1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্তফার জন্য তিনদিন সময় থাই প্রধানমন্ত্রীকে

২২ অক্টোবর ২০২০

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দেয়ার জন্য তিনদিন সময় দিল বিক্ষোভকারীরা। জবাবে সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার কথা জানালো।

ছবি: Sakchai Lalit/AP/dpa/picture-alliance

জরুরি অবস্থা জারি করেও লাভ হয়নি। থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ কমা দূরস্থান, বরং আরো বেড়েছে। রাস্তায় প্রচুর পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের দমানো যায়নি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছেন। গত তিন মাস ধরে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, প্রাক্তন সেনা কর্তা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চেন ওছা জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে এবং সেটাও তিনদিনের মধ্যে। তাঁর কাছে ইস্তফার ফর্ম পাঠিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তিনদিন সময় দেয়া হলো। তার মধ্যে তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে। না হলে আবার বিক্ষোভে নামবেন তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে উত্তেজনা কমাবার চেষ্টা করবেন। কোনো হিংসা না হলে তিনি জরুরি অবস্থাতুলে নিতেও রাজি।

বিক্ষোভের এক প্রধান নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মতবদল করছেন না। বিক্ষোভের রাস্তা থেকেও সরছেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না দিচ্ছেন, ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে। তবে এই বিবৃতি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। যখন পুলিশ তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি বলেন, ''আমি চিন্তিত। এটা সরকারের খেলা।''

আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডেকেছে সরকার। সেখানে আগে বিক্ষোভকারীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে বলে সরকার জানিয়েছে। অর্থাৎ, সরকার আরো সময় নিতে চাইছে।

বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি হলো, রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কমাতে হবে। থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ