কারাবন্দিরা এবার ঈদে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলবেন৷ কাশিমপুর ও কুমিল্লা কারাগাররে মতো টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের বন্দিরাও অংশ নেবেন ভিন্ন এই আয়োজনে৷ ফাঁসির আসামিরা এই সুযোগ না পেলেও কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটাহাঁটির সুযোগ পাবেন৷
বিজ্ঞাপন
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই দেশের কারাগারগুলোয় বন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়৷ এবার ঈদুল ফিতরে খাবারের পাশাপাশি যোগ হচ্ছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য ফুটবল খেলার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ৷ কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াও জানান, এবার তারা বন্দিদের ফুটবল দিয়েছেন৷ আশা করছেন, বন্দিরা দিনভর ফুটবলেই মেতে থাকবে৷
কুমিল্লা কারাগারে ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে ঈদের তিন দিনই৷ জেল সুপার আরিফুর রহমান জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে৷ ওয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারও পাবে৷
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে বন্দি ৭৩৫ কিশোরের জন্য কিছু ইনডোর গেমস রেখেছে এখানকার কর্তৃপক্ষ৷ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান বলেন, কিশোরদের খেলাধুলার জন্য কিছু ফুটবলও কিনে দেওয়া হয়েছে৷
ঢাকার জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ঈদের দিন বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সকালে পায়েস সেমাই মুড়ির পর দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংসের তরকারি আর মিষ্টান্ন দেওয়া হবে৷ আর রাতে থাকছে সাদা ভাত মাছ, ডাল আর মিষ্টান্ন৷
কাশিমপুর কারাগারে বিশেষ খাবার ছাড়াও বন্দিদের জন্য গানবাজনার সুযোগ রাখার কথা বলেন জেল সুপার নুরুন্নবী ভূঁইয়া৷
গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৯৭ জন বন্দি আছেন৷ ঈদের দিন এই কারাগারে বিশেষ খাবারের বাইরে আর তেমন কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান জেলসুপার৷
ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তার বিভাগের চারটি কারাগারে ৩ হাজারের বেশি বন্দি আছেন৷ সেখানেও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছাড়া তেমন কিছু আয়োজন নেই৷
কারাগারের দশ চিত্র
কারাগার মানেই দুর্ভেদ্য প্রাচীর আর তার ভিতরে বন্দিজীবন। সে জীবনের গল্প খুব কমই প্রকাশ পায় বাইরে। তবুও কারাগারের ভিতরের অমানবিকতা, অনিয়মসহ বিভিন্ন ঘটনা নানা সময়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশে।
ছবি: Getty Images/AFP/M. Abed
জেল হত্যা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচ কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক করে রাখে৷ ৩ রা নভেম্বর সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। বাংলাদেশে কারাগারের ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ও বিশ্বে বিরল এ ঘটনা।
ছবি: bdnews24.com/Dipu Malakar
হত্যা, না আত্মহত্যা?
২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে পলাশ কুমার নামের এক আইনজীবীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে মৃত্যুর আগে তিনি বলেছেন, ‘‘কারাগারের ভিতরে দু‘জন লোক তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়৷’’ যদিও পঞ্চগড়ের জেলার সেসময় দাবি করেন, বাথরুমে লাইটার দিয়ে পলাশ নিজেই শরীরে আগুন দিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে এক হাজতির গলায় ফাঁস লাগানো লাশ পাওয়া যায়। সেটিও হত্যা, না আত্মহত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
ছবি: picture-alliance/ZB/P. Endig
খালাসের পর ১৩ বছরের জেল
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে জজ মিয়াকে সাজানো মামলায় কারাবন্দি করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার৷ এর আগে ২০০১ সালে মেয়েকে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগে জাবেদ আলী নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়৷ দুই বছর পর উচ্চ আদালত থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেলেও রায়ের কপি জেলখানায় না পৌঁছানোয় ১৩ বছর অকারণে জেল খাটেন তিনি।
ছবি: Getty Images/AFP/M. Abed
কারাগারে বিয়ে
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামিদের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীদের বিয়ের খবর প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। ২০২০ সালের নভেম্বরে কুমিল্লার আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়েছে৷ ১৯ নভেম্বর ফেনী কারাগারেও একই ধরনের বিয়ে হয়৷ একইদিনে নাটোরেও এমন একটি ঘটনা ঘটে৷ ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজশাহীতে যাবজ্জীবন আসামি ও ভুক্তভোগীর কারাফটকে বিয়ে হয়৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ
বাংলাদেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার আছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কারাগারগুলোর বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪ আর বন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। পরিস্থিতি এমন যে অতিরিক্ত গরমে হাজতিরা অসুস্থ হওয়া, এমনকি হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ করে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
ছবি: Reuters
টাকা থাকলে আয়েশে
তবে কারাগারে সবার সময় যে খারাপ কাটে তা নয়। টাকা থাকায় বেশ আয়েশেই দিন কাটে অনেকের। কয়েক দিন আগে প্রচারে এসেছে এমন এক ঘটনা৷ গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি আছেন অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হল-মার্কের জিএম তুষার আহমদ। কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে তিনি এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। জেলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এর বিনিময়ে তিনি ঘুস দিয়েছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হাসপাতালে জেল খাটা
কোনো অপরাধে বা অভিযোগে বন্দি হলে জেলখানার ১৪ শিক এড়ানোর একটি উপায় অসুস্থ হয়ে যাওয়া। অস্বাভাবিক আচরণ করে ফাঁসি স্থগিত ও পরে রাজনৈতিক প্রভাবে ছাড়া পেয়েছেন এমন ঘটনাও আছে। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘সম্রাটসহ ৭ বন্দি হাসপাতালে শুয়েবসে জেল খাটছেন’। তাদের মধ্যে আছেন স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি, ব্যবসায়ী, সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা। ।
ছবি: DW
কারাগারে বিচারালয়
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত বছর নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি বেশিরভাগ সময়ই বন্দি ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই সময়ে তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারও চলে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এই বিচারকাজের জন্য পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
ছবি: Getty Images/AFP/S. Jahan
জেলখানা যখন জাদুঘর
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারটি বাংলাদেশের দুই শতকের ইতিহাসের সাক্ষী। ১৮৬০-এর দশকে অনেক সিপাহীকে সেখানে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। পাকিস্তান শাসনামলে বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতারা বারবার বন্দিত্ব বরণ করেছিলেন এই কারাগারে। এখানেই ঘটে জেল হত্যার ঘটনা। ২০১৬ সালে কারাগারটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করে সরকার। সেখানে টিকিট কেটে ইতিহাসে বিচরণ করতে পারেন দর্শনার্থীরা।
ছবি: bdnews24.com/Dipu Malakar
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র?
দুটি কিশোর ও একটি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র আছে গাজীপুর ও যশোরে। উদ্দেশ্য যেসব শিশু-কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তাদের সংশোধন, শিক্ষা, বৃত্তিমূলক দক্ষতা ও মানসিকতার উন্নয়ন ঘটানো। বিভিন্ন সময়ের সংবাদে দেখা যায়, সেগুলো শিশুদের জন্য নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যশোরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয় এই ঘটনায়। (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Mustafiz Mamun
10 ছবি1 | 10
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান জানান, তার কেন্দ্রেও ঈদের দিনে বিশেষ খাবার পাবে বন্দি কিশোররা৷
এর আগে ঈদের দিন পরিবারের সদস্য বা স্বজনরা বাড়ি থেকে বন্দিদের জন্য খাবার আনতে পারলেও কোভিড মহামারি শুরুর পর থেকে তা বন্ধ৷ এবার সংক্রমণ কমে এলেও সেই নিয়ম বহাল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ৷ তবে বন্দিরা কারাগারের ভেতরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন৷
স্বজনদেরসাথেসাক্ষাৎ
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ উপলক্ষে সব বন্দি তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন৷ আগেই সাক্ষাতের জন্য ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হলেও এবারে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ মিনিট৷
তবে ঈদের একদিন বা দুদিন আগে যেসব বন্দিদের সঙ্গে তাদের স্বজনরা দেখা করে গেছেন, তারা সেই সুযোগ পাবেন না৷
বিভিন্ন জেল সুপাররা জানান, সময় স্বল্পতায় ঈদের দিন যারা স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন না, তাদেরকে ঈদের পরিদন সুযোগ দেওয়া হবে৷
ফাঁসিরআসামিদেরকিছুক্ষণবাইরেথাকারসুযোগ
কারা অধিদপ্তরের এআইজি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মানবিক বিবেচনায় ঈদের দিন ফাঁসির আসামিরা ‘কনডেম সেল' থেকে বের হয়ে বাইরে খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটির সুযোগ পাবেন৷ সাধারণ বন্দিদের মতো তারাও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
করোনাকালে নানা দেশের কয়েদিদের অবস্থা
কারাগারের ভেতরে করোনার সংক্রমণ থেকে কীভাবে কয়েদিদের রক্ষা করা হচ্ছে, জানুন ছবিঘরে…
ছবি: Reuters/A. Foto
‘আমরা ফেলনা নই’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একটি জেলের জানালায় লেখা, ‘‘আমাদের সাহায্য করুন, আমরা ফেলনা নই৷’’ এই মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের দেশ অ্যামেরিকায় জেলবন্দী কয়েদিদের আতঙ্কে থাকা খুব একটা আশ্চর্যজনক নয়।
ছবি: Reuters/J. Vondruska
প্রতিবাদ যখন কারাগারেও
ইটালিতে কয়েদিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেশ কিছু কয়েদি বিক্ষোভ করেন। আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়াতেও অনুন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন বেশ কিছু কয়েদি।
ছবি: Reuters
কয়েদিদের জন্য বাড়তি পদক্ষেপ
অনেক দেশে কয়েদিদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেক্সিকোতে কয়েদিরাই নিজেদের জন্য মাস্ক তৈরি করছেন। কোথাও চলছে কয়েদিদের টীকাদানের কাজ। ইন্দোনেশিয়ায় কয়েদিদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করছেন জেলখানা।
ছবি: Reuters/J. L. Gonzales
স্বনির্ভর কয়েদিরা
মেক্সিকোর মতো সার্বিয়াতেও কয়েদিরা জোর কদমে বানাচ্ছেন মাস্ক। মাস্ক ছাড়াও বিশেষ জীবাণুরোধক পোশাক বানাচ্ছেন তারা। এবং মাস্ক ও পোশাক নিজেদের এবং দেশের ডাক্তারদের জন্যও প্রস্তুত করছেন তারা।
ছবি: Reuters/Lebanese Internal Security Force
মুক্তি পাচ্ছেন অনেকে
ইন্দোনেশিয়ায় সাজার মেয়াদ শেষ হতে চলা কয়েদিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে। একই ধারা দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতেও। সেখানে ‘লো রিস্ক প্রিজনার’ হিসেবে চিহ্নিত কয়েদিদের ছেড়ে দেবার কথা উঠেছে। জেলে ভিড় কমিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর কথা আলোচিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যত্রও।