1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উগান্ডায় সমকামীদের নির্যাতন

নিনা ভ্যার্কহয়সার/আরবি৯ এপ্রিল ২০১৪

উগান্ডায় সমকামীরা নিপীড়নের শিকার৷ কারাগারেও নিক্ষেপ করা হয় তাঁদের৷ এ সম্পর্কে উগান্ডার অ্যাক্টিভিস্ট কাশা জ্যাকলিন নাবাগেসেরা জার্মান সংসদে বক্তব্য রাখেন৷

Erste Homo-Ehe/ Frankreich
ছবি: Reuters

বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার

তাঁরা বাসে চলাচল করতে পারেন না৷ নিরাপত্তার অভাবে তাঁদের গাড়িতে যাতায়াত করতে হয়৷ কখনও একা পথেঘাটে বের হন না৷ ‘‘আমি প্রায়ই রাস্তায় মারধোর খেয়েছি৷ হত্যার হুমকিও পেয়েছি৷'' বলেন এই অ্যাক্টিভিস্ট৷ তিনি উগান্ডার সমকামীদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এ জন্য ২০১৩ সালে ন্যুর্নব্যার্গ শহরের পক্ষ থেকে ‘মানবাধিকার পুরস্কার' দেওয়া হয় তাঁকে৷ এই সূত্র ধরে জার্মান সংসদের সঙ্গে সম্পৃক্তি গড়ে ওঠে তাঁর৷ সংসদের উন্নয়ন সাহায্য সংক্রান্ত কমিটিতে ৩৩ বছর বয়সি নাবাগেসেরা তাঁর দৈনন্দিন জীবনের চিত্র তুলে ধরেন৷ লেসবিয়ান নারী হিসাবে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় তাঁকে৷ রাজধানী কাম্পালায় তাঁর বাসাটি এক আত্মীয়ের নামে ভাড়া করতে হয়েছে৷ কেননা নিজের নাম প্রকাশ পেলে বাড়ির মালিক সমস্যায় পড়তে পারেন৷

উগান্ডার অ্যাক্টিভিস্ট কাশা জ্যাকলিন নাবাগেসেরাছবি: Bundestag/Julia Schilling

আত্মহত্যার পথও বেছে নেন অনেকে

উগান্ডায় শুধু সমকামীরাই নয়, তাঁদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি ব্যবসার সহযোগীদেরও হয়রানির শিকার হতে হয়৷ এই চাপ মাঝে মাঝে এত বেশি হয়ে ওঠে, যে অনেক সমকামী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন৷ এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রকাশ্যে আবার উল্লাসও করা হয়৷ অজ্ঞানতা, উপেক্ষা ও ধর্মীয় উন্মাদনা থেকে অনেকেই সমকামীদের সম্পর্কে ঘৃণার মনোভাব পোষণ করেন৷

উগান্ডার একটি আইন এই ফোবিয়া বা ভীতিকে আরে তীব্রতর করেছে৷ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইনে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনি৷ এতে বলা হয়েছে, সমকামীদের তো বটেই – তাঁদের সহায়তাকারীদেরও কারাদণ্ড হতে পারে৷ সমকামীদের নাম ও ছবি প্রকাশ পেলে তাদের চাকরি হারাতে হয়৷ বের করে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে৷ ‘‘এই বিষয়টিকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না৷'' বলেন উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমিটির ডাগমার ভ্যোর্ল৷ ইতোমধ্যে আফ্রিকার ৩৪টি দেশ সমকামিতাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হয়৷ চারটি দেশে এ কারণে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়৷

এর মধ্যে অনেক দেশই জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য পেয়ে থাকে৷ এদিক দিয়ে দেশগুলির ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটা সুযোগ রয়েছে জার্মানির৷

প্রধান শর্ত মানবাধিকারকে মর্যাদা দেওয়া

‘‘আমাদের উন্নয়ন সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রধান শর্ত হলো মানবাধিকারকে মর্যাদা দেওয়া৷'' উগান্ডার সমকামী বিরোধী আইন প্রসঙ্গে এই কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার৷

এ ক্ষেত্রে কাম্পালার সরকার লাল সীমারেখা অতিক্রম করে গিয়েছে৷ প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে উন্নয়ন সহযোগিতামূলক কর্মসূচিকে৷ মনে করেন উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক রাজনীতিবিদ ডাগমার ভ্যোর্ল৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা চিন্তাভাবনা করছি সাধারণত সরকারকে আমরা যে অর্থ দিয়ে থাকি, তা মানবাধিকার রক্ষা সংস্থাগুলিকে দেওয়া যায় কিনা৷''

চাপ সৃষ্টি করতে পারে জার্মানি

কাশা জ্যাকলিন নাবাগেসেরা ও তাঁর সহযোদ্ধারাও এই সাহায্য কৌশলগতভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন৷ তবে উন্নয়ন সাহায্য সবদিক দিয়ে কমিয়ে ফেলা ঠিক হবে না৷ তাহলে সাধারণ মানুষের ওপরেই চাপ সৃষ্টি হবে৷ নির্যাতন ও হয়রানির শিকার সংখ্যালঘুদের সহায়তা করতে হলে বিদেশ থেকে চাপ আসাটাই কার্যকর৷ ‘‘উগান্ডায় আমাদের কথা তো কেউ শোনেনা৷ তাদের কথা শুনবে৷'' বলেন কাশা জ্যাকলিন৷ জার্মান সংসদে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এতে এটাই বোঝা যায় যে, আমরা সম্পূর্ণ একা নই৷'' তিনি যে প্রকাশ্যে সমকামীদের অবস্থা সম্পর্কে কথা বলছেন, উগান্ডার আইন অনুযায়ী এটা এক দণ্ডনীয় অপরাধ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ