1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হাতিরঝিল ড্রিম বিগিনস’

২১ জুন ২০১৪

মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি এই কম্পিউটার গেমটি৷ এবার অ্যান্ড্রয়েডে সেটা পাওয়া যাবে বলে জানালেন গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মাহবুবুল আলম৷

ছবি: MassiveStar Studio

তাঁর কোম্পানি ‘ম্যাসিভস্টার স্টুডিও লিমিটেড' ছয় মাস কাজ করার পর এই গেমটি ডেভেলপ করে৷ প্রায় ২১ জন তরুণ এই গেম তৈরিতে জড়িত ছিল বলে জানান মাহবুবুল আলম৷ এর মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট মাশরুর মাহমুদ৷ সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে৷

মাহবুবুল আলম বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্প নিয়ে তৈরি এই গেমটি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রায় ১৬০টি সিডির দোকানে এই গেমটি পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে মাস খানেকের মধ্যেই সেটা সারা দেশে পাওয়া যাবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷ এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গেমটির আপডেট সংস্করণ ছাড়া হবে৷ এতে গ্রাফিক্সের মান আরও উন্নত করার পাশাপাশি গেম লোড হওয়ার সময় যেন আরও কমে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

গেমটির বর্তমান দাম দেড়শো টাকা হলেও আপডেট সংস্করণটি ১২০ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানান মাহবুবুল আলম৷

কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনেও যেন গেমটি খেলা যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ আগামী ঈদের আগেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা যেন গেমটি খেলতে পারেন সে চেষ্টা করা হচ্ছে৷

গেমটির নামকরণ প্রসঙ্গে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘‘তরুণদের কীভাবে স্বপ্ন দেখানো যায় সেটা নিয়ে আমরা ভাবছিলাম৷ আমাদের মনে হয়েছে, তরুণরা যেহেতু গেম খেলতে পছন্দ করে তাই তার মাধ্যমেই স্বপ্ন দেখানো যেতে পারে৷ সেসময় হাতিরঝিলের বিষয়টি মাথায় আসে৷ কারণ হাতিরঝিলে একসময় ড্রেন ছিল৷ এখন সেটা সুন্দর করে গড়ে তোলা হয়েছে৷ অর্থাৎ এর মাধ্যমে একটা ড্রিম বা স্বপ্ন দেখানো হয়েছে৷'' এই চিন্তা থেকেই গেমটির এমন নাম করা হয়েছে৷ ‘‘তবে আমি বলতে চাই যে, হাতিরঝিল গেমটা কখনো শেষ হবে না৷ অর্থাৎ এই যে, হাতিরঝিল ড্রিম বিগিনস পর্ব ওয়ান এসেছে৷ এরপর টু, থ্রি, ফোর, ফাইভ এভাবে আসতে থাকবে৷ এটা একটা সিরিজ গেম৷ কারণ আমরা চাই যে, স্বপ্ন সবসময় আমাদের মাঝে অ্যাকটিভ থাকুক৷''

গেম সম্পর্কে কিছু কথা

থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স, গুগল স্কেচআপ প্রো, ব্লেন্ডার ও মায়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে গেমটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ গেমটিতে মোট লেভেল আছে ৩১টি৷ একটি লেভেল শেষ করে পরেরটিতে যেতে হবে৷ প্রতিটি লেভেলের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে৷ খেলার পাশাপাশি চাইলে বিআরটিসির বাস বা গাড়িতে করে হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়ানো যাবে৷ স্পিডবোট আর বিমান নিয়েও গেম খেলা যাবে৷

ডেভেলপার তৈরির প্রকল্প

মাহবুবুল আলম বলেন, তাঁরা গত নভেম্বর থেকে ‘উই মেক গেমস' নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছেন৷ এর আওতায় ইতিমধ্যে ঢাকার ১১টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের গেম তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে৷ এভাবে সারা দেশের চারশো স্কুলের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি৷ ‘‘এ ব্যাপারে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে৷ তাঁরা এতে সহায়তা করবে,'' বলেন মাহবুবুল আলম৷

তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা৷ এটা সম্ভব হলে দেশে অনেক গেম ডেভেলপার তৈরি হবে৷ ‘‘ফলে একদিন বাংলাদেশ বিশ্বের ১০০ বিলিয়ন ডলারের গেম তৈরির বাজারের একটা বড় অংশের অংশীদার হবে,'' এমন স্বপ্ন দেখছেন মাহবুবুল আলম৷

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ