1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইয়েমেনে সৌদি আঘাত দু:খজনক, আশঙ্কাজনক'

১৪ জুন ২০১৮

ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর হোদেইদায় হামলা শুরু করেছে সৌদি আরব৷ উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের এই যুদ্ধ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী আফরা নাসের৷

Jemen Hodeida Kämpfer
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. El-Mofty

ইয়েমেনের প্রধান বন্দর শহর হোদেইদায় হামলা শুরু করেছে সৌদি আরব৷ উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের এই যুদ্ধ ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী আফরা নাসের৷

হোদেইদা বন্দরটির দখল নেওয়ার জন্য ইয়েমেনি সৈন্যরা হোদেইদার দক্ষিণে অবস্থান নিয়ে অভিযান শুরু করেছে, তাদের সমর্থন জোগাতে জোট বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজগুলো শহরটির হুতিদের অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে৷ ৪ লক্ষ মানুষ ,যাঁরা ওখানে থাকেন, তাঁদের কী হবে? দেশের বাকি অংশেরই বা কী হবে? 

ছবি: DW/P. Böll

আফরা নাসের: ইয়েমেনের এই পরিস্থিতি খুবই দুঃখজনক এবং আশঙ্কার৷ আমরা একটা মীমাংসার চেষ্টা করছি যাতে সৌদির এই যুদ্ধে এই শহর-বন্দরটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ বর্তমানে যা মানবিক সংকটের মুখে এই বন্দর পড়েছে, তা যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে৷ এই বন্দরের কোনওরকম ক্ষতি বা ধ্বংস যেন না হয়৷ হোদেইদা একটা প্রধান বন্দর৷ জাহাজের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন মানবিক কাজের জন্য এই বন্দরটির ব্যবহার করা হয়৷ সারা দেশের ত্রাণ কার্যের জন্য এই বন্দরকে আশ্রয় করেই দেশের ভেতর ঢুকতে পারেন ত্রাণকর্মীরা৷ কাজেই এই বন্দরের ক্ষতিসাধন বা ধ্বংস মানেই সারা দেশের ত্রাণ কার্য বা মানবিক কাজকর্ম ব্যাহত করা৷ এই যুদ্ধের ফলে তৈরি হওয়া এই হতাশারই সাক্ষী আমরা৷

জাতিসংঘের মতো সংস্থাও হোদেইদাকে বাঁচাতে  যুদ্ধ প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে৷ এখন সৌদি জোট এই আক্রমণ করতে গেল কেন?

আমার কাছে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আগামীতে যা হতে চলেছে সেটা৷ হোদেইদা ধ্বংসের পরে কী হবে? যদি সৌদি জোট বাহিনী রাজধানী সানার দিকে এগোয় তাহলে রক্তগঙ্গা বইবে৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যেন এই যুদ্ধ অনেকটা আলেপ্পোর যুদ্ধ বা মোসুলের যুদ্ধের মতোই হতে চলেছে৷ আমি মনে করি, এটা অবশ্যই ইয়েমেনি সৈন্যদের ওপর নির্ভর করছে৷ রাজধানী সানাতে, তারা হুতিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চলেছে৷ কিন্তু, সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে,  সানার অধিবাসীরা শান্তিপ্রিয়৷ তাঁরা লড়তে চায় না৷ তাঁদের লোকজন বিপ্লব করতে ইচ্ছুক নয় বা হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো শক্তিও তাঁদের নেই৷ এটাই সৌদি জোট বাহিনীর সানার দিকে অগ্রসর হওয়ার মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে৷

আপনি কি মনে করেন সৌদি জোট বাহিনী এই আপত্তিকর কাজ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পায়নি?

সৌদির সৈন্যবাহিনীর অভিজ্ঞতা নেই৷ তবে তাদের টাকা আছে৷ তারা এমন কিছুতে অংশও নেয়নি যাতে প্রচণ্ড বিরোধিতা আছে৷ তাদের সেই দক্ষতা বা অভিজ্ঞতাও নেই৷ অ্যামেরিকা থেকেই তাদের রসদ সংক্রান্ত সহায়তা নিতে হবে, যতক্ষণ না তাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ তাই তারা তাদের টাকা খরচ করে অস্ত্র আমদানি করে৷ 

এটা প্রায়ই বলা হয় যে, হুতিরা ইরানের সমর্থন পাচ্ছে৷ কিন্তু তেহরানের এক্ষেত্রে কতটা নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে করেন?

হুতিদের সমর্থনে ইরান সমস্ত মিডিয়া রিপোর্ট ব্যবহার করেছে৷ এই এলাকায় সৌদির কর্তৃত্ব রুখতে ও নিজেদের কর্তৃত্ব ফলাও করার জন্য তার এই পদক্ষেপ৷ তাই, আমরা যতটা তাদের অবস্থানের নৈকট্য অনুমান করছি, ততটা না হলেও সেটা পুনরায় বলবৎ করতে ইরান মিডিয়া রিপোর্টেরই সাহায্য নেবে৷

আমার মা রাজনীতির ধারেকাছে থাকেন না৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘তারা বলছে তারা ইরানের সঙ্গে লড়ছে ইয়েমেনে৷ আমি এটা বুঝতে পারলাম না৷ এখানে কোনো ইরানি সৈন্য নেই৷ তাহলে তারা গিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে না কেন?'' ইয়েমেনিদের ক্ষেত্রেও তাই, তারা ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না৷ এটা হাস্যকর শোনাচ্ছে৷

ইয়েমেনে শান্তি বজায় রাখতে কী দরকার?

আমাদের অলৌকিকত্ব দরকার৷ সমস্ত চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, এটা অনেকটা আফগানিস্তানের যুদ্ধ অনুসরণ করতে চলেছে৷ প্রত্যেক বছর যুদ্ধ শুরু হয়, সেটা দেখে মনে হয় যে, আমরা ১০ বছর করে পিছিয়ে যাচ্ছি৷ এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকার দরকার ছিল৷ তাই যুদ্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে রাজনৈতিক সমাধানও নেই! আগামী দিনগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি আর রকেটের শব্দই শোনা যাবে৷

পিএস/এসিবি        

                

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ