গোলান মালভূমিতে হামলার অভিযোগ এনে বুধবার দিবাগত রাতে সিরিয়ায় থাকা ‘ইরানের প্রায় সব সামরিক কাঠামোতে' হামলা করেছিল ইসরায়েল৷ তবে ইরান গোলানে ঐ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমি ইসরায়েলের ঐ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন' বলে মন্তব্য করেছেন৷ সিরিয়ায় ইসরায়েলের করা হামলা যুক্তিসঙ্গত দেখাতে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছে বলে জানান তিনি৷ ইসরায়েলের ঐ হামলার সমালোচনা না করায় আন্তর্জাতিক বিশ্বেরও সমালোচনা করেন কাশেমি৷ ‘‘তাদের নীরবতা জিওনিস্ট শাসককে (ইসরায়েল) আরও হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দেয়, যা অত্র অঞ্চলকে আরও অনিরাপদ ও অস্থিতিশীল করে তোলে,'' বলেন তিনি৷
ইরান সংসদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটিও বলেছে, ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কোনো সংযোগ নেই৷ ‘‘প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্যে জিওনিস্ট শাসকের চালানো এটি আরেকটি মিথ্যা,'' বলেন কমিটির মুখপাত্র মোহাম্মদ নাবানদেগানি৷ সিরিয়ায়ইরানের সামরিক বাহিনী থাকার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি৷
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতের পর ইরান ইসরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটস লক্ষ্য করে ২০টি রকেট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ করেছিল ইসরায়েল৷ তবে সেগুলোর একটিও গোলান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি৷ কুদস ফোর্স নামে ইরানের রেভুলিউশনারি গার্ডের একটি অংশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হামলার জন্য দায়ী বলেও অভিযোগ করেছিল ইসরায়েল৷
ইসরায়েলের স্বাধীনতার ৭০ বছর: প্রতিশ্রুত ভূমি, নাকি শত্রুভূমি?
হিব্রু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সত্তর বছর আগে ঠিক এ সময়েই ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল৷ ইউরোপে গণহত্যার শিকারের পর ইহুদিদের জন্য সেই রাষ্ট্র গঠন ঘুরে দাঁড়ানোর একটি পদক্ষেপ৷ দেখা যাক ইসরায়েলের ৭০ বছর...
ছবি: picture-alliance/dpa/akg-images
বহুল প্রতীক্ষিত জয়
১৯৪৮ সালের মে মাসের এই ছবিতে ডেভিড বেন-গুরিয়ানকে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে৷ এসময় তিনি বলছেন, এ পুণ্যভূমির প্রতি মানুষের সবসময় আকুতি ছিল এবং কখনোই তাঁরা রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এই ভূমিতে ফিরে আসার আশা ছাড়েননি৷ এটিই বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ইহুদি রাষ্ট্রের সূচনালগ্ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্ধকারতম সময়
বাইবেল অনুযায়ী, ইহুদিদের বিতর্কিত দাবি হচ্ছে, ‘ঈশ্বর তাদের একটি পবিত্রভূমি’ বরাদ্দ করেছেন৷ ইউরোপজুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লাখ ইহুদি গণহত্যার শিকার হলে নিজস্ব ভূমির যৌক্তিকতা শক্ত হয় ইহুদিদের৷ যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে৷ চালানো হয় নিপীড়ণ আর জোর করে কাজ করানো হয়৷ উপরের ছবিটি আউসভিৎস ক্যাম্পে থাকা জীবিতদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/akg-images
‘নাকবা’ বা আকস্মিক বিপর্যয়
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকামীরা ইহুদিদের ইউরোপ থেকে আগমনকে নাকবা বা বিপর্যয় বলে চিহ্নিত করে৷ ইহুদিরা যখন প্যালেস্টাইনে বসতির জন্য আসে, তখন সেখানকার জনসংখ্যা ছিল ৭ লাখ৷ বিপুল সংখ্যক ইহুদির আগমনে এক ধরনের বিপর্যয় তৈরি হয়৷
ছবি: picture-alliance/CPA Media
কিব্বুজ
শুরুতে বসতি স্থাপনের পর ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনে যৌথ খামার বা কমিউনিটি গড়ে বসবাস শুরু করে৷ এসব কমিউনিটিকে তাঁরা কিব্বুজ বলতেন৷ কিব্বুজগুলোর অনেকগুলোই সেকুল্যার বা সোশ্যালিস্ট মনোভাবাপন্ন ইহুদিদের দ্বারা পরিচালিত হতো, যাতে সমাজ সম্পর্কে ইহুদি জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বচ্ছতা গড়ে ওঠে৷
ছবি: G. Pickow/Three Lions/Hulton Archive/Getty Images
যুদ্ধ
১৯৬৭ সালের জুনে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে ছয় দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল৷ যুদ্ধে আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে তারা মিশর, জর্ডান এবং সিরিয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে সিনাই উপত্যকা, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুসালেম এবং গোলান হাইটস নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়৷ এই জয় ইহুদি বসতি গড়ায় সহায়তা করে, আর মধ্যপ্রাচ্যে ছড়ায় উৎকণ্ঠা৷
ছবি: Keystone/ZUMA/IMAGO
বিতর্কিত বসতি
ভূমি মালিকানা নিয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোতে আন্তর্জাতিক সব চাপ অগ্রাহ্য করে ইহুদি বসতি স্থাপন করা হতে থাকে৷ বসতি স্থাপনের সময় জায়গাটিকে হয় তারা নিজেদের বলে দাবি করেছে, নতুবা বলেছে নিরাপত্তার খাতিরে বসতি স্থাপন করা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/newscom/D. Hill
ইন্তিফাদা
নিজভূমিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৮৭ সালে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা৷ এটি প্রথম ইন্তিফাদা হিসেবে পরিচিত৷ ১৯৮৭ সালে থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ওই ইন্তিফাদা চলে৷ এরপর ইসরায়েল সরকার এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-র মধ্যে অসলো চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷
ছবি: picture-alliance/AFP/E. Baitel
অবশেষে শান্তি!
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের সময় আরব ও ইসরায়েল শান্তি চুক্তি হয়৷ তাতে দুই দেশ একই অপরকে স্বীকৃতি দেয়৷ ইসরায়েলের পক্ষে আইজাক রবিন এবং পিএলও-র পক্ষে ইয়াসির আরাফাত এতে স্বাক্ষর করেন৷ এই চুক্তির কারণে দুই বছর পর রবিন নিহত হন৷
ছবি: picture-alliance/CPA Media
ইসরায়েলে অন্তর্দ্বন্দ্ব
উগ্রপন্থিরা প্রধানমন্ত্রী রবিনকে হত্যা করে ১৯৯৫ সালে ৪ নভেম্বরে৷ সেসময় তিনি রাজধানী তেল আবিবের একটি শান্তি র্যালি থেকে বের হচ্ছিলেন৷ রবিনের হত্যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে উদারপন্থি, মধ্যপন্থি, চরমপন্থি ও ধার্মিক গোষ্ঠীর বিরোধ সামনে চলে আসে৷ রবিনের স্থলাভিষিক্ত হন সিমন পেরেস৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Delay
যা বলা হয়নি
২০০০ সালে জার্মান প্রেসিডেন্ট ইয়োহানেস রাউ ইসরায়েলি আইনসভার কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদি গণহত্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন৷ যা দুই দেশের শিথিল সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেয়
ছবি: picture-alliance/dpa
ইসরায়েলের দেয়াল
২০০২ সালে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় গণবিক্ষোভ বা ইন্তিফাদার সময়ই ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি ও ফিলিস্তিনি বসতির মধ্যে ১০৭ কিলোমিটার লম্বা কাঁটাতার ও কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণ করে৷ নিরাপত্তা ফাঁড়িও বসায় তারা৷ এটি সাময়িকভাবে সংঘাত থামালেও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সম্পর্কে আরো দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত তৈরি করে৷ বর্তমানে ইসরালের নিরাপত্তা বেষ্টনির দৈর্ঘ্য ৭০০ কিলোমিটারে ঠেকেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb/S. Nackstrand
মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা
জার্মানির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এ বছরের মার্চে ইসরায়েল সফর করেন৷ জেরুসালেমে তিনি একটি গণহত্যা জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং গণহত্যার শিকার ইহুদিদের প্রতি সম্মান জানান৷ জার্মান-ইহুদি সম্পর্ক এর মধ্য দিয়ে অতীতের যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি হৃদ্যতাপূর্ণ হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Yefimovich
12 ছবি1 | 12
ইরানের হামলার জবাবে সিরিয়ায় থাকা ইরানের কয়েক ডজন সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার কথা জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জনাথন কনরিকাস৷
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঐ এলাকায় আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন৷ তাই তিনি সবপক্ষকে ‘উসকানিমূলক ও বৈরী আচরণ থেকে বিরত থাকার' অনুরোধ করেছেন৷
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ইরানের হামলা চালানোর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ এমন উসকানিমূলক হামলার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে জার্মানি৷ উত্তেজনা যেন আর না বাড়ে সে ব্যাপারে ঐ বিবৃতিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে৷
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই ঘটনায় ইরানের সমালোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও মহাসচিব গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
আসাদের সাক্ষাৎকার
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ মনে করছেন, তাঁর দেশ গৃহযুদ্ধের চেয়েও আরো বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে৷ সুপারপাওয়াররা যদি প্রত্যক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি৷
গ্রিক সংবাদপত্র ‘কাঠিমেরিনি'-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট আসাদ৷ ডয়চে ভেলের পার্টনার গ্রিক প্রচারমাধ্যম এসকেএআই টিভিতে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
পাঠক, এই লেখাটি আপনার কেমন লাগল? আমাদের জানান নীচের ঘরে৷
ইরান আন্দোলনে বিদেশি ইন্ধন?
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইরানে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন৷ ইরান কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, সে আন্দোলনে বাইরে থেকে ইন্ধন ছিল৷
ছবি: Reuters
হতাশার বিক্ষোভ
২৮ ডিসেম্বর শুরু হয় আন্দোলন৷ মূলত কর্মহীনতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ধনী-গরিবের বিভাজনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তেহরানের রাজপথে৷ কিন্তু দ্রুত সেই আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
গরিবের বিক্ষোভ
মূলত ইরানের গরিব মানুষেরা এই বিক্ষোভে যোগ দেন৷ দেশের সব প্রদেশ থেকেই দলে দলে মানুষ তেহরানে এসে ভিড় জমান৷ প্রদেশগুলিতেও বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বিক্ষোভের মন্ত্র
আন্দোলনের নেতা কে, সে বিষয়ে ধন্ধে ছিল সরকার৷ রাজনৈতিক মহলের মতে এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন৷ বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইরান সরকার লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করুক৷ সিরিয়া এবং ইরাকের রাজনীতিতে নাক গলানো বন্ধ করে বরং অভ্যন্তরীন বিষয়ে মন দিক ইরান সরকার৷
ছবি: twitter_arteshbood
বিক্ষোভ বিরোধিতা
বিক্ষোভের পাঁচদিনের মাথায় প্রথম মুখ খোলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি৷ অভিযোগ করেন, ‘ইরানের শত্রু’রা বিক্ষোভকারীদের হাতে অর্থ, অস্ত্র এবং আন্দোলনের নানাবিধ হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে৷ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের স্থিতিশীলতা টলিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Anadolu Agency/Salampix
বিক্ষোভ দমন
বিক্ষোভ দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷ প্রায় ৪৫০ জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্বের পর ইরানের রাজপথ এত বড় বিক্ষোভ দেখেনি৷
ছবি: Getty Images/AFP
বিক্ষোভ আলোচনা
ইরানের বিক্ষোভ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশ৷ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা ইরানের বিক্ষোভ এবং সরকারের ভূমিকার পক্ষে-বিপক্ষে মত প্রকাশ করে৷ রক্তক্ষয়ের বিষয়টি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে বিভিন্ন মহল৷
ছবি: dolatebahar
পাল্টা বিক্ষোভ
আন্দোলনের ১ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ ঘোষণা করে, আন্দোলন বন্ধ হয়েছে৷ আয়াতুল্লাহ খামেনির পক্ষেও বিশাল মিছিলের আয়োজন হয়৷ তবে বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত৷