ভারত এবং চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তাপ কমাতে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছে দুই দেশের সেনা আধিকারিকেরা। এই ধরনের বৈঠক বহু দিনের মধ্যে হয়নি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল সিকিমে। ভারত-চীন সীমান্ত নাকু লা-তে। সেই ঘটনার রেশ পৌঁছে গিয়েছিল লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে। সীমান্তে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছিল যে দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতও যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। এ বার সেই উত্তাপ কমাতেই লাদাখ সীমান্তে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হলো। শনিবার সেই বৈঠকে যোগ দেবেন দুই দেশের কোর কম্যান্ডার স্তরের আধিকারিকেরা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই বৈঠকের পরে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তাপ খানিকটা কমতে পারে।
লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তের মাঝে আছে বিশাল প্যাংগং লেক। যার এক তৃতীয়াংশ ভারতে এবং দুই তৃতীয়াংশ চীনে। ওই লেকের ওপর দিয়েই তৈরি হয়েছে এলওসি বা লাইন অফ কন্ট্রোল। যা দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিত করে। মুশকিল হলো ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময় থেকেই ওই অংশের সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক আছে। ভারতের বেশ খানিকটা অঞ্চল চীন নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। আবার চীনের খানিকটা অঞ্চল ভারত নিজের বলে দাবি করে।
ভারত-চীন সংঘাতের কাহিনি
ভারত ও চীনের মধ্যে একবারই যুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৬২ সালে। কিন্তু তার আগে ও পরে অনেকবারই সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে এই দুই দেশ। সেই সংঘাতের কাহিনি দীর্ঘ এবং রক্তাক্ত।
ছবি: Getty Images/Three Lions/Radloff
তিব্বত থেকে শুরু
চীন তিব্বতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো ১৯৫১ সালে। তার আট বছর পরে চতুর্দশ দলই লামা পালিয়ে ভারতে আসেন। ভারত তাঁকে আশ্রয় দেয়। চীন তার বিরোধিতা করে। তারপর শুরু হয় সীমান্তে দুই সেনার সংঘর্ষ।
ছবি: AP
একমাত্র যুদ্ধ
সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে প্রচুর। কিন্তু যুদ্ধ একবারই। ১৯৬২ সালে এক মাস এক দিনের লড়াইয়ে ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে চীন। অরুণাচল প্রদেশে ও লাদাখের ভিতরে। ভারত ছিলো অপ্রস্তুত। চীন সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলো।
ছবি: Getty Images
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা
ভারত ও চীনের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে। সহজভাবে বললে, যুদ্ধের পর দুই দেশের সেনা যেখানে অবস্থান করছে, সেটাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা।
ছবি: Getty Images
নাথু লা পাসে সংঘর্ষ
পাঁচ বছরের মধ্যে অবস্থা বদলে গেলো। ১৯৬৭-র ১১ সেপ্টেম্বর চীনা সেনা নাথু লা-য় ভারতীয় পোস্ট আক্রমণ করে। পাঁচ দিন ধরে সংঘর্ষ চলে। এ বার ভারত ছিলো সুবিধাজনক অবস্থায়। তারা চীনা সেনাকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য করে। সংঘর্ষ হয় চো লা-তেও।
ছবি: Diptendu Dutta/AFP/Getty Images
বছর কুড়ি পরে
আবার উত্তেজনা ২০ বছর পরে, সামডরং উপত্যকায়। ভারত তখন অপারেশন চেকারবোর্ড চালাচ্ছিলো। কত তাড়াতাড়ি আসাম থেকে সীমান্তে সেনা পৌঁছনো যায় তা নিয়ে। সেখান থেকেই উত্তেজনা। দুই দেশের সেনা সামনাসামনি। তবে সংঘর্ষ হয়নি।
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ডোকলামে ৭৩ দিন
এ বার বিরোধ ২০১৭-তে, ডোকলামে। ভারত, ভূটান ও চীনের সীমান্তে। চীনের সেনা একটা রাস্তা বানাতে থাকে। ভারতীয় সেনাও বুলডোজার নিয়ে চলে যায় তা থামাবার জন্য। সেই সংঘাত ৭৩ দিন চলে। অবশেষে কূটনৈতিক আলোচনার পর বিরোধ মেটে।
ছবি: AP
আবার সংঘর্ষ
এ বার ২০২০-তে। আবার লাদাখ। প্রথমে দুই সেনার হাতাহাতি লড়াই। সিকিমেও একই ঘটনা ঘটলো। চীনের প্রেসিডেন্ট বললেন, তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তারপর ভারত ও চীন দুই পক্ষই সীমান্তে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে। দুই দেশই প্রচুর কামান ও গোলাবারুদ নিয়ে গিয়েছে।
ছবি: Eesha Kheny
চীনের দাবি
চীন দাবি করে অরুণাচল প্রদেশ তাঁদের এলাকা। বিশেষ করে তাওয়াং শহর। অরুণাচলের লোকের চীনে যেতে ভিসা লাগবে না। ভারত জানায়, অরুণাচল তাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
ছবি: picture-alliance/dpa/dinodia
আকসাই চীন
ভারতের দাবি, আকসাই চীন তাদের এলাকা। চীন জবরদখল করে রেখেছে। ১৯৬২ থেকেই এ নিয়ে বিরোধ চলছে। এখানে কোনও মানুষের বসতি নেই। কিন্তু সামরিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
নরমে-গরমে
ভারত ও চীনের সম্পর্ককে বলা হয় ব্লো হট, ব্লো কোল্ড রিলেশন বা নরমে-গরমের সম্পর্ক। মাঝে মাঝেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা হয়। আবার শান্তি আসে। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। দুই দেশের সেনা শক্তিশালী। তাই তা আর যুদ্ধের দিকে যায় না।
ছবি: Reuters/Handout
10 ছবি1 | 10
গত কয়েক বছর ধরে সীমান্তের এই বিতর্ক নতুন রূপ পেয়েছে। ডোকালমে ভারত এবং চীনের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতি থেকে যার সূত্রপাত। এর পর লাদাখ সীমান্তে এমন হাতাহাতির ঘটনা বার বার ঘটেছে। হয়েছে পাথর ছোড়াছুড়ি। কিন্তু প্রতিবারেই স্থানীয় স্তরের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে। খুব বেশি হলে মেজর জেনারেল স্তরের অফিসাররা বৈঠক করে সমাধান সূত্র বার করেছেন।
কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথমে সিকিমে এবং পরে লাদাখে যে গণ্ডগোল হয়েছে তার জল গড়িয়েছে বহু দূর। ভারতের অভিযোগ, সীমান্তরেখার খুব কাছে রীতিমতো বাঙ্কার তৈরি করে ফেলেছে চীন। শুধু তাই নয়, সীমান্তের ওপারে ফাইটার জেট সহ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নিয়ে এসেছে চীন। চীনও পাল্টা অভিযোগ করে, ভারত সীমান্তের খুব কাছে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। বস্তুত, দু'টি অভিযোগেরই প্রমাণ মিলেছে। চীন যেমন জানিয়েছে সীমান্তে যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুত। ভারতও জানিয়েছে প্রত্যুত্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামরিক ভাষায় একে বলে 'মিরর পজিশন'। অর্থাৎ দুই পক্ষই প্রায় সমান সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে বলেছেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী ভারতও প্রস্তুত৷ যুদ্ধ কখনো কাম্য নয়৷ তবু দেখে নেয়া যাক সামরিক শক্তিতে চীন আর ভারতের বর্তমান অবস্থা৷
ছবি: picture-alliance/AP/A. Rahi
পিডাব্লিউআর ব়্যাঙ্কিং
সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে চীন৷ যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ তিন নাম্বারে আছে চীন আর ভারত আছে চার নাম্বারে৷
ছবি: APTN
সক্রিয় সেনাসদস্য
১৩৮ টি দেশের মধ্যে পিআরডাব্লিউ ইনডেক্সে তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের মোট ২১ লক্ষ ২৩ হাজার সেনাসদস্য রয়েছে, ভারতের রয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৪ হাজার সেনাসদস্য৷ তবে রিজার্ভ সৈন্যর সংখ্যায় ভারত এগিয়ে৷ চীনের পাঁচ লাখ ১০ হাজারের বিপরীতে তাদের রয়েছে ২১ লাখ রিজার্ভ সৈন্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Asfouri
প্রতিরক্ষা বাজেট
প্রতিরক্ষা খাতে চীনের বাজেট ২৩৭০ কোটি ডলারের এবং ভারতের ৬১০ কোটি ডলারের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Goya
এয়ারক্রাফট
এখানেও চীন এগিয়ে৷ চীনের ৩২১০টির বিপরীতে ভারতের রয়েছে ২১২৩টি এয়ারক্রাফট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Li Jianshu
যুদ্ধজাহাজ
চীনের ৭৭৭টি আর ভারতের রয়েছে ২৮৫টি যুদ্ধজাহাজ৷
ছবি: Getty Images/AFP
যুদ্ধবিমান
চীনের যুদ্ধবিমান ভারতের দ্বিগুণেরও বেশি৷ চীনের ১২৩২টি আর ভারতের ৫৩৮টি৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Imago-Images/StockTrek Images
হেলিকপ্টার
চীনের আছে ৯১১টি হেলিকপ্টার আর ভারতের ৭২২টি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/J. Singh
ট্যাঙ্ক
ভারতের ট্যাঙ্ক চীনের চেয়ে অনেক বেশি৷ চীনের আছে ৩৫০০টি ট্যাঙ্ক আর ভারতের ৪২৯২টি৷ ওপরে চীন, রাশিয়া ও ইরানের যৌথ মহড়ার ছবি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Grits
সাঁজোয়া যান
চীনের সাঁজোয়া যানবাহনের সংখ্যা ৩৩ হাজার, ভারতের আট হাজার ৬৮৬৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua/Z. Hesong
স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি
এখানে দু দেশের তুলনাই হয় না৷ চীনের আছে ৩৮০০, ভারতের মাত্র ২৩৫৷
ছবি: picture-alliance/AP/A. Rahi
ফিল্ড আর্টিলারি
এখানে ভারত কিছুটা এগিয়ে৷ চীনের ৩৮০০-র বিপরীতে তাদের রয়েছে ৪০৬০টি ফিল্ড আর্টিলারি৷
ছবি: picture-alliance/AP/A. Rahi
রকেট প্রজেক্টর
চীনের ২৬৫০, ভারতের ২৬৬৷ সুতরাং এখানে চীন প্রায় দশগুণ এগিয়ে৷
ছবি: Reuters/F. Mascarenhas
সাবমেরিন
সাবমেরিনের সংখ্যার দিক থেকেও ভারত অনেক পিছিয়ে৷ চীনের ৭৪টির বিপরীতে ভারতের আছে ১৬টি সাবমেরিন৷
ছবি: Reuters/S. Andrade
বিমানবাহী জাহাজ
চীনের ২টি, ভারতের ১টি৷
ছবি: picture-alliance/newscom/S. Shaver
ডেস্ট্রয়ার
চীনের ৩৬টি, অন্যদিকে ভারতের ১০টি৷
ছবি: picture-alliance/Imagechina
ফ্রিগেট
চীনের ৫২, ভারতের তার ঠিক চার ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ ১৩টি৷
ছবি: AFP/Iranian Army office
রণতরি
রণতরি চীনের ৫০টি, ভারতের ১৯টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Asfouri
উপকূলীয় টহল
চীনের ২২০, ভারতের ১৩৯৷
ছবি: picture-alliance/Imaginechina/Meng Zhongde
বিমানবন্দর
চীনের আছে মোট ৫০৭টি বিমানবন্দর আর ভারতের ৩৪৭টি৷
ছবি: Getty Images/AFP/G. Baker
নৌবন্দর এবং টার্মিনাল
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন প্রায় সব জায়গার মতো এখানেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশের চেয়ে এগিয়ে৷ চীনের২২টির বিপরীতে তাদের রয়েছে মোট ১৩টি বন্দর ও টার্মিনাল৷
ছবি: picture-alliance/Costfoto/Yu Fangping
ভারতের বহরে রাফাল
২০১৬ সালে ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তিতে সই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট ৩৬টি বিমান ফ্রান্সের থেকে কেনার চুক্তি হয়েছিল। এরমধ্যে বুধবার ভারতে পৌঁছেছে নতুন পাঁচটি যুদ্ধ বিমান। সেগুলোকে লাদাখে পাঠানোর কথা রয়েছে৷ চীন-ভারত সংঘাতের কারণে আপাতত সেখানেই রাখা হবে বিমানগুলিকে। এরপর আসবে হ্যামার মিসাইলও।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Indian Air Force
21 ছবি1 | 21
এই পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে জানিয়ে দেন, দেশের সৈন্য যেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। এ কথা কী তিনি ভারত-চীন সীমান্তের কথা মাথায় রেখে বলেছেন? করোনা আবহে অ্যামেরিকার সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশ চীনকেই করোনা সংক্রমণের জন্য দোষারোপ করছে। এই পরিস্থিতিতে কোন কথা মাথায় রেখে দেশের সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শি জিনপিং, তা স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর ওই মন্তব্যের পরেই ভারতও দেশের সামরিক বাহিনীকে সতর্ক করেছিল। ডয়চে ভেলেকে অবসরপ্রাপ্ত লেফটানান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য বলেছেন, ''চীন আগে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম বাড়ানোয় ভারতকেও বাড়াতে হয়েছে। আলোচনায় বসার আগে নিজের শক্তি ও প্রস্তুতি ঠিক রাখা দরকার। তা হলেই সমানে সমানে আলোচনা হয়।''
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে কথাও হয়। তারই জেরে শনিবারের বৈঠক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বলা হচ্ছে কোর কম্যান্ডার স্তরের এমন বৈঠক বহু দশকের মধ্যে ঘটেনি। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই উত্তাপ কমাতে এমন আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শনিবারের বৈঠক সফল হলেও অদূর ভবিষ্যতে লাদাখ সীমান্তে মিরর পজিশন উঠবে বলে মনে হয় না। কোনও দেশেই দ্রুত সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেবে না। হয়তো ভাগে ভাগে তা কমানো হবে।