1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইহুদি চ্যান্সেলর!

২৬ মে ২০১৩

নাম রুডল্ফ গুটম্যান৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী৷ ধর্মে ইহুদি৷ তবে তিনি যাতে কিছুতেই চ্যান্সেলর হতে না পারেন, তাই তাকে খতম করতে চাইছে নব্য-নাৎসিরা৷ রোমাঞ্চকর এক উপন্যাসে উঠে এসেছে এমন এক পরিস্থিতি৷

ছবি: DW/M. Banchon

উপন্যাসের নাম ‘দ্য জুয়িশ ক্যান্ডিডেট'৷ লেখক ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ক্রসল্যান্ড৷ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছে এমন এক চাঞ্চল্যকর থ্রিলার৷ তাতে এক ব্রিটিশ সাংবাদিক আগেভাগে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর পেয়ে গেছেন৷ উপন্যাসের মূল চরিত্র রুডল্ফ গুটম্যান জার্মানির প্রথম ইহুদি চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী৷

কাহিনির চেয়েও কাহিনিটা প্রকাশের সময় নিয়ে বেশি তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ জার্মানিতে উগ্র দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠী এনএসইউ-র কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিশাল মামলা চলছে৷ সরকার, পুলিশ, প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে প্রায় এক দশক ধরে বেশ কয়েকজন বিদেশিকে হত্যা করেছে এই গ্যোষ্ঠী৷ ফলে গোটা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

উপন্যাসের লেখক ক্রসল্যান্ড অবশ্য বলেছেন, বিশেষ এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কাহিনির কোনো সম্পর্ক নেই৷ তিনি ২০০৭ সাল থেকেই এই কাহিনি লেখা শুরু করেন৷ তবে ‘টাইমিং' নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে৷ আগামী সপ্তাহে জার্মানির সোলিঙেন শহরে বিদেশিদের উপর ভয়াবহ হামলার এক ঘটনার দুই দশক পূর্ণ হচ্ছে৷ দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর থেকে প্রায় ২০০ মানুষ উগ্র দক্ষিণপন্থিদের হাতে নিহত হয়েছেন৷ প্রথমে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অনেকে এর গুরুত্ব কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করলেও এনএসইউ মামলাকে কেন্দ্র করে সবাই নড়েচড়ে বসেছে৷ সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ-ও নিজস্ব তদন্ত চালাচ্ছে৷ পুলিশের ব্যর্থতার এক লজ্জাজনক চিত্র উঠে এসেছে৷

সোলিঙেন শহরে বিদেশিদের উপর ভয়াবহ হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়ছবি: F. Vincentz

‘দ্য জুয়িশ ক্যান্ডিডেট'এর কাহিনি আজকের জার্মানিতে কতটা বাস্তব? ক্রসল্যান্ড নিজে ১৯৯২ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাস করেন৷ তাঁর মতে, হিটলারের ইহুদি নিধন যজ্ঞের পর থেকে পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে৷ মানবজাতির ইতিহাসে ঠাণ্ডা মাথায় প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদির গণহত্যার আর কোনো দৃষ্টান্ত নেই৷ নাৎসিরা ক্ষমতায় আসার আগে জার্মানিতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার৷ ১৯৯০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৯,০০০৷ আর আজ জার্মানির প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ইহুদি৷ বেড়ে চলা এই সংখ্যার ফলে জার্মানি গর্ব করতে পারে৷ জার্মানিতে ইহুদি অভিবাসীদের জন্য এত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, যে বেশ কিছু ইহুদি ইসরায়েলের বদলে এই দেশটিকেই বেছে নিচ্ছেন৷ ফলে একবার খোদ ইসরায়েলের সরকার জার্মানির কাছে সুযোগ-সুবিধা কিছুটা কমানোর অনুরোধ করতে বাধ্য হয়েছিল৷

ক্রসল্যান্ড মনে করেন, এই অবস্থায় জার্মানি এক ইহুদি চ্যান্সেলরের জন্য প্রস্তুত বটে, কিন্তু আপাতত জার্মানির ইহুদি সমাজে রাজনীতিকদের সংখ্যা কম হওয়ায় এখনই কোনো স্পষ্ট সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ