1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলে সরকার গঠনে নানা হিসাব-নিকাশ

রিয়াজুল ইসলাম১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনে ডানপন্থী রক্ষণশীলদের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে৷ এক্সিট পোলের হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে ডানপন্থী দলগুলোই বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে যদিও এককভাবে এ মুহুর্তে এগিয়ে আছে মধ্যপন্থী দল কাদিমা পার্টি৷

নির্বাচনে সিপি লিভনির কাদিমা পার্টি এগিয়ে রয়েছেছবি: AP

ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বুধবার৷ কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নানা হিসাব-নিকাশ৷ এক্সিট পোলের হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে ইসরায়েলী সংসদ অর্থাৎ নেসেটের ১২০ আসনের মধ্যে ৩০টি আসন পেয়েছে মধ্যপন্থী কাদিমা পার্টি৷ এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিপি লিভনি৷ মাত্র দুটি আসন কম নিয়ে পেছনেই রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি৷ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কোন দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না৷ তবে কোয়ালিশন করার ক্ষেত্রে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লিকুদ পার্টি৷ কেননা তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে কড়া ডানপন্থী দল ওয়াইসরায়েল বেইতেইনু যার নেতৃত্বে রয়েছেন আভিগডর লিবারম্যান৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাকের দল লেবার পার্টি রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে৷

জোটের মারপ্যাচে লিকুদ পার্টি এগিয়ে

যদিও আসন সংখ্যায় এ মুহুর্তে কাদিমা পার্টি এগিয়ে রয়েছে কিন্তু লিকুদ পার্টির সমর্থকরা মনে করছে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুই হতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী৷ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সমর্থকদের সামনে দেয়া এক বক্তব্যেও তেমন সুর তুলেছেন নেতানিয়াহু৷ তিনি জানিয়েছেন লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে সরকার ইসরায়েলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ এছাড়া সেনা সদস্যদের ভোটও নিজেদের বাক্সে যাবে বলে দাবি করছে লিকুদ পার্টির সমর্থকরা৷

আবারো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন লিকুদ পার্টি নেতা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: AP

এদিকে কাদিমা পার্টির নেত্রী সিপি লিভনিও নিজের বিজয় দাবি করেছেন৷ তবে তিনি ঐকমত্যের সরকার গঠনের কথাও বলেছেন৷ আর এজন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নেতানিয়াহুকেই৷ লিভনি বলেন, জনগণ কাদিমা পার্টিকেই বেছে নিয়েছে আর পরবর্তী সরকার কাদিমা পার্টির নেতৃত্বেই হবে৷ একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে বহাল থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে বিজয়ী যে কোন সংসদ সদস্যকে সরকার গঠনের জন্য আহবান জানাতে পারেন দেশটির প্রেসিডেন্ট৷ তবে সাধারণ নিয়মে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকেই এ আহবান জানানো হয়৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন জোট হলে এক্ষেত্রে নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ৷

ফিলিস্তিনিদের কাছে যেই লাউ সেই কদু

নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো৷ তবে এ নির্বাচনের ফলাফল মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা৷ অন্তত ফিলিস্তিনীরা মনে করছে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা কম৷ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনী মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত বলেন, আমি এটা বেশ স্পষ্টভাবেই বলতে চাই যে, এ নির্বাচনের মাধ্যমে ইসরায়েলে যে প্রকারের সরকার আসুক না কেন তারা দুই রাষ্ট্রের সমাধান মেনে নেবে না৷ তারা স্বাক্ষর হওয়া চুক্তিও মানবে না৷ তারা আগের মতই অবৈধ স্থাপনা নির্মান এবং হামলা অব্যাহত রাখবে৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন এ দুটি আলাদা রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা গত বছর হঠাৎ করেই থেমে যায়৷ তবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চাচ্ছেন সেই আলোচনা আবার শুরু হোক৷ এক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসনের প্রথম পছন্দ উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত সিপি লিভনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ