1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুবার্ষিকী, পশ্চিম তীরে উত্তেজনা

১২ নভেম্বর ২০১৪

অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মাঝেই ইয়াসির আরাফাতকে স্মরণ করছে ফিলিস্তিন৷ তেল আভিভ ও পশ্চিম তীরে দুটি ছুরি হামলার ঘটনায় দুজন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন৷ আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করেও ফিলিস্তিনে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা৷

Arafat 10. Jahrestag Abbas Kranzniederlegung 11.11.2014
ছবি: Reuters/I. Rimawi

গাজায় ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভা বোমা বিস্ফোরণের কারণে শেষ পর্যন্ত আর হতে পারেনি৷ কিছু মানুষ অনুষ্ঠানস্থলে গেলেও মূল অনুষ্ঠান নিরাপত্তার অভাবের কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়৷

এদিকে রামাল্লায় ফাতাহ নেতা এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফাতাহ-র প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক স্মরণসভায় আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ধর্মযুদ্ধের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন৷ গোঁড়া ইহুদিরা সে এলাকায় প্রার্থনা করার সুযোগ দাবি জানিয়েছে৷ তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ আল আকসায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর৷ তিনি আরো বলেন, জেরুসালেমের বিবদমান এলাকাটিতে প্রার্থনার সুযোগের দাবি, ইসরায়েলের দাবি নয়৷

তারপরও উত্তেজনা কমেনি৷ হঠাৎ ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার জন্য অবশ্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন মাহমুদ আব্বাস৷ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, জেরুসালেমের বিতর্কিত এলাকায় ইহুদিরা না গেলে আকস্মিকভাবে এমন উত্তেজনা সৃষ্টি হতো না৷ এ সময় বিবাদপূর্ণ এলাকাটিতে ইহুদিদের প্রবেশকে ‘উস্কানিমূলক' হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে এমন উদ্যোগ থেকে তাদের জনগণকে বিরত রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন আব্বাস৷

তবে ইয়াসির আরাফাতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে মাহমুদ আব্বাসের বেশিরভাগ কথাই ছিল হামাসের বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ঐক্য স্থাপনের সম্ভাবনাকে ‘ধ্বংস' করছে হামাস৷ শুক্রবার ফাতাহ-র কার্যালয় এবং ফাতাহ নেতাদের গাড়ির ওপর বেশ কয়েকটি বোমা হামলা চালানো হয়৷ আব্বাস এ জন্যও হামাসকে দায়ী করেছেন৷ হামাস বলছে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্য ‘মিথ্যা'৷

ফাতাহ-র প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাত ১৯৬৯ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগ্যানাইজেশন (পিএলও) এর প্রধান নির্বাচিত হন৷ স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার লড়াইটা অনেকদিন জন্মভূমির বাইরে থেকেই করতে হয়েছে তাঁকে৷ ১৯৯৩ সালে অসলো মধ্যবর্তী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর পশ্চিম তীরে ফেরেন তিনি৷ জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে রামাল্লায়, অন্তরীন অবস্থায়৷ ‘শান্তির পথে অন্তরায়' হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁকে অন্তরীণ থাকতে বাধ্য করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী৷ সেই অবস্থাতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইয়াসির আরাফাত৷ চিকিৎসার জন্য প্যারিসের একটি হাসপাতালে নেয়া হয় তাঁকে৷ ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ৭৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷ কারণ হিসেবে মস্তিস্কের রক্তক্ষরণের কথা বলা হলেও তাঁর মৃত্যু এখনো রহস্যে ঢাকা৷ সুইডেনের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ইয়াসির আরাফাতকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ