ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন৷ কিন্তু পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বড় একটি অংশ এখনো তাঁদের বেতন, ভাতা পাননি৷ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবারের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন, ভাতা পরিশোধ করার কথা৷
বিজ্ঞাপন
কিন্তু শনিবার তাঁরা তা পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা৷ গার্মেন্টস শ্রমিক নেতারা জানান, অনেক পোশাক কারখানায় পুরনো বেতনই বকেয়া আছে৷ তাই চলতি মাসের বেতন আর উৎসব ভাতা তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না৷ বেতন, ভাতা না পাওয়ার আশঙ্কায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন৷
প্রতিদিন বিক্ষোভ
পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনের সামনে এখন প্রতিদিনই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন৷ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ভবনের সামনে বেতন, ভাতার দাবিতে মিরপুরের অপসোনিন গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন৷ এর আগের দিন তোবা গ্রুপের ১,২০০ শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিজিএমইএ ভবন অবরোধ করে রাখেন৷ একইদিন মিরপুরের ফোর উইংস এবং সাভারের হেমায়েতপুরের দস্তগীর অ্যাপারেলসের শ্রমিকরাও বিজিএমইএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন৷ এমনকি শুক্রবারেও অনেক শ্রমিক ভীড় করেন বিজিএমইএ ভবনের সামনে৷ শনিবার এবং রবিবার এই বিক্ষোভ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, ঈদের আগে তাদের বেতন-ভাতা দেয়া হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি৷ তাই তারা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন৷ তাদের একজন আরিফ হাসেন জানান, চলতি মাসের বেতন আর উৎসবভাতাতো দূরের কথা, বকেয়া বেতনও দেয়া হচ্ছে না৷ বকেয়া বেতন পেলেও হয়তো ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারতেন৷ কিন্তু এখন আর কোনো আশাই নেই৷ আর ফরিদা বেগম বলেন, বেতন-ভাতা চাইলেই ছাঁটায়ের হুমকি দেয়া হয়৷ কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না৷
আগের কথা
১৫ জুলাই শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ এবং শ্রমিকদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বৈঠক করেন৷ বৈঠক শেষে তখন মন্ত্রী জানান, চলতি মাসের বেতনের অংশ এবং উৎসবভাতা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ মালিকেরাও এতে সম্মত হয়েছেন৷
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
এর আগে গত মাসে ৫০৬টি পোশাক কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে শিল্প পুলিশ স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়৷ আর পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিবেদনে বলা হয় নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার ১২৪টি পোশাক কারখানায় গত মে মাসের বেতনই দেওয়া হয়নি৷
সারা দেশে ৩,৬৫৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ'র সদস্য৷ এর বাইরে সদস্য নয় এমন পোশাক কারাখানাও কম নয়৷
শ্রমিক নেতাদের বক্তব্য
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, যেসব পোশাক কারাখানা সাবকন্ট্রাকটিং-এ কাজ করে এবং বিজিএমইএ'র সদস্য নয় তাদের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই খারাপ৷ তাদের তিন-চার মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে৷ তিনি বলেন, ঈদ বা কোনো উৎসব এলেই পোশাক কারখানার মালিকরা নানা টালবাহানা শুরু করে৷ তাদের এই টালবাহানার মূল উদ্দেশ্য উৎসব ভাতা না দেয়া৷ আবার কেউ কেউ ঈদের আগে কারখানা বন্ধ করে দেয়৷
আর শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, শনিবারের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন রবি-সোমবারের কথা বলা হচ্ছে৷ এর মানে হলো ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত শ্রমিকদের ঝুলিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত বেতন-ভাতা না দেয়া৷ তিনি শনিবারের মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান৷
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু-কিশোরকে খনি, কারখানা ও কৃষিখাতের বিভিন্ন চরম প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
ছবি: imago/Michael Westermann
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
ছবি: imago/imagebroker
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
ছবি: imago/Eastnews
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
ছবি: imago/imagebroker
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
ছবি: imago/Michael Westermann
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
বিজিএমইএ-র বক্তব্য
এদিকে, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্পখাত৷ এখানে সাড়ে ৩ হাজার কারখানায় ৪৪ লাখ শ্রমিক কাজ করেন৷ এই শিল্প যত দিন থাকবে, তত দিন অনিশ্চয়তাও থাকবে৷ ব্যবসায় সব সময়ই লাভ-লোকসান থাকে৷ তারপরও কারখানার মালিকদের আমরা বলে দিয়েছি, যে-কোনো উপায়ে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হবে৷'' তিনি বলেন, ‘‘মালিকদের বেশিরভাগই শনি ও রবিবারের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করে দেবেন৷''
শিল্প পুলিশের বক্তব্য
শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আবদুস সালাম দাবি করেছেন এরই মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ কারখানা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে বলে বিজিএমইএ তাঁকে জানিয়েছে৷ তিনি আশা করেন সরকারের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে ৯০ শতাংশ কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে৷ তবে ১০ শতাংশ পোশাক কারখানা পারবে বলে মনে হয় না৷ ঐসব কারখানার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷