1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল - হামাস আলোচনা আবারো অন্ধকারে

সাগর সরওয়ার ৫ জুলাই ২০০৮

একজন ইসরায়েলী সেনাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে সামনে রেখে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, শুক্রবার তা ভেঙ্গে গেছে৷

বন্দি ইসরায়েলী সেনা গিলাদ শালিতছবি: AP

ইসরায়েল গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এবং গাজ়া থেকে ইসরায়েলে পর পর বেশ কয়েকবার রকেট হামলার কারণে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷

আগামী সপ্তাহে মিশরে এই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ সকলে ধারণা করেছিল, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এই আলোচনার ফলে গাজা নিয়ে দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের পথে হয়তো আলো দেখা দেবে৷ কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে এই আলোচনা ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষণার ফলে আলোর পথে আবারো অন্ধকার জেঁকে বসেছে৷

তাহলে কি আলোচনার আর কোনই সম্ভাবনা নেই? - এমন প্রশ্নের উত্তরে হামাস নেতারা বলছেন, তারা নয়, ইসরায়েলই আলোচনার সব বন্ধ রুদ্ধ হরে দিয়েছে৷ হামাস প্রশাসনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, গাজার সঙ্গে সকল সীমান্ত পথ বন্ধ করে দিয়ে ইসরায়েল প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধবিরতি এবং সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে মোটেই আন্তরিক নয়৷ অবশ্য ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি লঙ্ঘন করে নি, করেছে হামাস৷

মিশরের কাছে দু:খ প্রকাশ করে হামাস বলেছে, ……আমরা মিশরীয় ভাইদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি৷ সেই সঙ্গে তাদের কাছে আমরা জানিয়েছি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রতি কোন সম্মান না দেখিয়ে চুক্তিটি লঙ্ঘন করেছে৷ আমরা আর ইসরায়েলকে বিশ্বাস করতে পারছি না৷–– হামাসের মুখপাত্র ওসামা আল মুজিনি বলেন, এর ফলে বন্দি ইসরায়েলী সেনা গিলাদ শালিত কে হস্তান্তরের বিষয়ে যে চুক্তিটি হওয়ার কথা ছিল তা আপাতত হচ্ছে না৷ তবে তিনি বলেন, এই আলোচনা আবার শুরু হতে পারে, তবে তা নির্ভর করছে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি বাস্তবায়নে কতটা আন্তরিকতা এবং সম্মান দেখায় তার উপর৷ মুজনি বলেন, হামাস চেয়েছিল, ইসরায়েলের কাছে বন্দি তাদের এক হাজার সদস্যের পর্যায়ক্রমে মুক্তি৷ কথা ছিল ইসরায়েল প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৪০০ দীর্ঘ মেয়াদের বন্দিকে মুক্তি দেবে৷ কিন্তু দেখা গেলে এ পর্যায়ে ইসরায়েল কেবলমাত্র ৭০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে৷ তিনি বলেন, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না৷

দুই বছর আগে হামাস গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে ইসরায়েলী সেনা সদস্য গিলাদ শালিত৷ গত ১৯ জুন মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল৷

গত কয়েকদিন ধরে গাজা থেকে ইসরায়েল ভূখণ্ডে রকেট হামলার পর সীমান্ত সীল করে দেয় ইসরায়েল৷

অনুমান করা হচ্ছে, হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী বেশ কয়েকটি ছোট ছোট বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই হামলা চালাতে পারে৷ তবে হামাসের অভ্যন্তরেই ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা এবং চুক্তি নিয়ে মত বিরোধ রয়েছে৷ হামাসের বিক্ষুব্ধ অংশও এ ধরনের হামলা পরিচালনা করতে পারে বলেও ধারণা করা হয়৷ হামাসের পলিটবুরোর উপ প্রধান মুসা আবু মারসুক বলেছেন, এই রকেট ছুড়েছে ফাতাহ গ্রুপের অন্যতম প্রধান মোহাম্মদ দাহলানের অনুসারীরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ