1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

উত্তপ্ত ফ্রান্সে এক রাতে গ্রেপ্তার ১৩০০ বিক্ষোভকারী

১ জুলাই ২০২৩

পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় গোটা ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে ৷

পুলিশের গুলিতে নাহেল নামের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ফ্রান্সে৷ছবি: Jean-Francois Badias/AP/picture alliance

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ৷ শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

ফ্রান্সের রাজপথ এখনও উত্তপ্ত৷ বিপণিবিতানগুলোতে লুটপাটের খবরও পাওয়া গেছে৷ পুলিশের হাতে ওই কিশোরের মৃত্যুর চতুর্থ রাত অর্থাৎ শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩৫০টিরও বেশি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, রাজপথে দুই হাজার ৬৫০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বিশেষ ইউনিটসহ শুক্রবার রাতে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তাকে মোতায়েন করেছে ফ্রান্স৷ তারপরেও ৩১টি থানায় হামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ৷

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা শনিবার সকালে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷ উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় ধরপাকড়৷

গণপরিবহণগুলোকে বিক্ষোভকারীরা টার্গেট করছে বলে দেশজুড়ে সব পাবলিক বাস ও ট্রামকে রাতে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দারমানা৷ বিক্ষোভকে উসকে দেয়ার কাজে যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করা না হয়, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷ তার মতে, এসব ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘খুবই সহযোগিতা করে৷'

যে কিশোররের মৃত্যুর ঘটনায় এই দাঙ্গার সূত্র, শনিবার তার দাফনের কথা রয়েছে৷ মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সে এ বিক্ষোভের শুরু৷ওই দিন প্যারিসের শহরতলির নঁতের একটি তল্লাশি চৌকিতে নাহেল নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা৷ প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্রান্সে৷ যা এখন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে৷

ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার আইনজীবীর মাধ্যমে নেহালের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন৷ ওই পুলিশ কর্মকর্তা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী লরেন-ফ্রাঙ্ক লিওনার্দ৷ কিন্তু তাতে চলমান বিক্ষোভের উত্তাপ কমেনি৷

নাহেলের মা ফ্রান্স ফাইভ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যে পুলিশ কর্মকর্তা তার সন্তাকে হত্যা করেছেন, তার প্রতি তিনি ক্ষুদ্ধ, কিন্তু অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর তিনি ক্ষুব্ধ নন৷

আলজেরিয়া থেকে আসা এই অভিবাসী মা আরো বলেন, ‘‘ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরব্য চেহারার একটি কিশোর দেখেই তার জীবন কেড়ে নিয়েছেন৷''

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

টিএম/আরআর (ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ