ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুত: আব্বাস
১০ আগস্ট ২০১০মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত জর্জ মিচেল মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন৷ এর আগে তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে ৫ দফা আলোচনা করেছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চাইছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু হোক৷ এই অবস্থায় আব্বাস সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা চারিদিক থেকে চাপের মুখে রয়েছি৷ এখনো পর্যন্ত আমরা আলোচনায় রাজি ছিলাম না৷ কিন্তু এবার এমন চাপ আসতে পারে, যা আমরা আর সহ্য করতে পারবো না৷ সেক্ষেত্রে আমি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো৷'' আব্বাস অবশ্য নিজের পূর্বশর্ত পুরোপুরি তুলে নিতে প্রস্তুত নন৷ তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ‘কোয়ার্টেট' বা মধ্যস্থতাকারী জোট ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধ করে ২৪ মাসের মধ্যে সমঝোতায় আসতে রাজি হওয়ার জন্য ডাক দিলে তিনি অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে যেতে প্রস্তুত৷ উল্লেখ্য, গত ১৯শে মার্চ মস্কোয় ‘কোয়ার্টেট'এর এক বৈঠকে বসতি স্থাপন পুরোপুরি বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছিলো৷ ইসরায়েল অবশ্য সেই ডাকে সাড়া দেয় নি৷ পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হচ্ছে৷ গত মাসে আরব লিগ'এর শান্তি প্রক্রিয়া কমিটি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পথ প্রশস্ত করে বলেছিল, আব্বাস যখন পরিস্থিতি অনুকূল বলে মনে করবেন, তখনই তিনি আলোচনা শুরু করতে পারেন৷ এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সরাসরি আলোচনায় রাজি হওয়ার পর এবার আব্বাসের সামনে অন্য কোনো পথ আর খোলা থাকছে না৷
চারিদিক থেকে চাপের মুখে পড়েও আব্বাস ইসরায়েলের বর্তমানের কড়া অবস্থানকে যতটা সম্ভব নমনীয় করার জন্য নিজেও চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন৷ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম সহ যেসব এলাকা দখল করেছিল, তার কোনোটাই আলোচনার ঊর্ধ্বে রাখলে চলবে না, বলেন আব্বাস৷ নেতানিয়াহু এই সব দাবির প্রেক্ষিতে বলেছেন, আব্বাস শুধু সময় নষ্ট করছেন৷ ফিলিস্তিনিরা সব বিষয় নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে পারে৷
প্রায় দুই বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া কার্যত স্তব্ধ থাকার পর সামান্য হলেও কিছুটা গতি আসছে৷ মার্কিন দূত মিচেল মাত্র এক দিনের সফরে এসে দুই নেতার সঙ্গে আলোচনা করে তারপর প্রতিবেশী দেশগুলির নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই