পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন হচ্ছে ইথিওপিয়ার ইহুদিদের। শয়ে শয়ে ইথিওপিয়ার ইহুদিকে জায়গা করে দিচ্ছে ইসরায়েল।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ইথিওপিয়া থেকে প্রায় দুই হাজার ইহুদি পরিবারকে ইসরায়েলে নিয়ে আসার কথা জানালো নেতানিয়াহুর সরকার। বস্তুত, ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে ইথিওপিয়ান ইহুদিকে ইসরায়েলে নিয়ে আসার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কয়েকশ ইহুদি ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সে ইসরায়েলে এসে পৌঁছেছেন। ইসরায়েলের একমাত্র ইথিওপিয়ার বংশোদ্ভূত মন্ত্রী তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন।
এক নজরে ইসরায়েলের কয়েকটি মসজিদ
ইহুদি অধ্যুষিত দেশ ইসরায়েলে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের পবিত্র নগরী জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরায়েল৷ ছবিঘরে থাকছে ইসরায়েলের কয়েকটি মসজিদের কথা৷
ছবি: Hal Beral/VWPics/Imago Images
ওমরের মসজিদ
জেরুসালেমের সেপুলক্রি গির্জার ঠিক পাশেই এই মসজিদ। ১১৯৩ সালে সুলতান আল আফদাল ইবনে সালাহ আদ-দীন আফদাল আলি এই মসজিদ নির্মাণ করেন। বলা হয়, খলিফা ওমর তাঁর জেরুসালেম সফরের সময় এই স্থানে এলে তাঁকে গির্জায় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছিল৷ তিনি তাতে রাজি হননি৷ পরে তাঁর জন্য গির্জার পাশেরই একটি অঞ্চলকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। ১৪৫৮ সালের ভূমিকম্পের পরে মসজিদটির মিনার নির্মাণ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়৷
ছবি: Issam Rimawi/AA/picture-alliance
এল-জাজার মসজিদ
ইসরায়েলের একর শহরের এল-জাজার স্ট্রিটে অবস্থিত এই মসজিদের আরেক নাম ‘সাদা মসজিদ’, মসজিদে ব্যবহৃত সাদা পাথরের দেওয়ালের কারণে। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ পাশা এল-জাজারের নামেই এই রাস্তা ও মসজিদের নামকরণ। ১৭৮১ সালে এই মসজিদ তৈরি হয় বলে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আহমদ পাশা এবং তার পালিত পুত্র সুলাইমান এই মসজিদের পাশেই শায়িত আছেন৷
ছবি: Wojtkowski Cezary/BE&W/Imago Images
হাইফা শহরের মাহমুদ মসজিদ
ইসরায়েলের হাইফা শহরে অবস্থিত এই মসজিদটি প্রথম নির্মাণ করা হয় ১৯৩১ সালে৷ পরবর্তীতে সত্তরের দশকে তা পুননির্মাণ করেন আহমদিয়া মুসলিমরা। আহমদিয়াদের দ্বিতীয় খলিফা মির্জা বশির-উদ-দিন মাহমুদ আহমদের নামেই এই মসজিদের নামকরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ‘আহমদিয়া মস্ক’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। মসজিদটির বৈশিষ্ট্য এর দুটি মিনার, যা প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু।
ছবি: Nir Alon/ZUMA Wire/dpa/picture-alliance
হাসান বেক মসজিদ
১৯১৬ সালে জাফা অঞ্চলে এই মসজিদটি তৈরি করেন তৎকালীন গভর্নর হাসান বে আল-বাসরি৷
ছবি: W. G. Allgoewer/blickwinkel/picture-alliance
মাহমুদিয়া মসজিদ
জাফা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। ১৭৩০ সালে এই মসজিদ তৈরির ফরমান জারি হলেও কাজ শেষ হতে হতে উনিশ শতক পর্যন্ত লেগে যায়। বর্তমান মসজিদটি ১৮১২ সালে তৈরি। তেল তেল আভিভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মসজিদটির চারপাশে রয়েছে নানা ধরনের পণ্যের বাজার।
ছবি: Hal Beral/VWPics/Imago Images
5 ছবি1 | 5
ইথিওপিয়ায় বহু ইহুদির বসবাস। ২০১৫ সালে ইসরায়েল একটি চুক্তির মাধ্যমে স্থির করে ইথিওপিয়ার সমস্ত ইহুদিকে ইসরায়েলে থাকার জায়গা দেয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ দিন তা সফল ভাবে কার্যকর করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহুর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল কোনো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন। এত দিনে তা সফল ভাবে করা শুরু হলো বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইথিওপিয়ার ইহুদিদের প্রধানমন্ত্রী নিজে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রায় সাত হাজার ইথিওপিয়ান ইহুদিকে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হবে। সরকারের বক্তব্য, এটি হলো ঘরে ফেরার প্রকল্প। ইথিওপিয়ার ইহুদিদের নিজের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার যাঁরা ইসরায়েলে পৌঁছেছেন, তাঁদের অনেকরই পোশাক ছিল ইথিওপিয়ার জাতীয় পোশাক। কোলে শিশু। তাঁরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলে এসে তাঁরা খুশি। বহু দিন ধরেই তাঁরা ইহুদি অধ্যুষিত ইসরায়েলে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। নিজেদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।