1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে ১০০ জন প্রশিক্ষক?

নাওমি কনরাড/এসি১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

জার্মানি উত্তর ইরাকে সৈন্য পাঠানোর কথা ভাবছে, কিন্তু প্রশিক্ষক হিসেবে৷ তারা কুর্দদের আইএস বা আইসিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন৷ যা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়, বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের নাওমি কনরাড৷

Steinmeier und Von der Leyen Bundeskabinett Ressekonferenz Berlin 17.12.2014
ছবি: Reuters/H. Hanschke

দৃশ্যটি দেখার মতো: জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দু'জনে দাঁড়িয়ে আছেন মুখ গম্ভীর করে, চারপাশে সাংবাদিকদের ডজন-ডজন ক্যামেরা৷ দুই রাজনীতিকের আবেগপূর্ণ বিবৃতির মর্ম হলো: জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর অকল্পনীয় বর্বরতার অবসান ঘটানো চাই; অবহেলা কোরো না, যারা বর্বরতা, বীভৎসতা আর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাদের সাহায্য করো৷ ইরাকে পেশমার্গা আইসিস বীভৎসতার বিরুদ্ধে লড়ছে এবং জার্মানি তাদের একা ফেলে রাখছে না – বললেন মন্ত্রীদ্বয়, আলোকচিত্রীরা তখন ভিডিও ক্যামেরার দঙ্গলকে পাশে হটিয়ে মন্ত্রীদের মুখের ভাবটি ছবিতে ধরে রাখার চেষ্টা করছে৷

তবে কি জার্মানি তার সর্বাধুনিক জঙ্গিজেটগুলো নিয়ে আইএস-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিমান হানায় সামিল হবে? না, জার্মানি শুধু উত্তর ইরাকে প্রশিক্ষক পাঠাবে৷ জার্মান সরকার গত বুধবার সকালে ঠিক এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন৷ জার্মান সেনাবাহিনীর একশো জন অবধি প্রশিক্ষক উত্তর ইরাকের এরবিল-এ কুর্দ সেনাবাহিনীকে ট্রেনিং দেবেন৷ তাঁদের সনদ হবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার, যুদ্ধ করার নয়, বলেছেন স্টাইনমায়ার৷ এছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি বদলালে যে কোনো সময় এই সিদ্ধান্ত বদলে যেতে পারে – সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ অর্থাৎ জার্মানি যে আইএস-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের বিমান হানায় অংশ নেবে না, সে'টুকু স্পষ্ট৷

নাওমি কনরাডছবি: DW/S. Eichberg

জার্মানি তার ‘যথাসাধ্য' করছে

জার্মান সংসদ প্রশিক্ষক অভিযানের অনুমোদন দেবে আগামী বছরে৷ তবে দুই মন্ত্রী ইতিমধ্যেই বার্লিনের প্রেস ভবনের সুবিশাল ক্রিসমাস ট্রি-র পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের শান্তির বাণী শুনিয়েছেন: সিরিয়া এবং ইরাকে শান্তি আনয়নের জন্য জার্মানি যথাসাধ্য করছে৷ অবশ্য নিজে যুদ্ধ না করে৷ প্রথমে জার্মান অস্ত্রশস্ত্র এবং ত্রাণসাহায্য পাঠানো হয়েছে৷ এবার যাচ্ছেন প্রশিক্ষকরা৷

এটা কি প্রায় ব্যঙ্গ করার মতো নয়? ইরাক আর সিরিয়ায় জিহাদিরা যথেচ্ছ অভিয়ান চালাচ্ছে: অন্য ধর্মের মানুষ এবং বিদেশি সাংবাদিকদের হত্যা করছে; ইয়াজিদি নারীদের ধর্ষণ করছে এবং ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করছে; স্কুলে কি হাসপাতালে তাদের মতাদর্শ প্রচার করছে; অবিশ্বাস্য পাশবিকতার সঙ্গে তাদের বার্তা প্রচার করছে – সবই ইসলামের নামে, যদিও তারা সেই ধর্মমতের ভুল ব্যাখ্যা করে তাকে বিকৃত করছে৷এক কথায়: সিরিয়া এবং ইরাকে একটি অমানুষিক, রক্তাক্ত শাসনব্যবস্থা জন্ম নিচ্ছে, যা শুধু নাইজেরিয়া, পাকিস্তান কিংবা মিশরেই নয়, ইউরোপ তথা অস্ট্রেলিয়াতেও হাজার হাজার সমর্থক পাচ্ছে৷ এবং তা থামানোর জন্য জার্মান সরকার একশো প্রশিক্ষক পাঠাচ্ছেন৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক কয়েক মাস আগে যে নতুন দায়িত্বের কথা বলেছিলেন, সেই দায়িত্ব কি এতেই পালন করা হয়ে যাচ্ছে?

অসহায়তার বহির্প্রকাশ

আইএস বা আইসিস সম্পর্কে কী করা উচিত, এ প্রশ্নের কোনো সহজ জবাব নেই – যেমন সিরিয়া কিংবা ইরাকের জন্যে কোনো সহজ সামরিক কিংবা রাজনৈতিক সমাধান নেই৷ অন্তত আজ আর নেই, আগে যদি কখনও তা থেকে থাকে৷ আসাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিরোধীদের সাহায্য করার প্রশ্নে বহির্বিশ্ব বড় বেশি দোনামোনা করেছে৷ তার ফলে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ এবং ইসলামি জঙ্গিবাদ সেই শূন্যতায় বেড়ে উঠতে পেরেছে৷ বিমান হানা, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং এমন সব প্রশিক্ষক, যারা এই সব অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেবেন৷ সব সত্ত্বেও এই প্রশিক্ষক পাঠানোতে যেন কোথাও এক অসহায়তার ভাব রয়ে গেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ