1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল-আমিরাত ঐতিহাসিক চুক্তি

১৪ আগস্ট ২০২০

ঐতিহাসিক চুক্তি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে। বিশ্ব রাজনীতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে।

এক কথায় ঐতিহাসিক। ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি চুক্তি সই হবে। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হবে। অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় মতৈক্যে পৌঁছেছে দুই দেশ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প-কার্ড খেললেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল এবং আমিরাতের চুক্তি অ্যামেরিকার ভোটেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক বা পশ্চিম ভূখণ্ডের কয়েকটি অংশ দখল করার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েলের নেতানিয়াহুর সরকার। এই চুক্তির ফলে সেই পরিকল্পনাও আপাতত স্থগিত থাকবে। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পশ্চিম ভূখণ্ড নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে তাতে কিছুটা দেরি হতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ইসরায়েল-প্যালেস্তাইন বিতর্ক এ বার অন্যরকম চেহারা পেতে পারে। আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি এক নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে।

ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতাতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি সম্ভব হয়েছে। দুই দেশের প্রধানই জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজে দুই দেশ হাত মিলিয়ে কাজ করবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকবে। কূটনৈতিক সম্পর্কও শুরু হবে। ইসরায়েল আমিরাতে রাষ্ট্রদূত পাঠাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বস্তুত এই প্রথম কোনও আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সই হলো ইসরায়েলের। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের জন্মের পরে ১৯৭৯ সালে মিশর আর ১৯৯৪ সালে জর্ডনের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছিল ইসরায়েলের। কিন্তু আরব বিশ্বের সঙ্গে এই প্রথম চুক্তি হলো। যার অর্থ উপসাগরীয় অঞ্চল ইসরায়েল-প্যালেস্তাইন সংকটে এ বার নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। তাতে কার লাভ হবে, তা অবশ্য ভবিষ্যতই বলবে।

করোনা-কালে দেশের ভিতর জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন ট্রাম্প। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপন একটি মাইল স্টোন হিসেবেই ব্যবহার করতে চাইবেন ট্রাম্প। বিশ্ব শান্তির জন্য কার্যত অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছেন বলেও দাবি করবেন, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। নেতানিয়াহু অবশ্য এই চুক্তি থেকে কতটা ফায়দা তুলতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে। অনেকেরই বক্তব্য, ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের এই চুক্তি ভালো চোখে না-ও দেখতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিম ভূখণ্ড দখলের যে অঙ্গিকার নেতানিয়াহু করেছিলেন, তা সফল না হলে ইসরায়েলের মানুষ ক্ষুব্ধ হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু অবশ্য জানিয়েছেন, কোনো ভাবেই পশ্চিম ভূখণ্ড নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হবে না। পরিকল্পনায় কোনও রকম পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু আমিরাতের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা আপাতত রূপায়ণ করবে না ইসরায়েল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ