1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলাম বিরোধী ছবি

১২ সেপ্টেম্বর ২০১২

ইসলাম বিরোধী একটি ভিডিওচিত্র নিয়ে বিক্ষোভের জেরে নিহত হয়েছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সহ চারজন মার্কিন নাগরিক৷ এই ঘটনায় লিবিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে৷

ছবি: dapd

ইসলাম ধর্ম হলো ‘ক্যান্সার'এর মতো৷ মন্তব্যটা স্যাম বাচিলে'র৷ তিনি একজন ইসরায়েলি-অ্যামেরিকান ইহুদি৷ তাঁর নির্মিত ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস' ছবিতে মহানবী (সাঃ) কে একাধিক নারীর সঙ্গে শয্যাগ্রহণকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে৷ ছবিটি অ্যামেরিকায় তৈরি হয়েছে৷ প্রায় ১০০ জন ইহুদি দাতা এজন্য প্রায় ৫০ লক্ষ ডলার অনুদান দিয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল' পত্রিকাকে জানিয়েছেন বাচিলে৷

গত জুলাই মাস থেকে ছবিটি ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে৷ তবে এতোদিন পর খবর পেয়ে মঙ্গলবার মিশর ও লিবিয়ার মুসলমানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কায়রোর মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে৷ এক পর্যায়ে তাদের কয়েকজন প্রাচীর টপকে দূতাবাসে ঢুকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে ফেলে সেখানে একটি ইসলামিক কালো পতাকা উড়িয়ে দেয়৷ পতাকাটি কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷

এর কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধ জনতা লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনসুলেট ভবনে হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এতে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্স সহ চার মার্কিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন৷

বেনগাজিতে জ্বলছে মার্কিন কনসুলেটছবি: Reuters

এক লিবীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কনসুলেটে হামলা হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত সহ কর্মকর্তাদের গাড়িতে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছিল৷ সেসময় তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা হয়৷ এতে ঐ চারজন নিহত হন৷

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাষ্ট্রদূত স্টিভেন্স নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি এর তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন৷ ওবামা বলেন, তিনি লিবিয়ায় থাকা অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তার নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশ দিয়েছেন৷ এছাড়া সারা বিশ্বের মার্কিন মিশনগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন৷ জার্মানিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷

এই ঘটনায় লিবিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে৷ লিবিয়ার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ‘জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস' এর প্রেসিডেন্ট মোহামেদ আল-মেগারিয়েফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং সেদেশের জনগণ সহ সারা বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি৷'' এছাড়া অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করারও অঙ্গীকার করেন তিনি৷

এদিকে লিবিয়ার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ানিস আল-শরিফ জানিয়েছেন, গাদ্দাফির সমর্থকরা মার্কিন কনসুলেটে হামলার কাজটি করে থাকতে পারে৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ