1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামিক স্টেটে যোগ দিচ্ছে এশিয়ার মানুষ

গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসিবি২৮ জানুয়ারি ২০১৫

মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে চার হাজারের মতো মানুষ আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন সংস্থাটির কর্মকর্তা ডিয়ারড্রি টাইনেন৷

Propagandabild IS-Kämpfer ARCHIV
ছবি: picture-alliance/abaca/Yaghobzadeh Rafael

সম্প্রতি ‘মধ্য এশিয়ায় মৌলবাদ কায়েমের ডাক দিচ্ছে সিরিয়া' – শিরোনামের এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান থেকে অনেক মানুষ ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এ যোগ দিচ্ছে৷ সরকারগুলোর মৌলবাদ প্রতিরোধে প্রচেষ্টার অভাব, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং ধর্ম সম্পর্কে সাধারণের জ্ঞানের অভাবের কারণেই আইএস ওই অঞ্চলে সফল হচ্ছে বলে মনে করে আইসিজি-র মধ্য এশিয়ার প্রকল্প পরিচালক ডিয়ারড্রি টাইনেন৷

ডিডাব্লিউ: ইসলামিক স্টেটের এই সমর্থকরা কোথা থেকে আসছে?

ডিয়ারড্রি টাইনেন: এ এলাকায় উগ্রপন্থিরা মূলত মসজিদ এবং প্রার্থনার স্থানগুলোতে গিয়েই লোকজনকে দলে টানছে৷ ফলে সমাজের সব শ্রেণির লোকই থাকছে সেখানে৷ মেয়েরাও যাচ্ছে৷

প্রধানত প্রান্তিকীকরণ এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণেই এমনটি হচ্ছে: টাইনেনছবি: AFP/Getty Images/M. Mordasov

এ অঞ্চলের আইএস সমর্থকদের বৈশিষ্ট্যগুলো একটু বুঝিযে বলবেন?

আইএস সমর্থকদের নির্দিষ্ট কোনো বৈশিষ্ট্যের কথা বলা কঠিন৷ সমাজের সব স্তরের লোকজনই যে আইএস-এর দিকে ঝুঁকছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা বুঝতে পারে না৷ ১৭ বছর বয়সি হেয়ার ড্রেসার, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, খেলাফত কায়েম হলে তাঁদের সন্তানরা ভালো থাকবে এ কথা বিশ্বাস করা পরিবার, বেকার তরুণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, স্কুল থেকে ঝরে পড়া কিশোর – বলতে গেলে সব কাতার থেকেই মানুষ আজকাল আইএস-এ যাচ্ছে৷ তারা মনে করে, সোভিয়েত পরবর্তী সময়ের চেয়ে আইএস-এর অঙ্গিকার করা খেলাফত ভালো হবে৷ আসলে আইএস-এর জন্য আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের চেয়ে মধ্য এশিয়া থেকে লোক সংগ্রহ করা অনেক সহজ৷

কিন্তু দেশ ছেড়ে তাঁদের আইএস-এ যোগ দিতে যাওয়ার কারণ কী?

প্রধানত প্রান্তিকীকরণ এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণেই এমনটি হচ্ছে৷ আইএস শুধু সম্মুখ সমরে অংশ নিতে সক্ষম লোকদেরই দলে টানছে না, সবাইকেই নিচ্ছে৷ মেয়েরাও যাচ্ছে৷ সবসময় যে ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এ আশায় সবাই যাচ্ছে তা-ও নয়৷ অনেকে রোমাঞ্চকর কিছু করা কিংবা অস্ত্র হাতে নেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনের তাড়না থেকেও সেখানে যাচ্ছে৷ তবে মধ্য এশিয়াতে মৌলবাদের দিকে ঝোঁক বাড়ছে৷ ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞানের অভাব এবং ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকায় তা আরো দ্রুত হচ্ছে৷

সমর্থকদের কীভাবে সংগ্রহ করে আইএস?

মসজিদ এবং প্রায় সব নামাজখানায় যায় ওরা৷ সমর্থক সংগ্রহে ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকেও ব্যবহার করছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ স্থানীয়দের বাড়ি, অভিবাসীদের বাড়িতেও যায় ওরা৷ শুধু মধ্য এশিয়া, রাশিয়া এবং তুরস্কতেই নয়, মিশর, সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এমন তৎপরতা বাড়ছে৷

এই তৎপরতা মধ্য এশিয়া এবং আশেপাশের দেশগুলোর সরকারগুলোর জন্য কতটা হুমকিস্বরূপ?

মধ্য এশিয়ায় আইএস-এর হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য অনেকেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে৷ ফলে এসব দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে৷ বড় কিছু ঘটার আশঙ্কা দেখা দিলে তা প্রতিহত করা মুশকিল, কেননা সরকারগুলোর এ বিষয়ে প্রস্তুতি খুব দুর্বল৷

এ বিষয়ে মধ্য এশিয়ার সরকারগুলো কী করছে?

তাজিকস্তান এবং কাজাখস্তান বিদেশে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে অংশ নেয়া রুখতেও আইন করেছে৷ তাজিকস্তানে তা ২০১৪ সালের জুলাই থেকে আর কাজাখস্তানে গত জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে৷ উজবেকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিরঘিস্তানের সংসদ বিদেশে যুদ্ধে অংশ নেয়া জঙ্গিকে ৮ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার সুপারিশ অনুমোদন করেছে৷

ডিয়ারড্রি টাইনেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মধ্য-এশিয়ার প্রকল্প পরিচালক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ