1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়োহানেস গুটেনব্যার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনৎস

৩০ আগস্ট ২০১০

মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪৭৭ সালে৷ জার্মানির প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নাম ইয়োহানেস গুটেনব্যার্গ ইউনিভার্সিটি মাইনৎস৷

মাইনৎস শহরের মধ্যে ইয়োহানেস গুটেনব্যার্গ-এর প্রতিকৃতিছবি: dpa

মাইনৎস ইউনিভার্সিটি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়৷ প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ এসব ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশ থেকে৷ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মোট ৫৬০ জন অধ্যাপক৷

মাইনৎস ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ১১টি অনুষদ৷ এই অনুষদগুলোর অধীনে প্রায় ১৫০টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি৷ এর পাশাপাশি রয়েছে ৮টি রিসার্চ সেন্টার, ৯টি রিসার্চ ইউনিট এবং ৮টি রিসার্চ ট্রেইনিং গ্রুপ৷

মাইনৎস ইউনিভার্সিটি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: AP

ভারতের ছাত্র অমিত নাগারওয়াল

ভারতের পুনে ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছেন অমিত নাগারওয়াল৷ তিনি মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে জৈব রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি করতে এসেছেন৷ সব মিলেয়ে তিনি জার্মানিতে তিন বছর থাকবেন৷ পিএইচডি করার জন্য তিনি ডিএএডি থেকে বৃত্তি পেয়েছেন৷ আর এই মুহূর্তে ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মান ভাষা শিখছেন তিনি৷

জার্মানি দেশটি কেমন ? ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরটিই বা কী রকম ? অমিত নাগারওয়ালের ভাষায়,

‘‘শহরটি খুব সুন্দর, বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন৷ সব কিছুই সাজানো, গোছানো৷ তবে যে জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হল – এখানকার পরিবহন ব্যবস্থা৷ আমার মনে হয়, জার্মানির পরিবহন ব্যবস্থা ইউরোপের সেরা৷''

ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মাইনৎস খুব বেশি দূরে নয়৷ রাইনলান্ড ফাল্জ রাজ্যে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি৷ এই মুহূর্তে মাইনৎস ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা অর্থাৎ পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরেট করছেন আরো প্রায় ২,৮০০ বিজ্ঞানী৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক স্টাফের সংখ্যা প্রায় ২,৩০০৷ নিজের পড়াশোনা অর্থাৎ পিএইচডি প্রোগ্রাম সম্পর্কে অমিত জানান, ‘‘আমার গবেষণার মূল বিষয় পলিমার সংশ্লেষণ৷ মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত৷ শুধু এই রাজ্যেই নয়, বরং গোটা জার্মানিতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে৷ আমার প্রফেসর অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ৷ আমরা অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম৷ এক সময় তিনিই আমাকে উৎসাহ দেন মাইনৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-র জন্য আবেদন করতে৷''

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৫৬০ জন অধ্যাপকের একজন ড. ইয়ুর্গেন প্যার্লছবি: Frank Erdnüß, Uni Mainz

শুরু হয়েছিল লিন্ডাওতে

পিএইচডি-র জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হল নিজের বিষয় অনুযায়ী আগ্রহী প্রফেসর খুঁজে পাওয়া৷ অমিত জানালেন কীভাবে এবং কবে থেকে প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়৷ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে আমি লিন্ডাওতে একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম৷ সেটা ছিল নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের একটি সম্মেলন৷ প্রতি বছর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ দেওয়া হয় নোবেল বিজয়ীদের কাছ থেকে দেখার, তাদের কর্ম, অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করার৷ আমি তখন ভারত থেকে আসি৷ সেই সময় থেকেই বেশ ভাল করে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নানা ধরণের খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করি৷ আর দেশে ফিরে গিয়ে আমি আমার প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আমি আমার প্রপোজাল পাঠাই৷ যা তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গ্রহণ করেন৷''

গোটা জার্মানিতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ সুনাম রয়েছেছবি: Hartmann Fotodesign

পিএইচডি শেষ করে কী করতে চান ? জার্মানিতে কাজ করতে চান, নিজ দেশে ফিরে যেতে চান নাকি গবেষণা আরো চালিয়ে যেতে চান ? অমিত জানান, ‘‘পিএইচডি-র পর আমার ইচ্ছে আছে আরো গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার৷ তবে সেটা অন্য কোন দেশেও হতে পারে৷ অর্থাৎ পোস্ট ডক্টরেট করার ইচ্ছে আছে আমার৷ যে বিষয় নিয়ে আমি গবেষণা করবো, তার আরো গভীরে যেতে চাই আমি৷ আবার এমনও হতে পারে যে, আমি শিক্ষকতা শুরু করলাম৷ এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারছি না৷''

বছরে দু'বার আবেদন পত্র গ্রহণ করে মাইনৎস ইউনিভার্সিটি৷ শীতকালীন সেমেস্টারের জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ই জুলাই এবং গ্রীষ্মকালীন সেমেস্টারের জন্য ১৫ই জানুয়ারি৷ প্রতিবারের মত এবারও বলছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে হলে জার্মান ভাষাটি জানা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ