1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাসড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ জুলাই ২০১৩

মহাসড়কে পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাচ্ছেনা৷ এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি৷ বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশ চাঁদাবাজিকে ঈদের আগে বাড়তি উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে৷

ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য তদারকি এবং তা সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে আগেই৷ সেই কমিটির সদস্য করা হয় এফবিসিসিআই-র সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে৷ এফবিসিসিআই'র দ্রব্য মূল্য তদারক কমিটির আহ্বায়কও তিনি৷ কিন্তু এই ২টি পদ থেকেই হেলাল উদ্দিন পদত্যাগ করেছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক এবং যানবাহনে পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায় ৷ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি শতভাগ৷ অনেক চেষ্টা করেও পুলিশের এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়নি৷ তাই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷

হেলাল উদ্দিন উদাহরণ দিয়ে বলেন, বগুড়া থেকে ঢাকায় ১০ টনের একটি পণ্যবাহী ট্রাকের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা৷ আর এই ট্রাককে পথে পথে চাঁদা দিতে হয় ১২ হাজার টাকা৷ ফলে বগুড়ায় ৫/৬ টাকা দামের এক কেজি বেগুন ঢাকায় কিনতে হয় কমপক্ষে ৪০ টাকায়৷ পুলিশের চাঁদাবাজি না থাকলে এর দামও অনেক কম হতো৷

তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে ভোগ্যপণ্য, তরিতরকারি ও শাকসবজি পরিবহনের ট্রাকের ওপর হাইওয়ে পুলিশের নজর অনেক বেশি৷ তারা এইসব ট্রাক থেকেই বেশি চাঁদা আদায় করে৷ আর এসব ভোগ্যপণ্যের বড় একটি অংশ পচনশীল হওয়ায় চাঁদা না দিয়ে উপায় থাকেনা৷ আর শেষ পর্যন্ত পুলিশের এই চাঁদার ভার বইতে হয় সাধারণ ক্রেতাকে৷

হেলাল উদ্দিন জানান, পণ্য পরিবহনে পুলিশের এই চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে একাধিকবার জানানো হয়েছে৷ কিন্তু তাঁরা কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি৷ ফলে পথে পথে পুলিশের চাঁদাবাজি কমেনি৷ দেশের বিভিন্ন হাইওয়েতে পুলিশের এক হাজারেরও বেশি চাঁদা আদায়ের স্পট আছে৷ সেই স্পটগুলোতে চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে দেয়া হয়৷

তিনি জানান, পুলিশের এই চাঁদাবাজির কারণে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চাঁদাবাজেরও উদ্ভব হয়েছে৷ তারা কখনো রাজনৈতিক পরিচয়ে আবার কখনো এলাকার প্রভাবশালী পরিচয়ে মহাসড়কে ভোগ্যপণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি করে৷ আর পুলিশ তাদের কোন বাধা দেয়না৷ কারণ তারা নিজেরাই চাঁদা আদায় করায় প্রভাবশালীদের ছাড় দিতে বাধ্য হয়৷

হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানী ঢাকার ভিতরের অবস্থা কিছুটা ভাল৷ তবে রাজধানীতে প্রবেশের আগে পুলিশের চাঁদাবাজি যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তা বন্ধ না হলে কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসবেনা৷ এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে ভোগ্যপণ্য বিশেষ করে মাছ, তরিতরকারি, শাকসবজির দাম অর্ধেকে নেমে আসবে বলে জানান তিনি৷

ভোগ্যপণ্যবাহী যানবাহনে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (ফাইল ফটো)ছবি: AFP/Getty Images

তিনি বলেন, একটি দেশের পুলিশকে জনবান্ধব এবং দুর্নীতিমুক্ত করা না গেলে কোনো ভাল উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত সফল হয়না৷

এদিকে ভোগ্যপণ্যবাহী যানবাহনে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ রবিবার এই নির্দেশ দেয়া হয়৷ এই সব কিছু নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ