ইদানীং জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে বিতর্ক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জার্মানিতেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ধ্বনি উঠছে৷ প্রশ্ন জাগছে ইসরায়েলি রাজনীতির সমালোচনা করা ইহুদি বিদ্বেষ কিনা৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির ইহুদি সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান ডিটার গ্রাউমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারিনি যে, জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা আবার শুনতে হবে৷''
কেন্দ্রীয় পরিষদের ফেসবুকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৬০টি মন্তব্য চলে আসে৷ এর মধ্যে এক চতুর্থাংশই ইহুদি বিদ্বেষমূলক৷ কিছু ক্ষেত্রে এব্যাপারে পুলিশি তদন্তও চলছে৷
সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক
ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে বিতর্কের মূল বিষয়টি হলো এর সংজ্ঞা নিয়ে৷ এখানে প্রশ্ন উঠছে, ইসরায়েল সরকারের প্যালেস্টাইন নীতির সমালোচনা করা কি ইহুদি বিদ্বেষ?
বছর দুয়েক আগে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সক্রিয় আন্তর্জাতিক বেসরকারি ইহুদি সংস্থা ‘সিমোন-ভিসেনথাল-সেন্টার' বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইহুদি বিদ্বেষি ১০ জনের একটি ‘কালো তালিকা' প্রকাশ করে৷ এটি নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়৷ তালিকার নয় নম্বরে স্থান দেওয়া হয়েছে জার্মানির প্রখ্যাত ম্যাগাজিন শ্পিগেলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক রুডলফ আউগুশ্টাইনের ছেলে সাংবাদিক ইয়াকব আউগুস্টাইনকে৷ শ্পিগেলের নিয়মিত অনলাইন কলামে তিনি ইসরায়েলের প্যালেস্টাইন-নীতির কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য প্রকাশ করেন৷ তাঁর মতে ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও গাজায় দখলদারি শক্তি হিসাবে প্যালেস্টাইনিদের দমন করে রাখছে৷ এজন্য সাংবাদিক ইয়াকব আউগুশ্টাইনকে ইহুদি বিদ্বেষি বলা হয়েছে৷ আউগুশ্টাইন পাল্টা যুক্তি দিয়ে শ্পিগেলে লেখেন, তিনি এব্যাপারে সচেতন যে একজন জার্মান হিসাবে তিনি ইসরায়েল সম্পর্কে এরকমভাবে লিখতে পারেন না, যেমনটি পারেন একজন সুইস কিংবা স্প্যানিশ৷
ছবিতে গাজা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ক্রমশ বাড়ছেই৷ তবুও হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই৷ গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
স্বজনের আর্তনাদ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ক্রমশ বাড়ছেই৷ ছবিতে স্বজনের মৃত্যুতে বিলাপ করছেন এক ফিলিস্তিনি৷ গাজায় এমন দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি ২১ জুলাই তোলা৷
ছবি: Reuters
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান
বিমান হামলা চালানো হবে - ইসরায়েলের এমন সতর্কবার্তা শুনে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাচ্ছে একদল ফিলিস্তিনি৷ ২২ জুলাই ছবিটি তোলা৷ মঙ্গলবার গাজায় হামলার পরিমাণ আরো বাড়িয়েছে ইসরায়েল৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসস্তূপের মাঝে আশ্রয়ের সন্ধান
সহায়সম্বল বলতে যা কিছু তা ঐ কাগজের বাক্সে৷ আর এই বাক্সসহ রাস্তায় হাঁটছে গাজার এই শিশুটি৷ তার পেছনে থাকা ধ্বংসস্তূপ একটি বাড়ির৷ গাজার পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাড়িটি এভাবে ধসে গেছে৷
ছবি: Reuters
ধোঁয়ার কুণ্ডলী
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই ধোঁয়া৷ ২২ জুলাই গাজা থেকে তোলা ছবি এটি৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁর এই আহ্বান তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল বা হামাস৷
ছবি: Reuters
বাদ পড়ছে না হাসপাতালও
গাজার মসজিদ, স্কুল এমনকি হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল৷ ফলে বেসামরিক প্রাণহানি বাড়ছে৷ ছবিতে গাজা সিটির আল-সাফিয়া হাসপাতালে শিশুদের মরদেহবাহী একটি লাশের ব্যাগ সরাচ্ছেন সেচ্ছাসেবীরা৷
ছবি: Marco Longari/AFP/Getty Images
গাধার গাড়িতে পালানো
গাধায় টানা গাড়িতে করে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা৷ ছবিটি ২১ জুলাই তোলা৷ বলাবাহুল্য, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গাজার বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব৷ কারণ অঞ্চলটির দুই দিক ঘিরে রেখেছে ইসরায়েল৷ আর একদিকে মিসরের সঙ্গে সীমান্ত৷ অপর পাশে সমুদ্র৷ ফলে গাজার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয় তাদের৷
ছবি: Reuters
ইসরায়েলি সেনা
গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘স্টেজিং এরিয়ার’ দিকে তাকিয়ে আছেন ইসরায়েলি সেনারা৷ গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও পরিচালনা করছে ইসরায়েল৷ এতে ইসরায়েলি কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে৷
ছবি: Reuters
হামলার প্রতিবাদ
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে৷ ছবিটি গত ২০ জুলাই অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় তোলা৷
ছবি: Reuters
নিষেধাজ্ঞা, অগ্নিকাণ্ড
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে প্যারিস পুলিশ৷ প্রতিবাদে রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সাধারণ জনতা৷ ছবিটি ২০ জুলাই তোলা৷ এই ঘটনার পর প্যারিসে অবস্থানরত ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এথেন্সে প্রতিবাদ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ ছবিটি ১৭ জুলাই তোলা৷
ছবি: Reuters
ঢাকায় প্রতিবাদ
হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সহিংস পরিস্থিতি নিরসনে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশিরা৷ ছবিটি ১৮ জুলাই তোলা৷ বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসও গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷
ছবি: Reuters
11 ছবি1 | 11
দুই সত্তায় দ্বন্দ্ব
কিন্তু জার্মান সাংবাদিক হিসাবে তাঁর দ্বৈত সত্তায় দ্বন্দ্ব দেখা দেয়৷ তাঁর জার্মান সত্তা ইসরায়েলের ব্যাপারে সতর্ক ও সংবেদনশীন থাকতে বলে৷ কিন্তু তাঁর সাংবাদিক সত্তা তাঁকে সৎ থাকার কথা বলে৷ ইসরায়েল যদি কারো অধিকার ক্ষুন্ন করে, তাহলে তা বলার অধিকার রয়েছে সাংবাদিকের৷
স্বচ্ছতা প্রয়োজন
জার্মানিতে ইসরায়েল সম্পর্কে সমালোচনা সহজেই ইহুদি বিদ্বেষ বলে গণ্য হয়৷ এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইহুদি বিদ্বেষের সংজ্ঞা দিয়েছে এইভাবে: যারা ইসরায়েলকে দানবীয় বলে মনে করে এবং রাষ্ট্রটির অস্তিত্বের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে, তারা ইহুদি বিদ্বেষি৷
এছাড়া যারা ইসরায়েলি নীতির সঙ্গে নাৎসি কার্যকলাপের তুলনা করে এবং ইসরায়েলের কারণে সমগ্র ইহুদি সম্প্রদায়কে দায়ী করে তাদেরও ইহুদি বিদ্বেষি বলা যায়৷ গ্রাউমানের মতে, ‘‘বিশ্ব ষড়যন্ত্রে' ইহুদিদের দায়ী করার প্রবণতাও ইহুদি বৈরিতা৷
বার্লিনের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অ্যান্টিসেমিটিজম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ইতিহাসবিদ ভল্ফগাং বেনৎস ৩০ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তাঁর মতে ইহুদি বিদ্বেষ জার্মানিতে একই রকম রয়েছে৷ বদলেছে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি সম্পর্কে ধারণা৷ ইসরায়েলি রাজনীতিকে সর্বান্তঃকরণে মেনে নেওয়া হয় না এখন৷ এটা ইহুদি বিদ্বেষ নয়৷
গাজার শিশুদের কী অপরাধ?
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ৷ পরিসংখ্যান বলছে, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই শিশু ও নারী৷ বোমার আঘাতে প্রাণ হারানো শিশুরা হয়ত যুদ্ধ কি তাই জানে না৷ গাজার শিশুদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
ধ্বংসের মাঝে বেঁচে থাকা
ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি গাড়ি পরীক্ষা করে দেখছে এক ফিলিস্তিনি শিশু৷ ছবিটি গত ১৪ জুলাই তোলা৷ বিমান হামলায় গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই নারী ও শিশু৷
ছবি: Mohammed Abed/AFP/Getty Images
পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা
ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে বাঁচতে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন ফিলিস্তিনিরা৷ তবে গাজায় তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নেই বললেই চলে৷ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা মনে করেন, ইসরায়েলের হামলা সহসা বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই৷
ছবি: Reuters
অপেক্ষা
ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনি এই ছেলেটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মিশর সীমান্তে অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে মিশরে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছে৷ আহতদের চিকিৎসার সুবিধার্থে মিশর রাফা সীমান্ত খুলে দেয় ১০ জুলাই৷
ছবি: Said Khatib/AFP/Getty Images
স্কুলে রাতযাপন
বাড়িতে যে-কোনো মুহূর্তে পড়তে পারে ইসরায়েলের বোমা৷ তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে এই শিশুরা আশ্রয় নিয়েছে গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের স্কুলে৷ এখানে যে বোমা পড়বে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ তবে আশঙ্কা কম৷
ছবি: Mahmud Hams/AFP/Getty Images
আতঙ্ক
বাড়ির উপরে উড়ছে ইসরায়েলি ড্রোন৷ আর সেটাই দেখছে এই শিশুটি৷
ছবি: Thomas Coex/AFP/Getty Images
ইয়াসমিনের জানাজা
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ হারায় চার বছরের শিশু ইয়াসমিন৷ ছবিটি ১০ জুলাই তার জানাজার সময় তোলা৷
ছবি: Reuters
বিনা অপরাধে শাস্তি
গাজার শিশুরা জানে না তাদের অপরাধ কি? কেনই বা বোমা হামলার নির্মম শিকার তারা? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারেও এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকে৷ গত ১৪ জুলাই তোলা ছবিতে চাচার মৃত্যুতে কাঁদছে দুই শিশু৷
ছবি: Mahmud Hams/AFP/Getty Images
প্রতিবন্ধীদের আশ্রয়
ছবিটি ২০১২ সালের এপ্রিলে তোলা৷ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক শিশুকে জাতিসংঘের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে তার এক সহপাঠী৷ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহতও হচ্ছে অসংখ্য শিশু৷ পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের৷ তবে এই শিশুটি ইসরায়েলি হামলায় দৃষ্টি হারিয়েছে কিনা জানা যায়নি৷
ছবি: Reuters
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান
ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনি তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছেন৷ তবে গাজার দু’দিকে ইসরায়েল, একদিনে মিশর এবং অপর পাশে সমুদ্র৷ এই অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ তবুও প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হামলা নতুন নয়
গাজায় ইসরায়েলের হামলা নতুন নয়৷ হামাসের রকেট ছোড়ার জবাব সেদেশ দেয় বিমান হামলার মাধ্যমে৷ আর তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাণ হারায় নারী, শিশু এবং হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন মানুষ৷
ছবি: Reuters
10 ছবি1 | 10
জনমত স্পষ্ট
একটি জার্মান টিভি চ্যানেলের জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উত্তরদাতাদের ১৮ শতাংশ ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্য দায়ী করেছেন৷ মাত্র নয় শতাংশ মনে করেন এজন্য মূলত প্যালেস্টাইনিরাই দায়ী৷
জার্মানির মতো ইউরোপের অন্য কোনো দেশে ইহুদি বিদ্বেষ সম্পর্কে এত দ্রুত প্রতিক্রিয়া হয় না৷ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা ঐতিহাসিক কারণেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সঠিক হোক বা না হোক ‘ইহুদি বিদ্বেষে'র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷
ইহুদি সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ও মনস্তত্ত্ববিদ রল্ফ ফ্যারলেগার রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের ইহুদি বৈরিতামূলক প্রচারণার ব্যাপারে দায়ী করেন৷ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা যদি বলেন ইসরায়েল যা কিছু করে সবই সঠিক, জার্মানির ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা যদি বলেন কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বললেই তিনি ইহুদি বিরোধী, তাহলে ইহুদি বিদ্বেষকে আরো প্ররোচিত করা হয়৷ ইসরায়েলের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই যে তাল মেলাতে হবে, এমন কোনো কথা নেই৷