ইসরায়েলে পরিবর্তনের ইঙ্গিত
২৩ জানুয়ারি ২০১৩কয়েকজন কেঁদেই ফেললেন আনন্দে৷ আনন্দ তাঁদের দল ইয়েশ আতিদ-এর প্রতি জনগণের আস্থার স্বীকৃতি পাওয়ার৷ ইসরায়েলের জনগণের দেয়া রায় অনুযায়ী ইয়েশ আতিদ এখন সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল৷ এমনটি যে সম্ভব ক'দিন আগেও কে ভেবেছে! ৯৯.৫ ভাগ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি পেয়েছে ৩১টি আসন৷ জোটভুক্ত সব দলের জেতা মোট আসনের সংখ্যা ৬০৷ অন্যদিকে সাংবাদিক থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইয়াইর লাপিদের দল ইয়েশ আতিদ পেয়েছে ১৭টি আসন৷ লিকুদ ছাড়া এত আসন আর কোনো দল পায়নি৷ ইসরায়েলের রাজনীতিতে নাম লেখানোর বছর খানেকের মধ্যেই ইয়েশ আতিদের এভাবে উঠে আসা সত্যিই বিস্ময়কর৷ এ দলের নেতৃত্বে গড়া মধ্যপন্থি এবং বামপন্থি দলগুলোর জোটেরও সব মিলিয়ে ৬০ টি আসন পেয়ে যাওয়া নেতানিয়াহুকে নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছে৷
নেতানিয়াহু অবশ্য বিষয়টাকে ওভাবে দেখছেন না৷ আবার সরকার গঠনের সম্ভাবনা তাঁর দলের পুরোমাত্রায়ই আছে – এটা তাঁর স্বস্তি৷ আপাতত জোট সরকার গঠনের কথাই ভাবতে হচ্ছে তাঁকে৷ তাই এক ভাষণে নির্বাচনে সোৎসাহে অংশ নেয়ার জন্য ইসরায়েলের জনগণকে ধন্যবাদ জানানোর পরই তিনি ইয়েশ আতিদের নেতা ইয়াইর লাপিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে এখন ইসরায়েলের জন্য অসাধারণ কিছু করার সুযোগ৷ নির্বাচনী প্রচারণা আমাদের জন্য এখন অতীত, আমরা এখন ইসরায়েলের লাভ হবে এমন সব কাজে মন দিতে পারি৷'' এ সময় তিনি শক্তিশালী জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান৷ জবাবে ইয়াইর লাপিদ বলেছেন, ‘‘আমি সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় জোট সরকার গঠনে আমাকে সহায়তা করার জন্য সব রাজনীতিবিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷ বাম এবং ডানপন্থীরা এক সঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন আনা সম্ভব৷ ''
ইয়াইর আতিদ রাজনীতিতে নামার আগে ছিলেন সাংবাদিক এবং জনপ্রিয় সংবাদ সঞ্চালক৷ বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে এসেই তিনি তোলেন দেশের মধ্যবিত্তদের জীবন যাপনের মান উন্নয়নের দাবি৷ দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ পরিবর্তনও হবে এ আশা থেকেই তেল আভিভে মিছিলে নেমে পড়েছে ইয়েশ আতিদের কর্মী-সমর্থকরা৷ ‘‘আমরা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি, আমরা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি'' স্লোগানে তাঁরা মুখরিত করে তোলেন রাজপথ৷ ‘‘ইয়েশ আতিদ, ইয়েশ আতিদ'' বলেও স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা৷ হিব্রু ভাষায় ইয়েশ আতিদের মানে ‘‘ভবিষ্যৎ আছে৷''
এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)