদ্রিদে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে আরো অংশ নেয় ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন৷ এ কনফারেন্সের তাৎক্ষণিক কোন ফলাফল আসেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Hollander
অসলো অ্যাকর্ড ১৯৯৩
১৯৯৩ সালে নরওয়ের অসলোতে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় বসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন৷ আলোচনার পরবর্তী ধাপে এ দু’দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা অসলো চুক্তি নামে পরিচিত৷ চুক্তিতে বলা হয় যে, পশ্চিম তীর থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল৷ পাঁচ বছরের জন্য ফিলিস্তিনকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের অনুমতিও দেয় এ চুক্তি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Sachs
আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ২০০২
২০০২ সালে আরব লিগের নেতারা লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনার একটি প্রস্তাব পাস করেন৷ প্রস্তাবনায় ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ চলাকালীন দখলকৃত সব জায়গা ত্যাগ করতে বলা হয়, যেন পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায়৷ বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়৷
ছবি: Getty Images/C. Kealy
রোডম্যাপ ২০০৩
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জাতিসংঘের সহযোগিতায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির রোডম্যাপ নামে পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয়৷ ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুইটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয় এই রোডম্যাপে৷
ছবি: Getty Iamges/AFP/J. Aruri
সংঘর্ষ, অস্ত্র বিরতির চেষ্টা
২০১২ সালের শেষ দিকে গাজায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে৷ এ সময় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ ২০১৪ সালে ইসরায়েলি এক তরুণ নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান চালালে পরিস্থিতি আবারো খারাপ হতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্যারিস সম্মেলন ২০১৭
২০১৭ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ে আলোচনা করতে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা প্যারিসে একত্রিত হয়৷ তবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধিই এ আলোচনায় অংশ নেয়নি৷
ছবি: Reuters/T. Samson
ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ে শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এতে বলা হয় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখবে ইসরায়েল, তবে ইতোমধ্যে অধিকৃত সকল স্থাপনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে৷ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিন৷