1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনুবাদসংস্থা

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বাহান্ন’র একুশে ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি আন্দোলন করেননি অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন আহমেদ৷ তবে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ছিল তাঁর, সেদিন জগন্নাথের শিক্ষকরা বৈঠক করে ভাষা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন এবং সরকারের সমালোচনা করেন৷

ছবি: DW

বাহান্ন'র একুশে ফেব্রুয়ারির প্রাক্কালে অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমেদ ছিলেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক৷ দেশে তখন ভাষা আন্দোলনের জোয়ার৷ মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে সবশ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে আসে৷ প্রবল আন্দোলনের মুখে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে বাঙালির কাছ থেকে আর ছিনিয়ে নিতে পারেনি৷

সালাহ্উদ্দিন আহমেদ ভাষা আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন, তবে সরাসরি এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না৷ বাহান্ন'র একুশে ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ কলেজে বৈঠক করেন শিক্ষকরা৷ সেই বৈঠকে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সমর্থন করে এবং সরকারে বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি পাঠ করা হয়৷ এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘যেদিন ঘটনাটা ঘটল সেদিন আমরা শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৈঠক ডাকলাম৷ সেই বৈঠকে আমার বন্ধু অজিত গুহ একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন, আমি সেটা পাঠ করলাম৷ সেটা ছিল বাংলা ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন করে এবং সরকারের ঘুঁটি চালনার নিন্দা করে একটি বক্তব্য৷''

বেতার-টিভিতে ‘বাংলিশ' নিষিদ্ধছবি: Fotolia/U.P.images

সালাহ্উদ্দিন আহমেদ এর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে৷ গুণীজন ডটকম ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ‘‘ফরিদপুরে পূর্ব পুরুষদের বাড়ি এবং সেখানে জন্ম হলেও পিতার চাকুরির কারণে খুব বেশি সময় সেখানে কাটে নি তাঁর৷ ছেলেবেলা ও শিক্ষা জীবনের অধিকাংশ সময়টাই কেটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে৷''

চল্লিশের দশকের শেষের দিকে আবারো নিজ দেশে ফিরে আসেন সালাহ্উদ্দিন৷ শুরু করেন শিক্ষকতা৷ বর্তমানে তাঁর বয়স নব্বই বছর৷ ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাংলা ভাষার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি৷ বাংলা ভাষার অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছেন এই অধ্যাপক৷ তবে, জানালেন, একটি উচ্চপর্যায়ের অনুবাদসংস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি দেশে, যেটা কিনা তিনিসহ তাঁর বন্ধুরা বহু বছর ধরে দাবি করে এসেছেন৷

বাংলা ভাষা নিয়ে বাঙালির মধ্যে একটি নবজাগরণ এসেছে মনে করেন অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন৷ এই জাগরণের ফলে বাংলা ভাষা আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ‘‘এটা সার্বিক একটা জাগরণ এবং যতই বাধা আসুক না কেন, আমার মনে হয় আমরা এগিয়ে চলেছি৷''

বলাবাহুল্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকোর্ট ন্যক্কারজনক ‘বাংলিশ' ভাষা নিষিদ্ধ করেছেন৷ বেতার বা টেলিভিশনে এখন আর বাংলিশ নয়, শুধু বাংলা অথবা শুধু ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে৷ হাইকোর্টের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার কথা বলেছেন৷ অধ্যাপক সালাহ্উদ্দিন মনে করেন, ‘‘বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে আরো মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে হলে চেষ্টা করতে হবে আমাদেরকেই৷ আমরা যদি চেষ্টা করি সেটা সম্ভব৷''

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ