ইয়েমেনে নতুন প্রেসিডেন্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ইয়েমেনে দীর্ঘ ৩৩ বছরের সালেহ অধ্যায়ের অবসান ঘটলো৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বক্তব্য রাখেন মানসুর হাদি৷ তিনি তার উদ্বোধনী ভাষণে ইয়েমেনের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার কথা বলেছেন৷ এছাড়া বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরে দেশটিতে যে সঙ্কট চলে আসছে তার ফলে বহু মানুষ দেশছাড়া হয়েছে৷ তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷ তবে নতুন প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদি তাঁর এক নম্বর কাজ হিসেবে ঠিক করেছেন আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াকে৷ তিনি বলেন, আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের জাতীয় এবং ধর্মীয় দায়িত্ব৷
তার এই বক্তব্যের পরই ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বোমা হামলা চালানো হলো৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আল কায়েদা ইতিমধ্যে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে৷ ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের হাদরামাউত এলাকার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ চত্বরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ নিহতদের অনেকেই রিপাবলিকান গার্ড এর সদস্য বলে জানা গেছে৷ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, আল কায়েদা ক্রমেই ইয়েমেনে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসছে৷ তবে আল কায়েদার বাইরেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য৷ যেমন ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহ দমন, শিয়া-সুন্নি বিভেদ দূর করা৷
আরব জাহানে পুনর্জাগরণ শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে চারটি দেশে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলো৷ এর আগে তিউনিশিয়া ও মিশরে গণঅভ্যুত্থান এবং লিবিয়াতে সশস্ত্র গৃহযুদ্ধ ঘটলেও ইয়েমেনে এই পালাবদল হয়েছে ভিন্নভাবে৷ এখানে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ, যদিও তাঁরও বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলন চলছিলো৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘও সালেহ-র নিরাপদ বিদায় নিশ্চিত করতে সহায়তা করে৷ তাই স্বাভাবিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছে তারা৷ ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি জামাল বেনোমার বলেছেন, এখন সময় ঐকমত্য এবং পুনর্গঠনের৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক