উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন স্থানে এমন পোস্টার টানানো হয়েছে৷ পোস্টারটিতে দেখা যাচ্ছে দুজন সেনাসদ্যকে৷ এর মধ্যে একজন পিপিই পরে আছেন৷ এছাড়া নানা ধরনের ওষুধের ছবিও যুক্ত করা হয়েছে পোস্টারে৷

বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং অর্থনৈতিক অবরোধে বিপর্যন্ত দেশটি করোনার কবলে ব্যাপক দুর্দশায় পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ কিন্তু পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, ওষুধ বা টিকার কোনো স্বল্পতা দেশটিতে নেই৷ এই পোস্টারে দেশের জনগণকে সেটিই জানানো হচ্ছে৷

ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা চালানো হচ্ছে৷ ছবিতে একটি পরিচ্ছন্নতা পণ্য কারখানার খাবার কক্ষ ডিসইনফেকশন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে দেখা যাচ্ছে এক কর্মীকে৷

করোনা সংক্রমণ বাড়লেও যাতে নানা ধরনের সেবা ব্যাহত না হয়, সে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ ছবিতে ডাক বিভাগের একটি গাড়িকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে৷

সরকারের পক্ষ থেকে যেমন নানা পাবলিক স্থান জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে, জনগণকেও আহ্বান জানানো হয়েছে নিজেদের ঘর-বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য৷ নানা পোস্টারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিষয়েও প্রচারণা চালানো হচ্ছে৷

জনসমাগম ঠেকাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ অনেক সড়কেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এমনই এক সড়কের চিত্র দেখা যাচ্ছে এই ছবিতে৷

কড়াকড়ি আরোপের ফলে রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর বিভিন্ন ব্যস্ত স্থানও এখন শুন্য পড়ে রয়েছে৷ ছবিতে রাজধানীর একটি স্টেশনের বাইরের চিত্র দেখা যাচ্ছে৷ স্বাভাবিক সময়ে পর্চণ্ড ভিড় থাকলেও এখন কাকপক্ষীরও দেখা মিলছে না৷

সেনাবিহিনীর চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন করোনা ঠেকানোর উদ্যোগে৷ ছবিতে একটি ফার্মেসিতে সেনা চিকিৎসকদের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে৷

পিয়ংইয়াং-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে. করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর উদ্যোগ সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন দেশটির নেতা কিং জং উন৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে পলিট ব্যুরোর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছেন উন৷