1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইগুরদের জোর করে কাজ করানোর অভিযোগ

২ মার্চ ২০২০

একটি অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৮০ হাজারেরও বেশি উইগুরকে সংশোধন ক্যাম্প থেকে সরিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কারখানায় জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে৷

ছবি: AFP/G. Baker

‘উইগুরস ফর সেল’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট জানিয়েছে এমন ২৭টি কারখানার কথা, যেখানে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য শিনজিয়াং থেকে ৮০ হাজারের বেশি উইগুরকে ক্যাম্প থেকে বের করে নিয়ে কাজ করানো হচ্ছে৷ ২০১৭ সাল থেকেই এই কারখানাগুলিতে উইগুরদের নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে৷

প্রতিবেদনটি বলছে, ‘‘বিশ্বের ৮৩টি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের কারখানায় উইগুরদের জোরপূর্বক কাজ করানোর খবর আমরা পেয়েছি৷ এইসব ব্র্যান্ডের পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের তাবড় তথ্যপ্রযুক্তি, পোশাক ও যানবাহন প্রস্তুতকারী সংস্থা, যেমন অ্যাপল, বিএমডাব্লিউ, নাইকি, হুয়াওয়ে, স্যামসাং, সোনি ও ফক্সভাগেন৷’’

উত্তরে চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেয় সোমবারের একটি সংবাদ সম্মেলনে৷

মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘এই প্রতিবেদনটি মার্কিন চীনবিরোধী নীতির অনুসারী৷ চীনের কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদ দমনের নীতির গায়ে কালি মাখাতেই এমন কথা বলছে তারা৷’’

ব্র্যান্ডের দায় কতটা?

প্রতিবেদনের লেখকদের অন্যতম জেমস লেইবোল্ড বলেন, এই ঘটনার দায় চীনা সরকারের পাশাপাশি এই সংস্থাগুলিরও৷ তিনি বলেন, ‘‘অবিলম্বে তৃতীয় পক্ষের এক দল পরীক্ষক এনে পরিস্থিতির সরেজমিন তদন্ত দরকার৷ তাহলেই বোঝা যাবে ঠিক কতটা গুরুতর এই সমস্যা৷’’

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফক্সভাগেন জানায়, এমন কোনো কারখানা এই মূহুর্তে তাদের সাথে যুক্ত নয়৷ অ্যাপল একটি বিবৃতিতে জানায়, তাদের সংস্থা কর্মচারীদের প্রতি ‘‘সমান আচরণ ও যোগ্য সম্মানের সাথে’’ নিযুক্ত করে বিশ্বমানের পণ্য প্রস্তুত করে৷ কিন্তু মূল প্রশ্ন এড়িয়ে যায় তারা৷

সরকারী নথি ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে রয়েছে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে চীনা সরকারের যোগসাজশের কথা৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

২০১৬ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ