বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চরমে উঠল রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত। একটি নির্দেশিকায় ১৬টি প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যকে নিয়োগ করেছেন আচার্য। পাল্টা অবস্থান নিয়েছে নবান্ন।
বিজ্ঞাপন
অল্প কয়েকদিন আগে রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রবিবার গভীর রাতে রাজভবন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর মাধ্যমে রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই উপাচার্যদের পদ খালি ছিল।
কর্নাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে বাড়তি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়তি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
যদিও তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বিরোধের জেরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য রবীন্দ্রভারতীর ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না। সোমবার তিনি অবশ্য প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাস গিয়েছিলেন।
রাজ্যের ক্ষোভ
আচার্য আচমকাই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়োগ করায় রাজ্য তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে। সোমবার রাজ্য এক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, রাজভবনের নির্দেশ মানার প্রয়োজন নেই। এমনকী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার কথাই ভাবছে তৃণমূল সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। কোনো আলোচনা না করেই তিনি ফতোয়া জারি করছেন। এটা তালিবানি মানসিকতা।"
সাবেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন নিয়োগের বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতেন। আলোচনার একটা পরিসর খোলা ছিল। এখন সেটা নেই।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ছাত্র মৃত্যু
শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী বিশ্ববিদ্যালয় হলো যাদবপুর। ছাত্র মৃত্যুর পর এখন তা সবচেয়ে বিতর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ ঘটনা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় দেশের পাঁচ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঘটে যাওয়া এক মৃত্যু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ‘এ’ ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে ‘কোনও ভাবে’ পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পড়ুয়াদের দাবি
হস্টেলের অন্য পড়ুয়াদের দাবি, ৯ অগস্ট, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তারা ওপর থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পান। তারা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য
এর পর ধীরে ধীরে এই মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। মৃত ছাত্র হস্টেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে? তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
গেটে তালা
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে মৃত্যুর আগে ওই ছাত্রের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই ছাত্র নাকি বার বার বলছিলেন, ‘‘আমি সমকামী নই।” ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর একটা গেটে তালা পড়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘প্রাক্তনীদের মৌরসীপাট্টা’
এরপর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই গোটা ঘটনায় আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ‘বেআইনিভাবে’ থেকে যাওয়া প্রাক্তনীদের দিকে। ছাত্রদের একাংশের দাবি, হোস্টেলে ‘র্যাগিং’-এর নেপথ্যে রয়েছেন মূলত তারাই।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ডায়রির পাতা
পড়ুয়া্দের অনেকেই জানিয়েছেন, এই প্রাক্তনীরা প্রায়ই হস্টেলে মত্ত অবস্থায় ঝামেলা করেন। র্যাগিং করেন। আশঙ্কা, ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যেও প্রাক্তনীদের হাত থাকতে পারে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে মৃত ছাত্রের ডায়েরিতে লেখা একটি চিঠি। সন্দেহ করা হচ্ছে তার মৃত্যু রহস্যের মোড় অন্যপথে চালিত করতেই এই চিঠির অবতারণা। পুলিশি জেরায় চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেছেন ধৃত পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নয়জন গ্রেপ্তার
পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। এর পর রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আরও ছয়জন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
‘র্যাগিং নতুন কিছু নয়’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ঘটা করে তৈরি হয় ‘অ্যান্টি-র্যাগিং’ কমিটিও। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছে। বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁদের প্রশ্ন, হস্টেলের সুপারের উপস্থিতিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল। যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পকসো
যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যু মামলায় তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে তারা পকসো আইনের ধারা জুড়তে পারে। কারণ যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বয়স মৃত্যুর সময় ১৮ পূর্ণ হয়নি বলে পরিবার সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে ওই ছাত্র নাবালক। এবং তার বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের অভিযোগে নাবালকের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের আইন পকসো জুড়বে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কেঁদেই ফেলেন রেজিস্ট্রার
ঘটনার চার দিন পর অবশেষে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি ক্যাম্পাসে আসতেই তাকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন কোথায় ছিলেন? ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন? সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েই কেঁদে ফেলেন রেজিস্ট্রার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কমিশনের নোটিস
সোমবারই ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বতঃপ্রণোদিত এই নোটিসে কমিশন জানায়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকেরা। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সাবেক উপাচার্যের মত
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী এক সংবাদপত্রে কলম ধরেছেন। লিখেছেন, “আমি ইস্তফা দেওয়ার পরেই যাদবপুরে অরাজকতার কালো দিনের সূচনা। আমার মনে হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় খাপ পঞ্চায়েতের আদলে চলে। সেখানে ‘জিবি মিটিং’ এবং নিজ নিজ শক্তি প্রদর্শনের খাতিরে আধিকারিক ও উপাচার্যকে ‘ঘেরাও’ করা দু’টি প্রচলিত ‘রীতি’।”
ছবি: Subrata Goswami/DW
রেজিস্ট্রারকে তলব
যাদবপুরকাণ্ডে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। সেই মতো রেজিস্ট্রার বিকেলে হাজিরা দিলেও যাননি ডিন। পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়ারা ‘ঘেরাও’ করে রাখার কারণে তিনি লালবাজারে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উত্তাপ বাড়ছে
বুধবার উত্তপ্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতি হয় এআইডিএসও-র সমর্থকদের। মৃত ছাত্রের এলাকা বগুলা থেকেও বহু মানুষের প্রতিবাদ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
14 ছবি1 | 14
আচার্যের প্রতিক্রিয়া
যদিও রাজ্যপাল বোসের দাবি, "এটা আচার্যের নির্দেশিকা নয়। সংবিধান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন ও শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।"
অতীতে রাজ্য সরকার যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিল, সেই নিযুক্তি আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে যায়। এবার রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে আইনি প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছুদিন ধরে।
যদিও বোস বলেছেন, "আচার্য কখনো উপাচার্য হিসেবে কাজ করেননি, করবেন না, করতে পারেন না এবং করা উচিত নয়।" কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তা হলে তিনি কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করছেন না?
বিরোধ ঘিরে ভিন্নমত
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্য, "রাজভবনকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এতে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত লাগছে। উচ্চশিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর জবাব বিজেপিকে দিতে হবে।"
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি, অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্যপাল আইন অনুযায়ী কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল আচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছেন।"
‘ইউজিসির নির্দেশিকা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হয়নি’
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "রাজ্যপাল যদি আইনবিরুদ্ধ কাজ করে থাকেন, তা হলে রাজ্য সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। আমি আইনজ্ঞ নই। আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।"
নিয়োগে প্রশ্ন
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। ১৫ সেপ্টেম্বর পরের শুনানি। তিনি বলেন, "এ নিয়ে বিতর্ক না করে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা ভালো। আদালত যদি বলে, তাহলে আচার্য নিযুক্ত উপাচার্যরা পদে থাকবেন না।"
এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, "যাকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য করা হয়েছে, তিনি অধ্যাপনা করেননি, তার পিএইচডি নেই। ইউজিসির নির্দেশিকা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। তাই প্রশ্ন উঠছে।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য, "একজন সাবেক বিচারপতিকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে একজন উপাচার্যকে কি হাইকোর্টের বিচারপতি করা যেতে পারে? তিনি কি সেই কাজটা করতে পারবেন?"
উচ্চশিক্ষায় প্রভাব
বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে অচলাবস্থা চলতে থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা। প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে উচ্চশিক্ষার দখলদারি নিয়ে লড়াই চলছে। এর বলি হচ্ছে ছাত্ররা। তার জেরে ছাত্রভর্তি কমে গিয়েছে ৩০ শতাংশ। কে এর দায় নেবে?"
সম্প্রতি দেশের অগ্রণী প্রতিষ্ঠানে এক তরুণের চাকরি সংশয়ে পড়ে চলতি অচলাবস্থার জেরে। হুগলির সায়ন কর্মকার চাকরি পেয়েছেন ডিআরডিওতে। প্রতিরক্ষা গবেষণার এই শীর্ষ সংস্থায় সায়নের নিয়োগ আটকে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র যথাযথ না হওয়ায়। উপাচার্য পদ শূন্য থাকায় তার স্বাক্ষর ছাড়াই শংসাপত্র জমা দিতে হয়েছে সায়নকে, যা বাতিল করে সংস্থাটি। পরে রাজভবনের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।
অভিজিৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য, "আচার্য রোজই উপাচার্য বদল করতে পারেন। কিন্তু তার কী অভিঘাত হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। শিক্ষক-পড়ুয়ার সম্পর্ক এতে কোথায় এসে দাঁড়াচ্ছে, সে কথাও মাথায় রাখা দরকার।"