1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশআফ্রিকা

উগান্ডায় পাহাড়ি গরিলা রক্ষায় সাবেক শিকারিরা

২০ আগস্ট ২০২৫

উগান্ডার বুইন্ডি জাতীয় উদ্যানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক পাহাড়ি গরিলা বাস করে৷ এক প্রকল্পের আওতায় সাবেক শিকারিদের দিয়ে তাদের রক্ষার চেষ্টা চলছে৷ এতে গরিলারা যেমন রক্ষা পাচ্ছে, তেমনি স্থানীয়রাও উপকৃত হচ্ছেন৷

হাতে একটি পাতা নিয়ে দেখছে উগান্ডার পাহাড়ি গরিলা৷
গরিলা রক্ষা প্রকল্প সফল হচ্ছে কিনা তা গরিলার সংখ্যা জানার পর জানা যাবে৷ বুইন্ডি বনে প্রায় ৪৫০টি পাহাড়ি গরিলা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ছবি: CC/sentouno

বুইন্ডি জাতীয় উদ্যান বিশ্বের মাত্র দুটি জায়গার মধ্যে একটি যেখানে পাহাড়ি গরিলা দেখা যায়৷ মাত্র কয়েক দশক আগে এটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে ছিল, যার একটি কারণ ছিল অবৈধ শিকার

পিটার টুমওয়েসিগিয়ে আগে একজন গরিলা শিকারি ছিলেন৷ একসময় তিনি বুঝতে পারেন এটি ঠিক নয়৷ এরপর তিনি বিপন্ন এই প্রাণীদের সংরক্ষণ, সহাবস্থান এবং তাদের জীবনযাপন উন্নত করার জন্য নিবেদিত সাবেক শিকারিদের এক দলে যোগ দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সাবেক শিকারি হিসেবে আমরা এই পার্কের যত্ন নিই, কারণ, এটি আমাদের আয়ের ব্যবস্থা করে৷ আমাদের কর্মসংস্থান হয় এবং আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হই৷ দর্শনার্থী এবং পর্যটকেরা পার্কে আসেন এবং দেশ আর্থিকভাবে উপকৃত হয়৷ আয় ভাগাভাগি করার কারণে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে৷ আমাদের হাসপাতাল এবং রাস্তার অবকাঠামো উন্নত হয়েছে৷ আমি যখন চোরাশিকারি ছিলাম তার তুলনায় আমরা এখন ভালো আছি৷''

বুইন্ডি জাতীয় উদ্যান এবং তার আশেপাশে অনেক সংরক্ষিত উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে৷ শুধু চোরাশিকারই নয়, আবাসস্থলের আয়তন কমে যাওয়া ও বিভিন্ন রোগের কারণে আজ এগুলো হুমকির সম্মুখীন৷ স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রকল্প সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মূল চাবিকাঠি৷

প্রকল্পের কারণে গরিলার সংখ্যা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল আছে৷

গরিলাদের পাহারায় সাবেক শিকারীরা

04:43

This browser does not support the video element.

বর্তমানে গরিলার সংখ্যা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে৷ পিটার টুমওয়েসিগিয়ে বুইন্ডি জাতীয় উদ্যানে গরিলা গণনা করার জন্য পার্ক রেঞ্জারদের সঙ্গে কাজ করছেন৷

গরিলা রক্ষা প্রকল্প সফল হচ্ছে কিনা তা গরিলার সংখ্যা জানার পর জানা যাবে৷ বুইন্ডি বনে প্রায় ৪৫০টি পাহাড়ি গরিলা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ গরিলার সংখ্যা আবার বাড়তে দেখে খুশি রেঞ্জাররা৷

উগান্ডা বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের রেঞ্জার গাইড এক্সপেদিতো নুওয়ামানিয়া বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার পর আমরা খুবই খুশি, কারণ, গরিলার সংখ্যা যে ধীরে ধীরে বাড়ছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত৷ কারণ, আমরা যে গরিলা পরিবারগুলো দেখছি, তাদের বেশিরভাগেরই তিনটি বাচ্চা, চারটি বাচ্চা, পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, গরিলার সংখ্যা সত্যিই ধীরে ধীরে বাড়ছে৷''

জাতীয় উদ্যানের আশেপাশের অঞ্চল পর্যটন থেকেও উপকৃত হচ্ছে: এটি বেশ কয়েকটি সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করেছে৷

রাজস্ব ভাগাভাগি করায় স্থানীয়রা জাতীয় উদ্যানে পর্যটন আয়ের ২০ শতাংশ পাচ্ছেন৷ এর ফলে স্থানীয়দের জন্য টেকসই জীবিকা নির্বাহ সম্ভব হচ্ছে৷

হিলারি আয়েসিগা, লুকাস লটার্সব্যার্গার/জেডএইচ

হাতি আর গরিলা রক্ষার এক সফল কাহিনি

01:35

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ