‘ঘরে বসে কাজ করতে’ বারণ
১ মার্চ ২০১৩ঘরে বসে অফিসের কাজ করা৷ বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এটা অনেকটাই স্বাভাবিক৷ অনেক প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের এভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়৷ অনেক সময় বিশেষ প্রেক্ষাপটেও ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পান কর্মীরা৷
ঘরে বসে কাজ করা বেশ সহজও৷ প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার আর সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতার ইন্টারনেট সংযোগ৷ এরপর প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে কাজ করাটা মোটেই কঠিন কিছু নয়৷ বরং অনেক কর্মী মনে করেন, ঘরে বসে তারা আরো বেশি কাজ করতে পারেন৷
যুক্তরাষ্ট্রের সিলিক্যান ভ্যালিতেও ঘরে বসে কাজ করার চল রয়েছে৷ তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি মূল কর্মঘণ্টার বাইরে হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ অর্থাৎ সপ্তাহে চল্লিশ ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ করার পর কর্মীরা চাইলে ঘরে বসেও অফিসের কাজ করতে পারেন৷
গুমরোড নামক একটি নতুন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাহিল লাভিনিয়া এই বিষয়ে বলেন, ‘‘একটি রুমে শারীরিকভাবে উপস্থিত দু'জনের বেশি কর্মীর মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমে আমরা সব নতুন আইডিয়া পেয়েছি৷ এটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পাওয়া সম্ভব নয়৷''
ভেবে বসবেন না, লাভিনিয়া ঘরে বসে কাজ করার বিরোধী৷ বরং তাঁর কথা হচ্ছে, ঘরেও একটি কাজের সেটআপ থাকতে হবে৷ কেননা অনেকে অফিসে আসার আগে বা বাড়ি ফেরার পর এবং সপ্তাহান্তেও অফিসের কাজ করতে চান৷ তাঁদের জন্য এই সেটআপ দরকার৷
কর্মীদেরকে অফিসে বসে দীর্ঘ সময় কাজ করতে উৎসাহ দিতেন প্রয়াত স্টিভ জবসও৷ ২০১০ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমি গভীর রাতে পার্কিং এলাকায় কর্মীদের গাড়ি দেখেছি, কিছু ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে শোবার ব্যবস্থা দেখেছি৷'' টুইটারও কর্মীদেরকে অফিসে বসে কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করে৷ এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ‘টি-টাইম' বৈঠকের আয়োজন করে৷
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইয়াহু ‘ঘরে বসে কাজ করার' সুবিধা আছে বা গ্রহণ করছেন এরকম সকল কর্মীকে অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে৷ এই নির্দেশনা জুন মাস থেকে পুরোপুরি কার্যকর হবে৷
এআই / এসবি (রয়টার্স)