1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলি নীতি

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ইসরায়েলের বসতি নির্মাণকে ‘অবৈধ’ বলে প্রতিবেদন পেশ করেছে জাতিসংঘের প্যানেল৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এমনটি তিনি আগে থেকেই বলে আসছেন৷ প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল৷

ছবি: AP

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে৷ পরিষদের কাছ থেকে ফিলিস্তিনেরও সুবিচারের প্রত্যাশা বেড়ে যায় তখন থেকে৷ তার আগের ৬০ বছর যে পরিষদ সারা বিশ্বে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে সেই সেখানে এমন কিছু দেশ ছিল যাদের নিজেদেরই মানবাধিকার রক্ষার রেকর্ড খারাপ৷ কিন্তু পরিষদে পরিবর্তন এলেও এতদিন ইসরায়েলের বিষয়ে কার্যত তেমন কোনো পরিবর্তন দেখেনি ফিলিস্তিন৷

তবে বৃহস্পতিবার যে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্রকৃত সত্যের প্রকাশ হয়েছে বলেই মনে করে ফিলিস্তিন৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ ‘‘ফিলিস্তিন রাজ্য গড়ার পথে বাধা সৃষ্টির শামিল৷ তাই জাতিসংঘ বসতি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছে৷’’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অধিকৃত অঞ্চল থেকে আবাস গড়ে থাকতে দেয়া সব ইহুদিদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে৷

ইসরায়েলের বসতি নির্মাণকে আবার ‘অবৈধ' বললো জাতিসংঘেরছবি: picture alliance/landov

কিন্তু এরই মাঝে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ ইহুদির জন্য বসতি গড়ে ফেলা ইসরায়েল জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রতিবেদনটি ‘‘একপেশে, পক্ষপাতদুষ্ট৷ পারষ্পরিক আলোচনাই কেবল সমস্যার সমাধান করতে পারে৷’’

এদিকে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির মাধ্যমে মহাসচিব বান কি-মুন জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা বসতি নির্মাণের বিপক্ষে আগে থেকেই কথা বলে আসছেন৷ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের ইসরায়েল অধিকৃত সমস্ত এলাকার বসতি নির্মাণই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ৷’’

বান কি-মুন ইসরায়েলের দীর্ঘদিন ধরে বসতি নির্মাণের বিপক্ষে সোচ্চার রয়েছেনছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com

জাতিসংঘের তিন সদস্যের যে প্যানেলটি ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করেছে তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরাসি বিচারক ক্রিস্টিন চ্যানেট৷ তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত করার সময় ইসরায়েল তাঁদের কোনোরকমের সহযোগিতাই করেনি৷ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জর্ডানে গিয়ে ৫০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে হয়েছে বসতি নির্মাণের পর ফিলিস্তিনিদের জন্য কিভাবে কী কী ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করা হয়৷ এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেট বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলকে বসতি নির্মাণের কাজ বন্ধ করতেই হবে এবং যাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন অতি দ্রুত তাঁদের ক্ষতিপূরণও দিতে হবে৷’’

জাতিসংঘের প্যানেলের এ প্রতিবেদনে ফিলিস্তিন স্বাভাবিক কারণেই খুশি৷ প্রতিবেদনটিকে ভিত্তি হিসেবে ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়ার পথে এগোনোরও ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি৷

এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ