বেবি, মানে একেবারে কচিকাঁচাদের মধ্যে এমন কিছু একটা আছে, যা আমাদের টানে৷ সেটা একদিকে যেমন তাদের অসহায়তা, অন্যদিকে তেমন তাদের অতি তাড়াতাড়ি নতুন কিছু একটা শিখে নেওয়ার ক্ষমতা৷ বেবিদের শেখার একটা বড় পন্থা হলো, অন্যরা যা করছে, তার নকল করা৷ ভাবটা যেন: তুমি যা করছ, তা আমিও পারি৷
দ্বিতীয়ত, বেবিরা অতিমাত্রায় সাম্যবাদী; তাদের কাছে মানুষ আর জীবজন্তুর মধ্যে বিশেষ কোনো ফারাক নেই৷ ইউটিউবেই কত ভিডিও পাবেন, যেখানে বেবিরা বা শিশুরা পাল্লা দিয়ে কুকুর-বেড়ালের সঙ্গে কম্পিটিশন করে যাচ্ছে৷ আবার কুকুররাও দেখবেন, বেবিরা যা করছে, নির্দ্বিধায় তার নকল করে৷ কখনো-সখনো বেবি যেটা পারছে না – যেমন হামাগুড়ি দেওয়া – বাড়ির পোষা কুকুর সেটা বেবিকে শিখিয়ে দেওয়া চেষ্টা করে!
অর্থাৎ বেবি আর তার ছোট্ট জগতের সঙ্গিসাথি – যেমন বাড়ির কুকুর কিংবা খেলনা – এই দু'পক্ষের মধ্যে অনুকরণ, সহযোগিতা আর প্রতিযোগিতার একটা ত্রিধারা গড়ে ওঠে৷ যেমন আমাদের খাড়াচুল বেবি আর তার ইস্টার খরগোশ খেলনাটির মধ্যে৷ ইস্টারের ‘বানি' – মানে বানি ব়্যাবিট – গান চালিয়ে কান নাড়তে শুরু করলেই, বেবিও হাত নেড়ে তার অনুকরণ বা মোকাবিলা করার চেষ্টা করে৷ তা বেচারার লম্বা লম্বা কান নেই, তো সে কী করবে; হাতগুলো রয়েছে কী করতে? আর আমরা যে বেবির আন্তরিক চেষ্টা দেখে হেসে কুটিপাটি হই, সেটাও তো আমাদেরই বোকামি৷ আমরা হাসছি বলে সে কি শিখবে না? ইস্টার খরগোশ জিতে যাবে?
এসি/ডিজি
দেখতে সুন্দর ও আদরণীয় বলেই আমরা বিড়াল কিংবা কাঠবিড়ালির মতো প্রাণী পুষে থাকি৷ কিন্তু তারাই অন্যদের ক্ষতি করছে৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথা৷
ছবি: picture alliance/chromorange/B. Tuerkপোষা প্রাণী হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে উত্তর অ্যামেরিকা থেকে ধূসর রঙয়ের এই কাঠবিড়ালিদের ইউরোপে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু তারা এসে কী করলো? ইউরোপের যে নিজস্ব লাল রঙয়ের কাঠবিড়ালি আছে সেগুলো আকারে ছোট আর একটু লাজুক স্বভাবের হওয়ায় তাদের ঘরছাড়া করা শুরু করলো৷ শুধু বেচারা লাল কাঠবিড়ালিই নয়, ধূসর এই কাঠবিড়ালি ইউরোপের গাছের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে৷ কেননা এরা গাছের রস খাওয়ার জন্য গাছের ছাল খুলে ফেলে৷
ছবি: picture alliance / Hinrich Bäsemannইস্টার মানেই খরগোশ৷ কিন্তু রূপকথার এই চরিত্রটি যেন আমাদের ইকোসিস্টেমের শত্রু৷ তাই তো গাছ, মাটি সব তার হামলায় তটস্থ৷ অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দ্বীপে খরগোশকে ধরার মতো প্রাণীর অভাবে সেখানকার ‘ইকোসিস্টেম’-এর বেশি ক্ষতি করতে পারে খরগোশ৷
ছবি: picture alliance/blickwinkel/A. Kosten/J. Kostenলাল রঙের কানওয়ালা কচ্ছপের আদিবাস যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে৷ সেখান থেকে পোষা প্রাণী হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশে তার যাওয়া৷ কিন্তু গিয়েই ঐ সব অঞ্চলের কচ্ছপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয় তারা৷ দ্রুত বংশবিস্তার আর আকারে বড় হওয়ার কারণে অন্য কচ্ছপের শরীরে রোগ ছড়িয়ে দেয় তারা৷ জীববৈচিত্র্যের উপর যেসব প্রাণীর নেতিবাচক ভূমিকা আছে লাল কানওয়ালা এই কচ্ছপগুলো তাদের মধ্যে একটি৷
ছবি: picture alliance/Arco Images GmbH/Wermterবাড়ি ইউরোপে৷ পরবর্তীতে অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে তারা৷ ইঁদুর, কাঠবিড়ালির মতো প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে খেঁকশেয়ালের ভূমিকা আছে৷ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে খেঁকশেয়ালের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রাণী না থাকায় এগুলো সেখানকার পরিবেশের বেশ ক্ষতি করছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Schröderপ্রায় সাড়ে নয় হাজার বছর আগে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় পোষা প্রাণী বিড়াল৷ কিন্তু জানেন কি, বিড়ালের কারণে প্রায় ৩৩ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/F. Herrmannমৌরি জাতীয় সুগন্ধী হলুদ রঙের এই সবজি দিয়ে চা তৈরি করা যায়৷ এই ঔষধি গাছের আশেপাশে অন্য কোনো গাছ থাকা মানেই বিপদ৷ কারণ অন্য গাছের কথা না ভেবে ফেনেল সবসময় আশেপাশে থাকা আলো, পানি ও পুষ্টিকর উপাদানের পুরোটা নিজের জন্য সংগ্রহ করে থাকে৷
ছবি: picture alliance/chromorange/B. Tuerk