উগ্রপন্থী তালেবান পাকিস্তানে এক শিখের শিরশ্ছেদ করেছে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০গত জানুয়ারিতে খাইবার জেলার বারা শহরে অপহৃত তিন শিখের মধ্যে নিহত জাসপাল সিং ছিলেন একজন৷ আফগান সীমান্তের উপজাতীয় এলাকা থেকে ফরাসি বার্তা প্রতিষ্ঠান এএফপিকে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ কথা জানান৷ তাঁর মৃতদেহ রবিবার পাওয়া যায় প্রতিবেশী উপজাতীয় জেলা ওরাকজাইতে৷ উগ্রপন্থীরা পরে মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে৷ কর্মকর্তা এএফপিকে এ কথা বলেন তাঁর নাম প্রকাশ না করার শর্তে৷
পেশোয়ার এ শিখ কমিউনিটির এক ঊর্ধতন সদস্য জাসপাল সিং-এর শিরশ্ছেদের সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, অন্য দুই শিখ এখনও আটক রয়েছেন৷ তালেবান কুড়ি ফেব্রুয়ারির মধ্যে পণ পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দেয়৷ ঐ সময়ের মধ্যে পণ পরিশোধ না করায় তারা তাঁকে সেদিনই হত্যা করে৷ তাঁর নিরাপত্তার আশংকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিউনিটির সদস্য এ কথা জানান৷ শিখ এবং হিন্দুরা হল পাকিস্তানের ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু গোষ্ঠী৷ গত বছর এই গোষ্ঠীর শত শত সদস্য পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান গোলযোগপূর্ণ উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ছেড়ে চলে যায় তালেবান এবং অন্যান্য উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর কাছ থেকে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পর৷
এদিকে, শিখ ধর্মীয় গোষ্ঠী সোমবার শিরশ্ছেদের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং ভারত সরকারের প্রতি পাকিস্তানে এখনো রয়ে যাওয়া অবশিষ্ট শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে৷ শিরোমানি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটির প্রেসিডেন্ট আভতার সিং মাকার ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের রাজধানী চন্ডিগড় এ বলেন, ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে৷ বিরোধী হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এখনও আটক দুই শিখের মুক্তির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য৷ পাঞ্জাবের উপ-প্রধানমন্ত্রী সুখবির সিং বাদল এর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, এ ঘটনায় সরকারের ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না৷ শিখদের জীবন রক্ষা করতে হবে৷ কোন গোষ্ঠী এখনও অপহরণ বা হত্যার দায়িত্ব দাবি করে নি৷
প্রতিবেদন : আবদুস সাত্তার
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক