1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইকিলিক্সের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জবাব দিচ্ছেন সমর্থকরা

৯ ডিসেম্বর ২০১০

গোপন নথি প্রকাশের কারণে উইকিলিক্সের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে নানান ষড়যন্ত্র৷ অর্থের উৎস বন্ধ করে দেয়া, প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার এসব করে চেষ্টা করা হচ্ছে উইকিলিক্সকে থামাতে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

আর এসবের প্রতিবাদে নেমে পড়েছে উইকিলিক্সের স্বেচ্ছাসেবী সমর্থকরা৷ তারা দলবদ্ধ হয়ে হামলা চালাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে৷ কিছুক্ষণের জন্য হলেও ব্যাহত করছেন তাদের কার্যক্রম৷

এধরণের প্রথম হামলা শুরু হয় গত শনিবারে৷ তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল পে-পেল৷ কারণ তারা উইকিলিক্সকে বিভিন্ন মানুষের দেয়া অর্থ দেবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছিল৷ এরপর একে একে হামলা হয় মাস্টারকার্ড, ভিসা এবং সুইজারল্যান্ড ডাকঘরের ব্যাংকে৷ এদের সবাই পে-পেলের মতই উইকিলিক্সকে অর্থ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ উইকিলিক্সের সমর্থকরা এরপর হামলা করে সুইডেনের সরকারি এক ওয়েবসাইটে৷ ফলে কয়েক ঘন্টার জন্য কাজে সমস্যা হয় বলে জানায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা৷ এছাড়া সুইডেনের বিচারমন্ত্রীর নামে একটি ওয়েবসাইট খোলে সমর্থকরা৷ যে ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে সেটা সরাসরি চলে যায় উইকিলিক্সের ওয়েবসাইটে৷ সুইডেন উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় দেশটির বিভিন্ন সাইটে হামলা করছে সমর্থকরা৷ এছাড়া আসাঞ্জকে মার্কিন বিরোধী বলায় সারাহ পেলিনের ওয়েবসাইটেও হামলার চেষ্টা করেছে সমর্থকরা৷

উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জছবি: Picture alliance/dpa

সর্বশেষ প্রকাশিত গোপন তথ্য

সর্বশেষ প্রকাশিত নথিতে দেখা যাচ্ছে, ২০০৩ সালে একবার জার্মানির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ সেসময় মার্কিন সিআইএ এজেন্টদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করতে এই চাপ দেয়া হয়েছিল৷ ঘটনাটা এরকম - সেসময় লেবাননি বংশোদ্ভূত এক জার্মান নাগরিক, যার নাম খালেদ এল-মাসরি, তাঁকে আল কায়েদা সন্দেহে ম্যাসিডোনিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইএ'র কয়েকজন এজেন্ট৷ এরপর পাঁচ মাস তাঁকে বন্দি রেখে নির্যাতন চালানো হয়৷ কিন্তু পরে দেখা গেল একই রকম নামের কারণে ভুল করে মাসরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ ঐ ঘটনার প্রেক্ষিতে জার্মানি যেন সিআইএ এজেন্টদের গ্রেপ্তার না করে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছিল৷

আসাঞ্জের সবশেষ অবস্থা

আসাঞ্জ এখনো লন্ডনে কারাগারে রয়েছেন৷ তবে তাঁর মনোভাব বেশ চাঙ্গা বলে জানিয়েছেন তাঁর এক আইনজীবী৷ আজ বুধবার একটু পরেই আসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আইনজীবীরা৷ সেসময় কীভাবে মামলায় জেতা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে৷ তবে জেতার ব্যাপারে আসাঞ্জ বেশ আত্মবিশ্বাসী বলে তাঁর আরেক আইনজীবী জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ