1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদের মধ্যেই নির্বাচনের প্রচার শুরু হলো মিশরে

৮ নভেম্বর ২০১১

এবছর আরব বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় ঈদ উল আজহা’র তাৎপর্যই আলাদা৷ যেমন মিশরে একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রচার অভিযান৷ কিন্তু ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশার আলো দেখছে না অনেকেই৷

কায়রোয় প্রতি বছরের মতো ঈদের উৎসব জমে উঠেছেছবি: picture-alliance/dpa

কায়রোয় প্রতি বছরের মতো ঈদের উৎসব জমে উঠেছে৷ রাজপথের উপরেই গরু, ছাগল, ভেড়া জবাই করা হচ্ছে৷ মসজিদের সামনে চত্বরে চলছে প্রার্থনা৷ কিন্তু এক বছর আগের তুলনায় মানুষের চাহিদা বদলে গেছে৷ এক ইমামের কণ্ঠে শোনা গেল এবছরের বাণী৷ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ সিরিয়ায় আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের রক্ষা করুন৷ আল্লাহ ইয়েমেনে আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের রক্ষা করুন৷ যেখানেই মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতা ও ন্যয়ের জন্য লড়াই করছে, সেখানে আল্লাহ তাদের রক্ষা করুন৷''

এক বছর আগে রাষ্ট্রীয় মসজিদে ইমামরা ঈদের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের কামনা করতেন৷ কিন্তু মুবারক গদি হারিয়েছেন৷ মিশরের বিপ্লবের প্রায় ৯ মাস পর নভেম্বর মাসের শেষে সংসদ নির্বাচন৷ সময় খুব কম৷ ফলে ঈদ উল আজহা ও নির্বাচনী প্রচারাভিযান একই সঙ্গে শুরু হয়েছে৷

মুস্তফা মাহমুদ মসজিদের পাশে মুসলিম ব্রাদারহুড'এর লম্বা দাড়িওয়ালা সদস্যরা একটি গরু ও ৩টি ভেড়া জবাই করেছে৷ রক্তের ধারা নালার দিকে এগিয়ে চলেছে৷ মাংসের বড় বড় টুকরো রান্না করে গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে৷ তাদেরই একজন বললো, ‘‘উৎসবের এই দিনগুলিতে যাদের কিছুই নেই, তাদের আমরা খাবার দিচ্ছি৷ পরম করুণাময় আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম আমাদের এই শিক্ষাই দেয়৷''

ঈদ উল আজহা ও নির্বাচনী প্রচারাভিযান একই সঙ্গে শুরু হয়েছেছবি: DW

পরিস্থিতি সত্যি বদলে গেছে৷ বহু দশক পর মুসলিম ব্রাদারহুড'এর সদস্যরা প্রকাশ্যে ঈদ পালন করতে পারছে এবং দলের হয়ে প্রচারও চালাতে পারছে৷ তারাও এই সুযোগের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে৷ একবাটি গরম ভাত হাতে এক গরিব ব্যক্তির কণ্ঠে শোনা গেল ব্রাদারহুড'এর প্রতি কৃতজ্ঞতার সুর৷ সে বললো, ‘‘আমি মুসলিম ব্রাদারহুড'কেই ভোট দেব৷ মুসলিম ব্রাদারহুড'এর দলই এখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে৷ তারা দুর্নীতি করে না, তাদের হাত পরিষ্কার৷ এরাই মিশরের গণতান্ত্রিক ও ইসলামি ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তুলবে৷''

নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এবারের নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুড সংসদে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আসন পেতে পারে৷ তবে নির্বাচনের প্রচারে তারা একা নেই৷ ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীও তাদের অনুগামীদের দিয়েও জোরালো নির্বাচনী প্রচারের কাজ চালাচ্ছে৷ তারা রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অবকাঠামোর উন্নতির ঝুরিঝুরি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে৷ গিজে'র গভর্নর ড.আবদেল রহমানও তাদের মধ্যে রয়েছেন৷ আগামী বছর মিশর আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে পূর্ববাণী করছেন তিনি৷

মুবারকও ঠিক এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতেন৷ নতুন সামরিক সরকারও দেশের রাজনৈতিক বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ সামরিক জেনারেলরা মুসলিম ব্রাদারহুড সহ অনেক রাজনৈতিক দলকে ময়দানে নামতে দিচ্ছে বটে, কিন্তু বেসামরিক কোনো সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে তাদের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই৷ ঈদের উৎসব আর কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে৷ কিন্তু যারা বিশাল ঝুঁকি নিয়ে তাহরির চত্বরে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের আনন্দ করার মতো বিশেষ কোনো কারণ আর থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে৷ এমনই একজন বললো, ‘‘আমরা যাকে বলে শেষ অবস্থায় এসে পৌঁছেছি৷ বাস্তবে কিছুই বদলায় নি৷ জানি না, দেশ কোনদিকে এগোচ্ছে৷ কিন্তু কোনোকিছু ভাল ঠেকছে না৷''

প্রতিবেদন: মার্টিন দুর্ম / সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ