1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরোর তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত ৪জন মহাকাশ বিজ্ঞানী

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ইসরোর অন্তরীক্ষ-দেভাস চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নায়ারসহ চারজন মহাকাশ বিজ্ঞানীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের বক্তব্য, এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷

ইসরো’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নায়ারছবি: UNI

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অন্তরীক্ষ ও বেসরকারি সংস্থা দেভাসের মধ্যে এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম বন্টন চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের জন্য প্রাক্তন ভিজিলান্স কমিশনার প্রত্যুষ সিনহার নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, চুক্তিতে স্বচ্ছতা নেই৷ পদ্ধতিগত নিয়মবিধি মানা হয়নি৷ বেসরকারি সংস্থা দেভাসকে বেআইনিভাবে সুবিধা দেয়া হয়েছিল৷ তার জন্য ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি. মাধবন নায়ারসহ চারজন শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়৷

এর প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নায়ারের বক্তব্য, রিপোর্ট ভুল এবং সামঞ্জস্যহীন৷ দ্বিতীয়ত, রিপোর্টের বিশেষ বিশেষ অংশ প্রকাশ করা হয়েছে, পুরোটা নয় কেন? তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশবশত ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান ড. রাধাকৃষ্ণানের চক্রান্ত এটা৷ কেন সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হয়নি৷ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি৷সত্যিই যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে সরকারিভাবে তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক, দাবি নায়ারের৷

বর্তমান কেলেঙ্কারির ফলে ইসরো’র কৃতিত্বগুলির উপর ছায়া পড়ছেছবি: picture-alliance/dpa

এবিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নারায়নস্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি বলে মাধবন নায়ার দেশকে বিভ্রান্ত করছেন৷ কমিটির রিপোর্টে আছে, ব্যক্তিগতভাবে মাধবন নায়ারের বক্তব্য শোনা হয়েছিল৷ প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মানা হয়েছিল৷ শুধু তাই নয় তাঁদের প্রশ্নমালা পাঠানো হয়েছিল এবং তাঁরা উত্তরও দিয়েছিলেন৷

আসল অভিযোগটা হলো, ২০০৫সালে দেভাস নামে ব্যাঙ্গালোর-ভিত্তিক একটি বেসরকারি কোম্পানিকে মাত্র এক হাজার কোটি টাকায় ৭০ মেগাহার্টজ এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম বন্টন করে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অন্তরীক্ষ৷ এজন্য দুটি উপগ্রহ জি-স্যাট-৬ এবং জি-স্যাট-৬এ তৈরি করা হয়৷ গত বছর থ্রি-জি স্পেকট্রাম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী যার বাজার দাম হওয়া উচিত তিন লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা৷ ফলে সরকারের বিশাল অঙ্কের লোকসান হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ