আমাদের ছোটবেলার ঈদ মানে উত্তেজনা আর নানা পরিকল্পনা। বাবার ছিলো নানা ব্যস্ততা আর চাপ। কিন্তু সব কিছু সমন্বয় করে ঈদের দিন সবার জন্য আনন্দময় করার কারিগর ছিলেন মা।
বিজ্ঞাপন
বেশ ছোট তখন আমি। ফোর ফাইভ-এ পড়ি। বাবার চাকরির কারণে আমরা থাকি পিরোজপুরের নাজিরপুরে। তখন সবেমাত্র উপজেলা ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সেই নাজিরপুর বাজারে দর্জির দোকান তখন একটিই। দোকানের আলাদা করে নাম নেই। মালিকের নামে পরিচিতি- সুখলাল বাবুর দোকান।
এখনকার মতো গার্মেন্টস-এর তৈরি পোশাকের তেমন চল ছিল না তখন। তাই ঈদের কয়েকদিন আগেই বাবা আমাদের ভাই-বোনদের সুখলাল বাবুর দোকানে নিয়ে যেতেন। নিয়ম ছিল কেউ জামা পেলে জুতা পাবে না। আবার জুতা নিলে জামা প্যান্ট নয়।
সুখলাল বাবুর দেকানে নতুন জামা কাপড়ের মাপ নেয়ার পর আমরা কাপড় (থান কাপড়) পছন্দ করতাম। আমরা তো বুঝতাম না যে বাবা কতটা দিতে পারতেন। ফলে দেখা যেত কাপড় পছন্দ করার পর বাবার মুখটা বেশ কালো হয়ে উঠত। তারপরও অর্ডার দিয়ে দিতেন বাকিতে।
বাসায় গিয়ে মায়ের সঙ্গে যেন কী বলতেন। তারপর সব কিছু যেন ঠিক হয়ে যেত। আমরা বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই দর্জির দোকানে হাজিরা দিতাম। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি দেখতাম না। তারপর একদিন মা যেতেন। তার জমানো টাকায় হাত পড়ত। দর্জির কাজের গতি বেড়ে যেত। তারপরও ঈদের দিন ভোরে আমাদের জামাকাপড় পেতাম। দেখা যেত কোনোটার সেলাই ঠিক নেই, কোনো পাজামার দড়ি নেই। নামাজের আগেই মা সেগুলো ঠিক করে দিতেন। বসে যেতেন সেলাই মেশিন নিয়ে।
রোজার ঈদে সাধারণত সকাল থেকেই পোলাও মাংস খাওয়ার রেওয়াজ আমরা দেখে এসেছি। আর কোরবানির ঈদে মাংস তৈরি হতে যতক্ষণ। কিন্তু এই আয়েজনটা এক দিনের নয়। মাকে দেখেছি বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আয়োজন শুরু করতে। তখন আমরা পিরোজপুরের বানারিপাড়া নামে একটা উপজেলায় থাকি। ঈদের আগে সবার আগে কাদের ঘরে রান্না হয় তার একটা প্রতিযোগিতা ছিল। নামাজ পড়ে এসে দেখতাম সব কিছু রেডি। কিন্তু আমাদের এই ফার্স্ট হওয়ার পিছনে ছিলো মায়ের নির্ঘুম রাত।
তখন আমরা আরেকটু বড় হয়েছি। ঈদে মা আমাদের নিয়ে শপিং করতে গেলেন বরিশাল শহরে। সবার জন্য টাকা নির্ধারিত। তার বেশি খরচ করা যাবে না। কিন্তু আমার বড় বোন এমন একটি থ্রি পিস পছন্দ করলেন যার দাম তার জন্য বরাদ্দের তিনগুণ, যা না পেলে তার ঈদ হবে না। বোনের ইচ্ছারই জয় হলো। মা তার নিজের শাড়ির টাকা কোরবানি দিলেন । বাবাকেও বুঝতে দেননি। বড় আপার সেই খয়েরি রং-এর থ্রি পিসটার কথা আমার আজও মনে আছে।
সেই শৈশব পেরিয়েছে অনেক দিন আগে। এখন আমার নিজেরও সংসার হয়েছে। এবার ঈদের কথাই বলি। লকডাউন, করোনা- সব মিলিয়ে গরু কীভাবে কিনব তা নিয়ে রাজ্যের দুশ্চিন্তা। পরিস্থিতি এমন যে কোরবানি দেয়াই যেন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমার দুই সন্তানেরও মন খারাপ। স্ত্রীকে কী বলব ভেবে পাচ্ছি না। কিন্তু তখন হয়তো মা মনে মনে হাসছেন। ঈদের দুইদিন আগে বললেন, ‘অত চিন্তার কিছু নাই , আমি সব ব্যবস্থা করেছি'। তার কথা মতো ঠিকই গরু চলে এলো। আমাদের সন্তানদের আনন্দ আর ধরে না। তারা রাত দিন বাসার কম্পাউন্ডে গরুর সেবায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কয়েক বছর আগের আরেকটি কোরবানির কথা আমার এখনো মনে আছে। আমার ছেলে মেয়ে গো ধরছে তাদের একটি ছাগল কিনে দিতে হবেই। আমি পাত্তা দিই না। সময়ও হয় না। তারা কান্নাকাটি শুরু করে। ঈদের আগে একদিন বাসায় ফিরে দেখি তাদের বেশ আনন্দ। আমাকে টেনে নিচে নিয়ে যায়, দেখায় তাদের ছাগল। আমি অবাক হই। জানতে পারি তাদের মা তাদের সাথে নিয়ে রাস্তার পাশে পাশে ঘুরে ছাগল কিনে দিয়েছে।
আমার শাশুড়ির বয়স হয়েছে। কিন্তু ঈদের আয়োজনে তাকে দমানো যায় না। যে করেই হোক পরিবারের সদস্যদের সবার পছন্দের দিক নজর রেখে তিনি ঈদে খাবার তৈরি করবেনই। ওই পরিবারে আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমার শাশুড়ি সবার আগে ঈদের সকালে আমার জন্য খিচুড়ি আর মাংস পাঠাবেনই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের আগের রাতে তিনি ঘুমান না। সবাইকে খুশি রাখতে তার রাত কাটে নির্ঘুম।
আমি দেখেছি ঈদের জামা-জুতো, গরু-খাসি, রান্না বান্না সব কিছুর পিছনেই এই নারীরা। কিন্তু তাদের যেন কোনো চাহিদা নেই, তারা যেন কিছুই চান না। আমার স্ত্রী ঈদের দিন কখন খাবার খেয়েছেন তা আমি জানি না। আদৌ খেয়েছেন কিনা সে খবরও নেই আমার কাছে।
আমার বড় বোন এখন থাকেন মৌলভীবাজারে। তার বড় ছেলে ঢাকায় পড়াশুনা করে। ঈদের আগে আমার বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তার অসুস্থতা তার কাছে বড় কিছু নয়। তার উদ্বেগ ছিল তার ছেলেটি ঈদের আগে তার কাছে ফিরতে পারবে কী না। ঈদের আগে শেষ পর্যন্ত ফিরতে পেরেছে। আমরা ধারণা আমার বড় বোনের অসুস্থতা অর্ধেক কমে গেছে। আর খোঁজ নিয়ে জেনেছি তাকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যায়নি। স্বামী-সন্তানদের জন্য অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি নিজেই সব আয়োজন করেছেন।
অন্দরের ঈদ: পুরুষদের চোখে নারী
রান্না করে, ঘর গুছিয়ে, আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর মধ্য দিয়েই উৎসবের দিনটা কেটে যায় নারীদের৷ সারাটা দিন ঘরের মধ্যেই পার হয় তাদের৷ এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কী বলছেন?
ছবি: Shahnaz Munni
‘ঈদ আমরা উপভোগ করি, কিন্তু নারীদের বঞ্চিত করি’
ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোজাহার হোসেন বুলবুল বলেন, ‘‘আমাদের দেশে উৎসবে নারীদের অবদানকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না৷ ঈদের দিন সকাল থেকে রান্না-বান্না নিয়ে তাদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়৷ এর সঙ্গে অতিথি আপ্যায়ন আছে৷ ফলে ঈদটাকে যে উপভোগ করা, একটু বেড়ানো বা কোথাও যাওয়া সেটা তারা করতে পারেন না৷ আমি মনে করি, ঈদে নারীদের বিশেষ অবদান আছে৷ ...ঈদটাকে আমরা উপভোগ করি, কিন্তু তাদের বঞ্চিত করি৷”
ছবি: Samir Kumar Dey
‘উৎসবের পূর্ণতা পায় নারীদের ভূমিকার কারণে’
দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাঈনুল আলম বলেন, “উৎসবের পরিপূর্ণতা পায় মূলত নারীদের ভূমিকার কারণে৷ ঘরে-গৃহস্থলিতে তারা সবকিছু সামাল দেন৷ এই যে কোরবানি ঈদ গেল, এখানে মাংস আনার পর সেটার প্রক্রিয়া করা এবং রান্না করার কাজটা নারীরাই করেন৷ বিশেষ করে ঘরটাকে সামাল দেওয়া কিন্তু বড় একটা বিষয়৷ শুধু ঘরে না, বাইরেও নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এই ভূমিকা না হলে হয়তো উৎসব পরিপূর্ণতা পেত না৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘ঈদের দিন তারা রান্না না করলে আমরা কোথায় খাব?’
শাহবাগের ফুল বিক্রেতা মো. সোহাগ বলেন, “ঘরের রান্না তো নারীরাই করবেন৷ পুরুষেরা বাইরে কাজ করেন, আর নারীরা ঘরে রান্না করেন৷ এখন ঈদের দিন তারা রান্না না করলে আমরা কোথায় খাব? এটাতে হয়ত তাদের কষ্ট হতে পারে৷ কিন্তু এটাই তো প্রকৃতির নিয়ম৷ এটা নিয়ে নারীদের কোনো অভিযোগ কিন্তু নেই৷ কখনও তারা বলে না, আমরা রান্না করতে পারব না৷ এভাবেই পূর্বপুরুষদের আমরা দেখে এসেছি৷ এখনও সেভাবেই চলছে৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘নিজের নয়, পুরুষদের পছন্দের খাবার রান্না করে’
স্টাফ নার্স রেজাউল করিম বলেন, “ঈদের দিন নারীরা সকাল থেকে কাজ শুরু করেন৷ বাচ্চা থেকে শুরু করে স্বামীদের দেখভালের কাজটা তাদের৷ সকালের নাস্তা সেরে দিনের আসল রান্না শুরু করে৷ বিশেষ করে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কী খাবার পছন্দ করে সেই খাবারই তারা রান্না করে৷ অথচ নিজের কোন পছন্দের খাবার থাকলেও সেটা করেন না৷ ঈদের দিন তাদের আসলে তাদের সর্বোচ্চ বিনোদন হলো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে ঈদের কোন অনুষ্ঠান দেখা৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘উৎসবে অন্যরা বাইরে গিয়ে খায়, আমরা লোক ঘরে ডেকে খাওয়াই’
প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয়কারী একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইমরুল হাসান বলেন, ‘‘আমাদের সংস্কৃতিতে উৎসব মানেই বাসায় বিশেষ রান্নার আয়োজন৷ উৎসব সারা বিশ্বেই হয়৷ কিন্তু ওই সব দেশগুলোতে উৎসবে তারা বাইরে খায়৷ আর আমরা উৎসবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে বাসায় খাওয়াই৷ ফলে পরিবারের নারী সদস্যদের উপর একটা বাড়তি চাপ পড়ে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নারীদের বিশেষ দিনে রান্না করতে করতে দিন পার হয়ে যায়৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘সবাই মিলে কষ্ট করলেই তো খুশি থাকা যায়’
বরগুনা থেকে ঢাকায় এসে রিক্সা চালানো মো. সোহেল বলেন, “গিন্নিরা যে সারাদিন শুধু রান্না করে তা কিন্তু না৷ একসাথে আমরা টিভিও দেখি৷ আবার আত্মীয়ের বাড়িতেও কিন্তু যায়৷ তারা একটু বেশি কষ্ট করে৷ আমরাও কিন্তু বাইরে কম কষ্ট করি না৷ তাদের খুশি রাখার জন্যই তা আমাদের এত কষ্ট৷ দিন-রাত রিক্সা চালায় দু’টো টাকার জন্য৷ সবাই মিলে কষ্ট করলেই তো খুশি থাকা যায়৷ সন্তানদের দেখে রাখবে, রান্না করবে, এটাই তো তাদের কাজ৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘আপ্যায়নেই আনন্দ পান নারীরা’
আগারগাঁওয়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল রফিজ উদ্দিন বলেন, “নারীরা ঘরে রান্না করলে যে আনন্দ উপভোগ করতে পারে না, সেটা কিন্তু নয়৷ হ্যাঁ, তাদের কষ্টটা আমাদের চেয়ে বেশি৷ আপ্যায়নেও তারা কিন্তু আনন্দ খুঁজে পান৷ ছোট বাচ্চাদের তারা সাজগোজ করে দেন নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য৷ ঘরেও তারা নতুন পোশাক পরেন, সবাই মিলে একত্রে থাকার মধ্যেও কিন্তু আনন্দ আছে৷ সেই আনন্দটা তারা পান৷”
ছবি: Samir Kumar Dey
‘মিলেমিশেই আমরা আনন্দ উপভোগ করি’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রেই নারীরা গৃহকর্ম করেন৷ সবকিছু গুছিয়ে স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে আত্মীয় স্বজনের বাসায় যান৷ অনেক সময় হয়তো সম্ভব হয় না৷ করোনার এই পরিস্থিতিতে তো এখন আর কেউ বাইরে যাচ্ছেন না৷ ঘরেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটান৷ ফলে বাঙালির যে কালচার সেটা কিন্তু দুই বছর ধরে নেই৷ এখন তো সবাই ঘরের কাজে অংশ নেন৷ মিলেমিশেই আনন্দ আমরা উপভোগ করি৷”
ছবি: Samir Kumar Dey
‘রান্না করে খাওয়ানোতেই নারীদের আনন্দ’
মিরপুরের সিএনজি চালক মোরশেদ আলম বলেন, “ঈদের দিন তো নারীরা ঘরে রান্না করেই সময় পার করে দেয়৷ আত্মীয়-স্বজনকে বাসায় ডেকে খাওয়াতেই তাদের আনন্দ৷ আমরা যদি তাদের বলিও ঈদের দিন রান্না করতে হবে না৷ বরং তাহলে তারা কষ্ট পাবে৷ যুগ যুগ ধরে চলে আসা তাদের এই আনন্দ আমরা নষ্ট করতে চাই না৷ তাই তারা যেটাতে আনন্দ পায় সেটাই করতে দেওয়া উচিৎ৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘আত্মীয় স্বজন না এলে তারাই বেশি কষ্ট পান’
মেট্টোরেলের কর্মী সাইমুন হাওলাদার বলেন, “আমাদের মা, খালা, চাচী, ফুফুসহ আমাদের ঘরের স্ত্রী যারা আছেন তারা ঈদটাকে সেভাবে উদযাপন করতে পারে না৷ ঘর গোছানোসহ রান্নাতেই তাদের বেশি সময় যায়৷ এভাবেই তো চলে আসছে৷ এটার আসলে কোন পরিবর্তন হয়নি৷ ঈদে বাড়িতে আত্মীয় স্বজন না এলে নারীরাই বেশি কষ্ট পান৷ এই রান্না করা, আর ঘরের কাজ করার মধ্যেই তারা আনন্দ খুঁজে পান৷”
ছবি: Samir Kumar Dey
‘উৎসবের দিনটা নারীরা আমাদের উৎসর্গ করে’
মিরপুরের শেওড়াপাড়ার ভোলা টি স্টলের স্বত্বাধিকারী মো. রাসেল মনে করেন, “সবচেয়ে সুন্দর দিনটা নারীরা আমাদের জন্য উৎসর্গ করে৷ ঈদের দিন তো সবাই আনন্দ করতে চায়৷ নারীরাও চায়৷ কিন্তু পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কথা ভেবে তারা এই আনন্দের দিনটা মাটি করে ফেলে৷ সারাদিন রান্না ঘরেই কাটিয়ে দেয়৷ আমাদের তো উচিৎ তাদের কাজে সহযোগিতা করা, সেটা তো আমরা করি না৷ উৎসবের দিনে নারীদের এই ত্যাগ আসলে আমরা স্বীকারও করি না৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey
‘ঈদে খাবারের দোকান বন্ধ থাকে, ঘরে তো রান্না করতেই হবে’
একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী ইয়াদ আলী বলেন, “ঘরে ঈদের দিন নারীরা যে কাজ করে সেটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ শিক্ষিত-অশিক্ষিত নেই, সব নারীই ঈদের দিন ঘরের কাজে আনন্দ পান৷ আপনি যদি এটা বদল করতে চান, সেটা সম্ভব না৷ আমাদের দেশে কি ঈদে কোন খাবারের দোকান খোলা থাকে? থাকে না৷ তাহলে বাড়িতেই তো রান্না করতে হবে৷ সেই কাজটা তো নারীরা করবেন৷ এজন্য নারীরা কিন্তু আপনাকে কোন অভিযোগ করে না৷ এটাতেই তাদের শান্তি৷’’