গত বছর থেকে ইসরায়েল-মরক্কো কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় রোববার থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হলো বিমান চলাচল৷
বিজ্ঞাপন
মরক্কোর রাজধানী মারাকেশ ও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের মধ্যে সরাসরি বিমান চালু করলো দুটি ইসরায়েলি বিমান সংস্থা৷ গত বছর থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের যে ধারার সূত্রপাত হয়, এই পদক্ষেপ তারই সম্প্রসারণ৷
গত বছর ডিসেম্বর মাসে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও মরক্কো৷ এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
বিমান চলাচলের বিষয়ে ইসরায়েলি পর্যটন মন্ত্রী ইওয়েল রাসভোজভ বলেন, ‘‘এই রুটে বিমান চলাচল দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে৷’’
ইসরায়েলের কূটনীতিক গালিত পেলেগ এ বিষয়ে একটি টুইট করেন৷ এক সময়ে মরক্কো কাজ করা গালিত মনে করেন, এই পদক্ষেপ শান্তির বার্তা আনবে দুই দেশের জন্য৷
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তেল আবিব থেকে মারাকেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ইসরাএয়ার সংস্থার একটি বিমান৷ বিমানকর্মীদের পরনে ছিল মরোক্কান পোশাক ও বিমানে যাত্রীদের জন্য মরোক্কান খাবারের ব্যবস্থাও ছিল৷
আরেকটি বিমান সংস্থা এল আলের একটি বিমান একই দিনে সকাল ১১টা বেজে ৩৫ মিনিটে মরক্কোর উদ্দেশ্যে উড়ে যায়৷ প্রতি সপ্তাহে, এল আলের পাঁচটি ও ইসরাএয়ারের দুটি বিমান উড়বে এই পথে৷
এছাড়া আরকিয়া ও রয়াল এয়ার মারোক বিমান সংস্থাও জানিয়েছে যে, আগামী মাস থেকে এই পথে বিমান যোগাযোগ চালু করবে তারা৷
উন্নতসম্পর্ক, উন্নতপর্যটন
মরক্কোতে এক সময় উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি ইহুদি বাস করতেন৷ কিন্তু ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি চলে যান ইসরায়েলে৷ বর্তমানে, মরক্কোতে আনুমানিক তিন হাজার ইহুদির বাস, যদিও ইসরায়েলের বহু ইহুদি বাসিন্দারা নিজেদের মরোক্কান ইহুদি পরিচয় দিয়ে থাকেন৷
মরক্কো কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০০ সালে রাবাতের ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের পর থেকেই ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কে জটিলতা বাড়ে, যা গত বছর থেকে নতুন করে উন্নতির দিকে৷
এ বছর মার্চ মাসে মরক্কোর পর্যটন মন্ত্রী নাদিয়া ফেত্তাহ আলাওউই জানান যে, উন্নত সম্পর্কের জেরে মোট দুই লাখ ইসরায়েলি পর্যটক মরক্কোতে আসবেন বলে তার ধারণা৷ করোনা অতিমারির ফলে মরক্কোর থমকে যাওয়া পর্যটনে বদল আনতে পারে এই নতুন বিমান চলাচল, আশা করছেন অনেকে৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)
ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ দেশ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির দিক থেকে কোন দশটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে? বিশ্বের ১৩৮টি দেশকে নিয়ে করা বিশ্ব র্যাংকিং অনুযায়ী তার একটা তালিকা থাকছে ছবিঘরে৷ দেখুন...
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hassan
মরক্কো, বিশ্ব র্যাংকিং ৫৭
উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের দেশ মরক্কোর সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার৷ সামরিক খাতে বাজেট এক হাজার কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০. ৮৪০৮৷ ছবিতে মরক্কোর জাতীয় পতাকা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Sputnik/N. Seliverstova
সিরিয়া, বিশ্ব র্যাংকিং ৫৫
দীর্ঘ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ান আরব রিপাবলিকে৷ ফলে বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর শক্তিও কমেছে অনেক৷ তারপরও নয় নাম্বারে রাখতে হবে তাদের৷ দেশটির সক্রিয় সেনা সদস্য এক লাখ ৪২ হাজার জন৷ জিএফপি স্কোর ০. ৮২৪১৷ সামরিক খাতে বাজেট ১৮০ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Str
ইরাক, বিশ্ব র্যাংকিং ৫০
যুদ্ধে বিধ্বস্ত হলেও, অর্থনীতি দুর্বল হয়ে গেলেও আট নাম্বারে রয়েছে ইরাক৷ সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ১৭৩ কোটি ডলার৷ সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ইরাকের সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার৷ জিএফপি স্কোর ০.৭৯১১৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.al-Helo
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বিশ্ব র্যাংকিং ৪৫
সামরিক শক্তির দিক থেকে আরব বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থাকছে সাত নাম্বারে৷ তাদের জিএফপি স্কোর০.৭০৩৪, সক্রিয় সেনা সদস্য ৬৪ হাজার জন৷ সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ২২৭৫ কোটি ডলার৷
ছবি: Imago/imagebroker
আলজেরিয়া, বিশ্ব র্যাংকিং ২৮
উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের আরেক মুসলিম অধ্যুষিত (৯৯%) দেশ আলজেরিয়ার এক লাখ ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে গড়া সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট ১৩০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০.৪৬৫৯৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Belghoul
ইসরায়েল, বিশ্ব র্যাংকিং ১৮
এক লাখ ৭০ হাজার সক্রিয় সেনাসদস্য নিয়ে ইসরায়েল আছে পঞ্চম স্থানে৷ সামরিক খাতে বাজেট ২০০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০.৩১১১৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Hollander
সৌদি আরব, র্যাংকিং ১৭
কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়ার সক্রিয় সেনাসদস্য চার লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি৷ সামরিক খাতে বাজেট ৬৭৬০ কোটি ডলার৷ তবে বিশাল বাজেট হলেও ০.৩০৩৪ জিএফপি স্কোর নিয়ে সৌদি আরব রয়েছে চতুর্থ স্থানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Hassan
ইরান, বিশ্ব র্যাংকিং ১৪
ইরানের সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৩ হাজার৷সামরিক খাতে বার্ষিক ব্যয় ১৯৬০ কোটি ডলার৷ইরানের জিএফপি স্কোর ০.২১৯১৷
ছবি: picture-alliance/R. Fouladi
তুরস্ক, বিশ্ব র্যাংকিং ১১
এর্দোয়ানের দেশ তুরস্কের সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা তিন লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি৷ সামরিক খাতে বছরে ব্যয় ১৯০০ কোটি ডলার৷ জিএফপি স্কোর ০. ২০৯৮৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
মিশর, বিশ্ব র্যাংকিং ৯
আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে আরব রিপাবলিক অব ইজিপ্ট৷ তাদের সামরিক খাতে বাজেট ১১২০ কোটি ডলার এবং সক্রিয় সেনাসদস্য সংখ্যা চার লাখ ৪০ হাজার৷ জিএফপি স্কোর ০.১৮৭২৷