1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনে হুতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অভিযান

১২ জানুয়ারি ২০২৪

লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ চালাচ্ছিল হুতি বিদ্রোহীরা। এবার তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য।

হুতি বিদ্রোহী
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীছবি: Osamah Yahya/Zuma/IMAGO

মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হুতি বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে। মূলত বোমারু বিমান এবং মিসাইলের সাহায্যে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, অ্যামেরিকার সঙ্গে তারাও এই পাল্টা আক্রমণে যোগ দিয়েছে।

হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক পরিকাঠামো, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং অস্ত্রাগারে হামলা চালানো হয়েছে বলে অ্যামেরিকা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ ইয়েমেনের অধিকাংশ এলাকা এখন হুতি বিদ্রোহীদের দখলে। রাজধানী সানাও তাদের হাতে। অভিযোগ, ইরান এই বিদ্রোহীদের মদত দেয়। বস্তুত, অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য হুমকি দিয়ে রেখেছে, প্রয়োজন হলে ইরানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইয়েমেনে মানবিক বিপর্যয়

03:18

This browser does not support the video element.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যৌথ হামলা চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্য পথ।

কেন আক্রমণে হুতিরা

ইসরায়েল গাজা স্ট্রিপে অভিযান শুরু করার পরেই লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে আক্রমণ চালাতে শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে তারা এই আক্রমণ শুরু করেছে। তবে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালানো হয়েছে গত ৯ জানুয়ারি। মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ছোঁড়া হয়। অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের সাহায্যে সেই মিসাইল ধ্বংস করা হয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তারপরেই শুক্রবার হুতির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের পথ নিল অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য।

হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিক্রিয়া

হুতি নেতা আবদেল মালেক আল-হুতি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ২৪টি ড্রোন এবং অসংখ্য মিসাইলের সাহায্যে অ্যামেরিকার আক্রমণের জবাব দেয়া হয়েছে। অ্যামেরিকা আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। অ্যামেরিকা যেন তার জন্য তৈরি থাকে।

হুতিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্যকে এর জন্য বড় দাম দিতে হবে।

বস্তুত, চলতি সপ্তাহেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১১-০ ভোটে একটি সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। দ্রুত লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে, এই মর্মে ওই সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। যদিও রাশিয়া, চীনের মতো দেশগুলি ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এদিকে এদিন অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের যৌথ আক্রমণের পর ইরান এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ