1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল-কসোভোর কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু

২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও কসোভোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হলো। জেরুসালেমে দূতাবাস খুলবে কসোভো।

ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করছেন কসোভো(ডানদিকে) এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: Office of the Kosovo foreign ministry

ডনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টা সফল। ইসরায়েল ও কসোভোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলিজা হারাদিনাজ স্টুবলা এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাশকেনাজি সোমবার একটি ভার্চুয়াল সম্মলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করলেন। দুই নেতাই এ বিষয়ে নথিতে সই করলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ''আজ আমরা ইতিহাস তৈরি করলাম। আমরা কসোভো ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করলাম।''

আর কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ''দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন একটি অধ্যায় লেখার কাজ শুরু হলো।''

এর আগে আমিরাত ও কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করেছে। আমিরাতে এখন ইসরায়েলের পর্যটকদের ঢল নেমেছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যৌথ প্রয়াস

কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর দেশ এবং ইসরায়েল রাষ্ট্র হওয়ার জন্য দীর্ঘ ও চ্যালেঞ্জিং পথ পাড়ি দিয়েছে।

২০০৮ সালে কসোভো সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু অনেক ইউরোপীয় দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি।

ইসরায়েল স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯৪৮ সালে। কিন্তু তারপর থেকে আরব ও মুসলিম দুনিয়া তাদের বয়কট করেছে। তবে এখন সেই অবস্থার বদল হচ্ছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশের সম্পর্ক

কসোভো ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক শুরুর সিদ্ধান্ত হয় গত সেপ্টেম্বরে। ট্রাম্পের আমন্ত্রণে কসোভোর প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হোতি যখন হোয়াইট হাউসে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মিলিত হন।

ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম প্রধান অনেক দেশের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। তাঁর শাসনকালের শেষের দিকে এই আব্রাহাম অ্যাকর্ড রূপায়ণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন ট্রাম্প।

এখনো পর্যন্ত আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে ইসরায়েলের। এবার হলো কসোভোর সঙ্গেও।

বাইডেন কী করবেন

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি তাঁর পূর্বসূরির করা এই চুক্তিগুলিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ''আমরা মনে করি, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিবেশী ও ওই অঞ্চলের অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক যে স্বাভাবিক হচ্ছে, তা ইতিবাচক ঘটনা। আমরা তা সমর্থন করি। আগামী মাস ও বছরগুলিতে সেই সম্পর্ক আরো ভালোভাবে গড়ে তোলার দিকে আমরা নজর দেব।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ