1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য

২৫ নভেম্বর ২০১২

গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ বিষয়টি কীভাবে দেখেন? ইসরায়েলের লেখক আসাফ গাভরন তাঁর সমাজের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন৷

Source News Feed: EMEA Picture Service ,Germany Picture Service An Israeli soldier points his gun at Palestinians who reached the fence between Israel and southern Gaza Strip November 23, 2012. Hamas Islamists enforced a fragile two-day-old truce on Friday by evacuating Palestinians from a "no-go" border zone after Israel shot dead a Gaza resident there in the first fatality since the ceasefire. REUTERS/ Ibraheem Abu Mustafa (GAZA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের লেখক আসাফ গাভরন স্বীকার করেন, যে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ইসরায়েলের মানুষের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ তবে তারও রকমফের ঘটে৷ গাজা থেকে রকেট-বৃষ্টির সময় মানুষ তা হাড়ে-হাড়ে টের পায়৷ বাকি সময় ইসরায়েলের বেশিরভাগ অঞ্চলে মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে জীবন-যাপন করে৷

গাজায় হামাসের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় মানুষ এই সংকট সম্পর্কে আরও বেশি করে আলোচনা করছে বলে মনে করেন আসাফ গাভরন৷ অথচ এক বা দু'মাস আগেও বিষয়টি নিয়ে তেমন কথাবার্তা শোনা যেত না৷ এমনকি আসন্ন নির্বাচনের প্রচারেও মধ্যপ্রাচ্য সংকট তেমন গুরুত্ব পায় নি৷ তাঁর মতে, ইসরায়েলে সব রাজনৈতিক শিবিরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভয় পায়৷ প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইরান'কে মূল শত্রু হিসেবে খাড়া করেছেন, ইসরায়েলকে সে দেশের হুমকির শিকার হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ বাকি দলগুলি জানে, মানুষ ফিলিস্তিনি সংকট নিয়ে কথা বলতে চায় না৷ ফলে তারা তাদের প্রচারে সামাজিক বা অর্থনৈতিক বিষয়গুলিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে৷ এমনকি ‘হাআরেৎস' ছাড়া বাকি সংবাদপত্রগুলিও গত ৪ বছরে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে তেমন কোনো খবর প্রকাশ করে নি৷ এখন অবশ্য পরিস্থিতি আচমকা বদলে গেছে৷

লেখক আসাদ গাভরনছবি: picture alliance / dpa

গাজা থেকে রকেট হামলার সময় তেল আভিভ'এ নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন আসাফ গাভরন৷ তার সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়ে যখন এমন হামলার জানতে চাইলো, তখন তাঁকে বোঝাতে হলো, ‘‘যারা হামলা করেছে তারা খারাপ লোক, কারণ আমরা তাদের ক্ষতি করেছি৷ আসলে আমরাও কিন্তু খারাপ৷''

অতীতে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের নানা সমাধানসূত্র উঠে এসেছে৷ আসাফ গাভরন মনে করেন, প্রতি বার ইসরায়েল সেই সুযোগ হারিয়েছে৷ ফলে পরবর্তী প্রজন্মকে সেই অবস্থায় থাকতে হচ্ছে৷ কোনো পরিবর্তনই ঘটছে না৷ হয়তো এমন এক নেতার প্রয়োজন, যিনি যথেষ্ট সমর্থন আদায় করে সংকটের মূলে আঘাত করতে পারেন৷ তবে ফিলিস্তিনিদেরও সে রকম একজন নেতা থাকতে হবে৷ আসলে সাধারণ মানুষ শুধু শান্তি চায়৷ এ প্রসঙ্গে তিনি অবশ্য মনে করিয়ে দেন, যে রাজনৈতিক স্তরে অচলাবস্থা সত্ত্বেও ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আদান-প্রদান অনেক বেড়ে গেছে৷ তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি এলাকার মধ্যে প্রাচীরের বিরুদ্ধে দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আয়োজন করে৷ ফিলিস্তিনি এলাকায় ফসল তোলার সময় অনেক ইসরায়েলি যান সাহায্য করতে৷ তারা পুলিশ ও ইহুদি বসতিকারীদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ান৷ তবে দুঃখের কথা, তাদের সংখ্যা খুবই কম৷

প্রতিবেদন: ফ্রিডেরিকে শুলৎস/এসবি

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ