1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাউগান্ডা

উগান্ডায় গাড়ির ব্যবহৃত তেল থেকে আয়

২২ জানুয়ারি ২০২৫

ব্যবহৃত তেল ঠিক জায়গায় না ফেললে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে৷ উগান্ডার মতো আফ্রিকার দেশগুলোতে এই সমস্যা অনেক বেশি৷ উগান্ডার মোজেস জিঙ্গো ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করার পদ্ধতি বের করেছেন৷

মাটিতে তেল ছড়িয়ে যাচ্ছে
ফেলে দেয়া মাটি ও জলে মিশলে তা ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারেছবি: Pond5 Images/IMAGO

এতে যেমন তার আয় হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও লাভ হচ্ছে৷

গাড়ির মেকানিক হিসেবে আগে ব্যবহৃত তেল ফেলে দিতেন জিঙ্গো৷ করোনার সময় তার চাকরি চলে গিয়েছিল৷ এরপরই তিনি ভাগ্যের খোঁজ পান- কারণ ব্যবহৃত তেলের মূল্য বুঝতে পেরেছিলেন তিনি৷

জিঙ্গো বলেন, ‘‘আমরা এখন তেল রিসাইকেল করি৷ আমরা এখন জানি, তেল দূষিত হয়ে গেলেই তা মূল্যহীন হয়ে যায় না৷ আমরা এটা বিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করি৷ এভাবে রিসাইকেল চলতে থাকে৷''

ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করা কিছুটা ঝামেলার৷ তবে লাভ আছে৷ জিঙ্গো একটি ছোট ব্যবসা গড়ে তুলেছে৷ সেখানে তিনজন কাজ করেন৷

তারা নিয়মিত কাম্পালার ৫০টি গাড়ির ওয়ার্কশপে ঢুঁ মেরে ব্যবহৃত তেল সংগ্রহ করেন৷ তাদের একজন মাথিয়াস সেগুয়া বলেন, ‘‘ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ব্যবহৃত তেল সংগ্রহ করার পর আমি সেটি সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করি৷ এভাবে আমি কিছু অর্থ আয় করি, যেটা দিয়ে আমি আমার অন্য প্রয়োজন মেটাই৷ এর মূল্য বোঝার আগে মেকানিকেরা ব্যবহৃত তেল ফেলে দিত৷ আমরা তেল, কুল্যান্ট আর হাইড্রোলিক ফ্লুইড ফেলে দিতে পারি না৷''

জিঙ্গো বর্তমানে মাসে প্রায় এক হাজার লিটার ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করেন৷ ময়লা আর পানি মূল দূষক৷

প্রথমে তিনি ব্যবহৃত তেল ফোটান, যেন পানি বাষ্প হয়ে যায়৷ এরপর সালফারের মতো বিভিন্ন কেমিক্যাল যোগ করেন৷ এভাবে ধুলো ও অন্যান্য ময়লা দূর করেন৷

জিঙ্গো বলেন, ব্যবহৃত তেল রিসাইকেল করার পর যা পাওয়া যায় তাকে বেজ তেল বলে৷ ‘‘একটা কারণে এটাকে বেজ তেল বলা হয়৷ এই বেজ তেল দিয়ে অনেক লুব্রিকেন্ট তৈরি করা হয়,'' জানান তিনি৷

রিসাইকেল করে প্রায় ৮০ শতাংশ তেল উদ্ধার করেন জিঙ্গো৷ বেজ তেল দিয়ে তিনি গ্রিজ লুব্রিকেন্ট তৈরি করেন৷ কাম্পালার গাড়ির ওয়ার্কশপে এগুলো বিক্রি করেন তিনি৷

বাকি ২০ শতাংশের রং পিচের মতো কালো হয়৷ এটা বিটুমিন-  অ্যাসফল্ট তৈরির জন্য আদর্শ৷ রাজধানীর বেশকিছু দোকানে এটা সরবরাহ করে থাকেন জিঙ্গো৷ ব্যবসা তার ও পরিবেশের জন্য ভালো৷

আফ্রিকার অনেক দেশে ব্যবহৃত তেল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হয়৷ ফলে মাটি ও পানি দূষিত হয়

কাম্পালা থেকে ভিক্টোরিয়া লেকের দূরত্ব বেশি নয়৷ সেখান থেকে উগান্ডার বেশিরভাগ খাবার পানি আসে৷

ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও শহরের বর্জ্য সেখানকার একটি বড় সমস্যা৷ তেল দূষণের বিষয়টি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷

পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভালো নয়৷ সাম্প্রতিক সময়ে পানি পানের উপযোগী করার খরচ প্রায় দ্বিগুন হয়েছে৷ মাসে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং বা প্রায় পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ইউরো৷

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্পোরেশনের স্যামুয়েল অ্যাপেডেল বলেন, ‘‘কারখানার বর্জ্য, ব্যবহৃত তেল ঠিক জায়গায় না ফেলা ও শিল্পখাতের বর্জ্যের কারণে পানির উত্সগুলি ক্রমে দূষিত হচ্ছে৷ আমরা পানিশোধন করতে প্রায় ১.১ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং খরচ করব৷ বর্তমানে পানিশোধনের জন্য গড় রাসায়নিক খরচ প্রতি মাসে ২.৩ বিলিয়ন উগান্ডান শিলিং৷ এটা অনেক বেশি এবং আমরা এই খরচ যেন মানুষকে দিতে না হয় সেই চেষ্টা করি৷''

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষা সংস্থার হিসাব বলছে, পাঁচ লিটার ব্যবহৃত তেল প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন লিটার বিশুদ্ধ পানি দূষিত করতে পারে৷

ফলে এক লিটার রিসাইকেল করার বিষয়টিও অনেক বড় ব্যাপার!

তেলও পুনর্ব্যবহার সম্ভব?

04:28

This browser does not support the video element.

জুলিয়াস মুগামবাওয়া, ইউলিয়া মিল্কে/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ