উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়ে গেল বিজেপি-র প্রচার। তালেবানকে সামনে রেখে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
শুরু করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। দিন বারো আগে, যখন তিনি তালেবানদের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এক শ্রেণির মানুষ তাদের সমর্থন করছেন। দিন দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি একটি টুইট করেছে। সেখানে একটি ভিডিও আপলোড করা হযেছে। সেখানে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে উদ্দেশ্য করে একটা প্রশ্ন রয়েছে, ''অখিলেশজি, জনতা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। তালেবান চিন্তাধারায় চলা সমাজবাদী পার্টির নির্লজ্জ নেতাদের কি আপনি সমর্থন করেন?''
এই টুইটের সঙ্গে একটি ভিডিও দেয়া হয়েছে। যে ভিডিও শুরু হয়েছে, তালেবান কাবুল দখল করার পর সেখানকার বিমানবন্দরের ছবি দিয়ে। তার সঙ্গে ভাষ্য, তালেবান আফগানিস্তানের সর্বনাশ করছে। সঙ্গে লাগাতার গুলির শব্দ। বলা হয়ছে, তালেবানের চিন্তাধারার সঙ্গে একমত সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। এরপর সপা সাংসদ শফিকুর রহমান বর্কের বক্তব্য। যেখানে তিনি তালেবানের সমর্থনে কথা বলছেন। দাবি করা হয়েছে, তার ছেলেও তালেবানকে সমর্থন করেছে। বলা হয়েছে, পুলিশ এর জন্য মামলা করেছে। কিন্তু অখিলেশ আজ পর্যন্ত একটা কথাও বলেননি। তার মানে কি, অখিলেশ এই তালিবানি চিন্তাভাবনাকে সমর্থন করছেন?
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শফিকুর গত ১৮ অগাস্ট সম্ভলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ''তালেবান নিজের দেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছে এবং নিজেরা দেশ চালাতে চেয়েছে। এটা ওদের ঘরোয়া বিষয়। আমরা কী করে তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারি?'' শফিকুর আরো বলেছেন, ''একসময় সারা ভারত যেমন ইংরেজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, এটাও তেমনই হয়েছে।'' পরে তিনি জানিয়েছেন, তার বিবৃতির ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তবে শুধু তিনিই নন, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সৈয়দ নোমানিও তালেবানকে সমর্থন করেছেন।
উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি-র বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্ষমতা ধরে রাখা। করোনাকালে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মানুষের প্রচুর ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল, সেসব সামনেও আসছিল। আদিত্যনাথকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলছিলেন মোদী-শাহ। তারপর রাজ্য জুড়ে ভোটের দিকে তাকিয়ে যাত্রা বের করেছে বিজেপি। শুরু হয়েছে প্রচার। এমন সময় তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। এরপরই দেখা যাচ্ছে, বিজেপি উত্তর প্রদেশের প্রচার পরিকল্পনায় বদল এনেছে। সেখানে ঢুকে গেছে তালেবান প্রসঙ্গ।
এই ক্ষেত্রে অবশ্য বিজেপি-র হাতে বিষয়টি তুলে দিয়েছেন সপা সাংসদ শফিকুর। তারা সেটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে। বিপাকে পড়েছেন অখিলেশ। তিনি এই ভিডিও নিয়ে কোনো কথা বলেননি। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে মানুষ শান্তিতে থাকুন। ভালো থাকুন। সেটাই বড় কথা।
আফগানিস্তানকে ঘিরে চীন, পাকিস্তান, ভারতের নতুন ‘লড়াই’
লড়াইটা বেশি চলছে পর্দার আড়ালে৷ এ লড়াইয়ে পাকিস্তান আর চীন এ মুহূর্তে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায়৷ তবে তালেবান ফিরে আসায় দুর্ভাবনায় পড়লেও ভারতও হাল ছাড়ছে না৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Hoshang Hashimi/AFP
তালেবান-পাকিস্তান সম্পর্ক
তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের সম্পর্ক সবসময়ই বেশ ভালো৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালেবানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে বহুবার৷ গনি সরকারবিরোধী যুদ্ধে তালেবানকে সহায়তার অভিযোগও আছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে৷ পাকিস্তান অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ ওপরের ছবিতে পাকিস্তানের খাইবার জেলার আফগানিস্তান সংলগ্ন তোরখাম সীমান্তে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছে তালেবান ও পাকিস্তানের সেনারা৷
তালেবান প্রায় পুরো আফগানিস্তানের দখল নেয়ায় পাকিস্তানে নানা পর্যায় থেকে ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তালেবানের আগমনে আফগানিস্তান ‘দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্ত হলো’৷
ছবি: Saiyna Bashir/REUTERS
পাকিস্তানে উচ্ছ্বাসের কারণ
নিউইয়র্কের ইথাকা কলেজের শিক্ষক রাজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টেলিভিশনে যে উল্লাস দেখা গেছে তার মূল কারণ আফগানিস্তানের ওপর ভারতের যে প্রভাব গড়ে উঠেছিল তা দূর হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়া৷’’ ১৯৪৭-এর পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তান যে নিজেদের মধ্যে তিনবার বড় যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং সে কারণে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে যে ভারতবিরোধী মনোভাব কাজ করে তা-ও মনে করিয়ে দেন তিনি৷
ছবি: Rahmat Gul/AP/picture alliance
সম্পর্ক আরো ভালো করার চেষ্টা
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তালেবানের সরকারের রূপরেখা তৈরির কাজে অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তানের কয়েকজন কর্মকর্তা৷ এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পাকিস্তান চায় আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক৷ তবে এ ক্ষেত্রে আফগান নাগরিকদেরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: AFP via Getty Images
‘সময়মতো’ এগিয়ে এসেছে চীন
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ অন্যদিকে ভারত-চীনের বৈরিতাও চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ ফলে তালেবানের আগমনে সেখানে ভারতের প্রভাব কমবে বলে চীনও খুশি৷ চীন বলছে, তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো রাখা জরুরি, কারণ, তালেবান শিনজিয়াং অঞ্চলকে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) জঙ্গি সংগঠনের প্রভাবমুক্ত রাখার কাজে সহায়তা করতে পারবে৷
ছবি: Li Xueren/Xinhua News Agency/picture alliance
তালেবান প্রশ্নে চীন-ভারতের মিল!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তালেবানের সার্বিক ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রশ্নে চীন আর পাকিস্তানের অবস্থান বাস্তবে এক নয়৷ সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ঝ্যাং লি-ওর মতে, ‘‘পাকিস্তান যেমন আফগানিস্তানকে ভারতবিরোধী অবস্থানে দেখতে চাইবে, চীনের বেলায় এমন দৃষ্টিভঙ্গি অত্যাবশ্যক নয়৷ চীন সবার আগে চায় শিনজিয়াং অঞ্চলে কোনোভাবেই যাতে সন্ত্রাসবাদ বিস্তার লাভ না করে৷’’
ছবি: Reuters
চীনের ‘অস্বস্তি’
চীনের বিরুদ্ধে রয়েছে মুসলিম নিপীড়ন, বিশেষ করে উইগুরদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর সুদীর্ঘ অভিযোগ৷ বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে সব সময়৷তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হলেও এ বিষয়টি দু পক্ষের মধ্যে অস্বস্তি হয়ে থাকবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা৷
ছবি: Emrah Gurel/AP Photo/picture alliance
চীনের কাছে তালেবানের প্রত্যাশা
দিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের স্ট্র্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ব্রহ্মা চেলানি মনে করেন, আফগানিস্তানে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু ধরনের সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে চাইছে তালেবান৷ এক, তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক সহায়তা, দুই, অবকাঠামো নির্মাণ এবং সার্বিক অবস্থার উন্নয়নে অর্থনৈতিক সহায়তা৷ অধ্যাপক ব্রহ্মার মতে, চীন দুই ধরনের সহায়তা দিতেই এখন পুরোপুরি প্রস্তুত৷
ছবি: Hoshang Hashimi/AFP
সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা এবং ভারতের আশঙ্কা
ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে ঢুকে হত্যা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী৷ ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় আফগানিস্তানের কান্দাহারে৷ পাকিস্তানি তিন জঙ্গিকে জেল থেকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে বিমানের যাত্রীদের ফেরত পেয়েছিল ভারত৷ অন্যদিকে বিমান ছিনতাইকারীদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল তালেবান৷ আবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে চায় ভারত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভারতের আরেক আশঙ্কা
গত ২০ বছর আশরাফ গনি সরকারের পাশে ছিল ভারত৷ এ সময়ে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই উন্নয়নমূলক নানা ধরনের প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে দেশটি৷ কাবুলে জাতীয় সংসদ ভবনও তৈরি হয়েছে ভারতের অর্থায়নে৷ মোদী সরকারের আশঙ্কা, তালেবান ক্ষমতায় আসায় সমস্ত বিনিয়োগ ‘ভেস্তে’ যেতে পারে৷
ছবি: courtesy PIB, Gov. of India
ভারতের কৌশলগত ভুল
যুক্তরাষ্ট্র যখন তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে, তখনো ভারত পুরোপুরি এবং শুধুই আশরাফ গনি সরকারের পাশে থেকে কৌশলগত ভুল করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন৷ তাদের মতে, তালেবান একে একে আফগানিস্তানের সব রাজ্য দখলে নিতে শুরু করার পরও যে ভারত তালেবানবিরোধী বক্তব্যে অটল ছিল কূটনৈতিকভাবে তা-ও এখন ভুল প্রমাণিত৷
ছবি: courtesy PIB, Gov. of India
চীন, পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে, তবু আশাবাদী ভারত
তালেবান ফেরায় আফগানিস্তানে পাকিস্তান এবং চীনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা স্পষ্টতই উন্মুক্ত৷ তবে ভারত একটু দেরিতে হলেও পরিস্থিতি বুঝে কৌশল পরিবর্তন করেছে৷ কাবুলে এক সময় ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা জয়ন্ত প্রসাদ মনে করেন, ভারত এখন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ‘লং গেম’ খেলবে, অর্থাৎ লম্বা সময় নিয়ে চেষ্টা করবে এবং তাতে তালেবানের সঙ্গে একটা সমঝোতার সম্পর্ক গড়া হয়ত সম্ভবও হবে৷
ছবি: Tolga Akmen/AFP
12 ছবি1 | 12
প্রশ্ন হলো, সপা সাংসদ তালেবান নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন বলেই কি বিজেপি বিষয়টি সামনে এনেছে, না কি উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রচারে তালেবান বড় করে থাকবে? বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য সুদেশ বর্মা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে মোদীজির নেতৃত্বাধীন বিজেপি-কে চাই, এ কথা নতুন করে বলে দেয়ার কোনো দরকার নেই।'' তার দাবি, ''আমর এত মানুষকে উদ্ধার করছি, তার একটা ইতিবাচক প্রভাব তো পড়বেই। আর, এটাও জানা কথা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে, মোদীই তা পারবেন।''
অমর উজালা পত্রিকার প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা উত্তরপ্রদেশ বিশেষজ্ঞ। তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''যে কোনো বিষয়, যা রাজনৈতিক বিভাজন ঘটাতে সক্ষম, তাকে গুরুত্ব দেবে বিজেপি। আর তালেবান এমন একটা বিষয় যা এই বিভাজন ঘটাতে সক্ষম। তাই বিজেপি এই বিষয়টি ভোটের আগে হাতে তুলে নিয়েছে।'
শরদের মতে, ''বিজেপি-র কাছে উন্নয়ন বা যোগী কী করছেন, সেটা নিয়ে ভোটে নামা সম্ভব নয়। তারা ভোটে যাবে অযোধ্যায় রামমন্দির, তালেবান, সন্ত্রাসবাদ কেবল মোদীই সামলাতে পারেন, এ সব বিষয় নিয়ে।'' তিনি জানিয়েছেন, অখিলেশ যাদব সমানে যোগীর পাঁচ বছরের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তার জবাবে বিজেপি আবেগের বিষয় তুলছে। বিভাজনের বিষয় তুলছে। তাই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র প্রচারে তালেবান মানে সন্ত্রাসবাদ। আর সেটা ঠেকাতে হলে বিজেপি-কে চাই, এটাই হলো অঙ্ক।
কিন্তু এই অঙ্কে কি বিজেপি উত্তরপ্রদেশে জিততে পারবে? প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল চাওকের মতে, ''বিষয়টি অত সহজ নয়। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে, দেশের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ, উত্তর প্রদেশে বিক্ষুব্ধ কৃষক নেতারা বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচার করবেন এবং জাতিগত সমীকরণ উত্তরপ্রদেশে বড় ভূমিকা পালন করে।'' করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তর প্রদেশের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় ঢেউ আসলে যোগী সামলাতে পারবেন কি? সুনীলের মতে, ''কৃষক বিক্ষোভ, বেহাল অর্থনীতি, চাকরি হারানো মানুষজনের ক্ষোভ অনেক হিসাব বদলে দিতে পারে। আর এটা ভুললে চলবে না যে, ভারতের সভাপতিত্বেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তালেবানকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পরিচয় থেকে বের করে দিয়েছে।''
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি বিভাজনের চেষ্টা করবে, সেই অঙ্ক কষে ভোটে জেতার চেষ্টা করবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবেশ ও পরিস্থিতি তাদের অঙ্ক গুলিয়ে দিতে পারে, এমন সম্ভাবনাও থাকছে।