ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে জার্মানির বিরুদ্ধে মামলা
৩১ মে ২০২৪![ডিডাব্লিউর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে আলেকজান্ডার শোয়ারৎস](https://static.dw.com/image/69224763_800.webp)
ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়ে জার্মান সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে ডিডাব্লিউর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক নিনা হাসেকে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান শোয়ারৎস৷ তিনি বার্লিনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' বা ইসিসিএইচআর এর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর৷
অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের আশায় ইসিসিএইচআর বার্লিনের ফেডারেল আদালতে জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করছে৷
শোয়ারৎস বলছেন, ইসরায়েলকে দেওয়া জার্মানির অস্ত্রের মধ্যে আছে বাজুকা রকেট লঞ্চার, গোলাবারুদ ও ট্যাঙ্ক ইঞ্জিন৷
ইসিসিএইচআর-এর কাছে ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, এই ধরণের অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে৷ এসব অপরাধের মধ্যে আছে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর নিশ্চিত করেছেন,'' ডিডাব্লিউকে বলেন শোয়ারৎস৷
ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে তারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ আরও অনেকে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে৷
শোয়ারৎস বলেন, সম্ভাব্য অপরাধের প্রমাণ হিসেবে ভিডিও, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করেছে তার সংস্থা৷ ‘‘আমরা জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছি যেগুলোতে অনেক ঘটনার বর্ণনা আছে,'' জানান তিনি৷
মানবাধিকার বিষয়ক এই আইনজীবী বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার একটি ‘সহজাত অধিকার' রয়েছে৷ তবে, ‘ইসরায়েলকে মানবাধিকার বিষয়ক আইনকে সম্মান দেখাতে হবে, যেটা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয় যে, তারা সেটি করছে না,'' বলেন শোয়ারৎস৷
২০২৩ সালে জার্মানি ইসরায়েলকে ৩২৬.৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জার্মানির অবস্থান৷
জার্মান আইন অনুযায়ী ‘যুদ্ধাস্ত্র' বলতে ট্যাংক, বোমা এবং মিসাইল বোঝায়৷ এই সংজ্ঞায়, জার্মানি ইসরায়েলে যে অস্ত্র রপ্তানি করেছে তার মাত্র দুই শতাংশ যুদ্ধাস্ত্র৷ ইসিসিএইচআর বার্লিনের আদালতে যে মামলা করেছে সেখানে এই অস্ত্রগুলোই বিবেচ্য হবে৷
রপ্তানি করা বাকি ৯৮ শতাংশ অস্ত্রের ব্যাপারে ফ্রাঙ্কফুর্টের আরেক আদালতে মামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান শোয়ারৎস৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, জার্মানি যে ইতিমধ্যে ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেছে সেই তথ্য তাদের কাছে আছে৷ তবে যে কোনো সময় আবার এটি শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শোয়ারৎস৷
জেডএইচ/এসিবি