1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়ন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ নভেম্বর ২০১৫

প্যারিসে ভয়াবহ হামলার প্রেক্ষাপটে জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত ৪০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ৷সেখানে বাংলাদেশ না থাকলেও,কয়েকটি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ আছে৷

Symbolbild IS Soldaten
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/Medyan Dairieh

[No title]

This browser does not support the audio element.

গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের তিনজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তাঁরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে ৷ তাঁরা ঐ সংগঠনটিকে ব্যাংকের মাধ্যমে মোট এক কোটি আট লাখ টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ব়্যাব৷ এই তিনজন আইনজীবী হলেন – ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, লিটন এবং বাপন৷

বাংলাদেশের তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান – ইসলামী ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বা এসআইবিএল-এর বিরুদ্ধেও আছে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ৷ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির এক প্রতিবেদনেও এই তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে৷

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘‘ইসলামী ব্যাংকে এমন কিছু অ্যাকাউন্ট হোল্ডার পাওয়া গেছে, যাঁদের নাম ছিল জাতিসংঘের সন্দেহের তালিকায়৷ এ সব অ্যাকাউন্টের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘লুকিয়েছিল' ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷''

এছাড়া অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতও তাঁর গবেষণায় বলেছেন, ‘‘ইসলামী ব্যাংক জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান৷ এই ব্যাংক নানা ধরণের অদৃশ্য খাতে অর্থ খরচ করে৷ তাই তাদের পক্ষে জঙ্গি অর্থায়ন অসম্ভব কিছু না৷''

সরকার জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে ২০১২ সালে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ, সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০১২ এবং অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা অধ্যাদেশ-২০১২ নামে তিনটি অধ্যাদেশ জারি করে৷

এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন সম্পর্কিত মামলা দায়েরের জন্য দু'টি পৃথক যৌথ তদন্ত ইউনিট গঠন করা হয়েছে৷ যৌথ এ তদন্ত ইউনিটে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ইন্টেলিজেন্স ইউনিট রয়েছে৷

এদিকে মুদ্রা পাচার ও জঙ্গি বা সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপের সত্যতা যাচাইয়ে গত অক্টোবর মাসে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) অন মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রায় দু'সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থান করে৷ তারা জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে তখন প্রশ্নও তোলে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়ন হয় প্রধানত ইনফর্মাল সেক্টরের মাধ্যমে৷ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা এখনো তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারেনি৷ তাই জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে এদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন পর্যন্ত ব্যাংক নজরদারি করতে পারে৷ তবে কোন খাতে শেষ পর্যন্ত এই অর্থ ব্যবহার করা হয়, তা বের করার মতো গোয়েন্দা দক্ষতা এখনো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর হয়নি৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক-এ জঙ্গি অর্থায়ন বিরোধী ইন্টেলিজেন্স সেল গঠন করা হয়েছে৷ এটা নিয়ে দুদক কাজ করছে, কাজ করছে পুলিশের বিশেষ তদন্ত বিভাগও৷ তবে তাদের দক্ষ হতে সময় লাগবে৷''

বাংলাদেশে কি সত্যিই জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে? আপনি কি শুনেছেন এমন কিছু? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ