1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদ আনন্দে স্বস্তি-অস্বস্তি

ফয়সাল শোভন
২ মে ২০২২

জীবিকার টানে শহরমুখো হতে হয়৷ কিন্তু শহর যেন কখনো আপন হয় না, হয় না ‘দেশ’ও৷ এখনও তাই অনেকের কাছে শহর যেন অনেকটা বিদেশ আর ‘দেশ' মানেই গ্রাম৷

জীবিকার টানে শহরমুখো হতে হয়৷ কিন্তু শহর যেন কখনো আপন হয় না, হয় না ‘দেশ’ও৷ এখনও তাই অনেকের কাছে শহর যেন অনেকটা বিদেশ আর ‘দেশ' মানেই গ্রাম৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

সেই আপন ‘দেশে' না ফিরলে অনেকেরই ঈদ হয় না, পায় না উৎসবের পরিপূর্ণতা৷ তাই ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে মানুষ দলে দলে পাড়ি জমান নাড়ির টানে, ‘দেশের’ পানে৷

কত মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে যান বাংলাদেশে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়াটা সহজ নয়৷ তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের নেটওয়ার্ক পরিবর্তনে কিছুটা ধারণা মিলছে৷ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে পাঁচ দিনে এক কোটি সিম ঢাকা ছেড়েছে৷ শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য শহর থেকেও মানুষ ঈদ করতে পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামে৷

কিন্তু সেই পাড়ি জমানোটা কখনোই স্বস্তির হয় না ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য৷ বছর বছর নতুন ঈদ আসে কিন্তু পত্রিকার পাতায়, টিভি পর্দায় মানুষের ভোগান্তির একই চিত্রের দেখা মেলে৷ রেল, লঞ্চে ভয়ানক ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করতে বাধ্য হন খেটে খাওয়া মানুষজন৷ আর এই পরিস্থিতিই বজায় থাকুক তা হয়ত কারো কারো জন্য কাঙ্খিতই৷ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব বলছে ঈদে অতিরিক্ত আট হাজার কোটি টাকা লুটে নেন পরিবহণ মালিক ও চাঁদাবাজরা৷ তাদের তথ্য অনুযায়ী, ৬০ কোটি ট্রিপের মাধ্যমে সড়ক, ট্রেন, বাস ও বিমানে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভাড়া আদায় হয়৷ তার মধ্যে আট হাজার কোটি টাকা আদায় হচ্ছে অন্যায়ভাবে৷ তারপরও নির্বিবাদে মানুষ বাড়ি পৌঁছাতে চান তার সর্বস্ব দিয়ে হলেও৷ স্বস্তির বিষয় এবার অন্তত বড় ধরনের যানজট থেকে নিস্তার মিলেছে৷

শুধু পরিবহণ নয়, রোযা-ঈদ মিলিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী, সুযোগসন্ধানীদের শিকারে পরিণত হন সাধারণ মানুষ৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুরই যেন ভেলকি লাগে৷ এবার নতুন সংযোজন ঈদের আগে বাজার থেকে তেল উধাও হয়ে যাওয়া

তারপরও মহামারির শুরুর পর এবারই মানুষ বিধিনিষেধহীন এক ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের৷ তা দেশের অর্থনীতিতেও গত দুই বছরের চেয়ে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

শহরে কাজ করা মানুষটি পরিবারের জন্য নতুন পোশাক কিনে বাড়ি ফিরেছেন৷ প্রবাসে থাকা সদস্যটি পরিবারের ঈদ উদযাপন আনন্দদায়ক করতে বাড়তি টাকা পাঠিয়েছেন৷ এই অর্থের প্রবাহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আবারও চাঙা করে তুলবে৷

তারপরও ভুলে গেলে চলবে না এদেশে এখনও বিপুল মানুষ দারিদ্র্য রেখার নীচে বসবাস করেন৷ গত দুইবছর করোনা নতুন করে অনেককে সেই কাতারে নামিয়ে এনেছে৷ ঈদ আনন্দ তাই সবার দুয়ারে হাজির হবে সেটি বলা চলে না৷ যেমনটা হয়ত পৌঁছাবে হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়া কৃষকের কুটিরেও৷ এই আনন্দে তাদের কথা কি আমরা মনে রাখছি?

ফয়সাল শোভন ডয়চে ভেলের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক৷@FaisalShovon14
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ