সরকার গঠন করতে পারলেন না নেতানিয়াহু। প্রেসিডেন্ট এখন অন্য দলকে সরকার গঠন করার জন্য ডাকবেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে তাকে সরকার গঠন করতে হতো। কিন্তু প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা না থাকায় প্রেসিডেন্টের অফিসকে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিলেন, তিনি সরকার গঠন করতে পারবেন না। এবার প্রেসিডেন্ট অন্য দলকে সুযোগ দেবেন। তারা যদি পারে, তাহলে ১২ বছর পর বিরোধী আসনে বসবেন নেতানিয়াহু এবং তার দলের নির্বাচিত সদস্যরা।
কে সরকার গঠন করতে পারে
প্রেসিডেন্ট রিভলিন এবার ইয়াইর ল্যাপিদকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তিনি এখন জোট সরকার গঠন করার চেষ্টা করবেন। তিনি সাবেক টিভি অ্যাঙ্কর এবং নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধী।
এছাড়া নেতানিয়াহুর সাবেক জোটসঙ্গী বেনেট আছেন, তিনি দক্ষিণপন্থি দলের নেতা। তাকেও প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের জন্য ডাকতে পারেন।
ইসরায়েলে গত দুই বছরে চারবার ভোট হয়েছে। নেতারা জোট গঠন করতে হিমশিম খেয়েছেন। শেষ নির্বাচন হয়েছে গত মার্চে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে দুই বছরে পাঁচবার ভোট হবে ইসরায়েলে।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমিরাতের কর্মকর্তার হিব্রু ভাষায় আলাপ
01:22
নেতানিয়াহুর কাছে ধাক্কা
২০০৯ সাল থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ৭০ বছর বয়সী এই নেতা ইসরায়েলে সব চেয়ে বেশিদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্তও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তার আগে তিনি অ্যামেরিকার এমআইটি-তে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়েছেন।
ইরান ও ফিলিস্তিন নিয়ে তার নীতি ছিল খুবই কড়া। তিনি বারবার বলেছেন, ইরান পরমাণু বোমা বানাতে চাইছে এবং ইসরায়েল তা হতে দেবে না। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রেরও বিরোধী।
তার বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের বিচার চলছে। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগের ফলে তিনি বেকায়দায় পড়েছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে তাকে ইসলামপন্থি ইউনাইটেড অরব লিস্ট(ইউএএল) এবং চরম ডানপন্থি জিওনিস্ট পার্টির সমর্থন দরকার ছিল। কিন্তু জিওনিস্ট পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, তারা কিছুতেই ইউএএলের সঙ্গে হাত মেলাবে না। ফলে নেতানিয়াহুর পক্ষেও জোট গঠন করা সম্ভব হয়নি।
জিএইচ/এসজি (এপি, রয়টার্স)
ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ দেশ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির দিক থেকে কোন দশটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে? বিশ্বের ১৩৮টি দেশকে নিয়ে করা বিশ্ব র্যাংকিং অনুযায়ী তার একটা তালিকা থাকছে ছবিঘরে৷ দেখুন...
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hassan
মরক্কো, বিশ্ব র্যাংকিং ৫৭
উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের দেশ মরক্কোর সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার৷ সামরিক খাতে বাজেট এক হাজার কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০. ৮৪০৮৷ ছবিতে মরক্কোর জাতীয় পতাকা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Sputnik/N. Seliverstova
সিরিয়া, বিশ্ব র্যাংকিং ৫৫
দীর্ঘ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ান আরব রিপাবলিকে৷ ফলে বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর শক্তিও কমেছে অনেক৷ তারপরও নয় নাম্বারে রাখতে হবে তাদের৷ দেশটির সক্রিয় সেনা সদস্য এক লাখ ৪২ হাজার জন৷ জিএফপি স্কোর ০. ৮২৪১৷ সামরিক খাতে বাজেট ১৮০ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Str
ইরাক, বিশ্ব র্যাংকিং ৫০
যুদ্ধে বিধ্বস্ত হলেও, অর্থনীতি দুর্বল হয়ে গেলেও আট নাম্বারে রয়েছে ইরাক৷ সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ১৭৩ কোটি ডলার৷ সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ইরাকের সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার৷ জিএফপি স্কোর ০.৭৯১১৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.al-Helo
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশ্ব র্যাংকিং ৪৫
সামরিক শক্তির দিক থেকে আরব বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থাকছে সাত নাম্বারে৷ তাদের জিএফপি স্কোর০.৭০৩৪, সক্রিয় সেনা সদস্য ৬৪ হাজার জন৷ সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ২২৭৫ কোটি ডলার৷
ছবি: Imago/imagebroker
আলজেরিয়া, বিশ্ব র্যাংকিং ২৮
উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের আরেক মুসলিম অধ্যুষিত (৯৯%) দেশ আলজেরিয়ার এক লাখ ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে গড়া সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট ১৩০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০.৪৬৫৯৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Belghoul
ইসরায়েল, বিশ্ব র্যাংকিং ১৮
এক লাখ ৭০ হাজার সক্রিয় সেনাসদস্য নিয়ে ইসরায়েল আছে পঞ্চম স্থানে৷ সামরিক খাতে বাজেট ২০০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০.৩১১১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Hollander
সৌদি আরব, র্যাংকিং ১৭
কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়ার সক্রিয় সেনাসদস্য চার লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি৷ সামরিক খাতে বাজেট ৬৭৬০ কোটি ডলার৷ তবে বিশাল বাজেট হলেও ০.৩০৩৪ জিএফপি স্কোর নিয়ে সৌদি আরব রয়েছে চতুর্থ স্থানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hassan
ইরান, বিশ্ব র্যাংকিং ১৪
ইরানের সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৩ হাজার৷সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ১৯৬০ কোটি ডলার৷ইরানের জিএফপি স্কোর ০.২১৯১৷
ছবি: picture-alliance/R. Fouladi
তুরস্ক, বিশ্ব র্যাংকিং ১১
এর্দোয়ানের দেশ তুরস্কের সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা তিন লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি৷ সামরিক খাতে বছরে ব্যয় ১৯০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০. ২০৯৮৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
মিশর, বিশ্ব র্যাংকিং ৯
আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে আরব রিপাবলিক অব ইজিপ্ট৷ তাদের সামরিক খাতে বাজেট ১১২০ কোটি ডলার এবং সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা চার লাখ ৪০ হাজার৷ জিএফপি স্কোর ০.১৮৭২৷